নয়াদিল্লি, 9 নভেম্বর: যৌন হয়রানি বিরোধী নিয়মে এলজিবিটিকিউআইএ+ মানুষদের অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন নিলই না সুপ্রিম কোর্ট ৷ ভারতের সুপ্রিম কোর্টে (প্রতিরোধ, নিষেধাজ্ঞা এবং প্রতিকার) প্রবিধান, 2013-এ জেন্ডার সেনসিটাইজেশন ও মহিলাদের যৌন হয়রানির নিয়মে সংশোধনী চেয়ে একটি আবেদন করা হয়েছিল, তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে সুপ্রিম কোর্ট ৷ অন্যান্য ব্যক্তিদের যেমন এলজিবিটিকিউআইএ+ মানুষদের সাংবিধানিক অধিকারগুলিকে এই নিয়মের ছত্রছায়ায় আনার লক্ষ্যে সংশোধনীগুলি চাওয়া হয়েছিল ৷
এই নিয়মগুলি কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যৌন হয়রানি (প্রতিরোধ, নিষেধাজ্ঞা এবং প্রতিকার) আইন, 2013 প্রণয়নের পরে প্রণীত হয়েছিল এবং একই বছরে শীর্ষ আদালত তা জানিয়েছিল ৷ যে নির্দেশগুলি চাওয়া হয়েছিল তার মধ্যে ছিল, 'ক্ষুব্ধ মহিলা'র সংজ্ঞাটিকে 'ক্ষুব্ধ ব্যক্তি' লিখে প্রতিস্থাপন করারও অনুরোধ করা হয়েছিল । তবে বিচারপতি বিভি নাগারথনা এবং উজ্জল ভূঁইয়ার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বলে যে, এই নিয়মগুলির উদ্দেশ্য হল কর্মক্ষেত্রে অর্থাৎ ভারতের সুপ্রিম কোর্টে 'ক্ষুব্ধ মহিলা'কে রক্ষা করা । ভারতের সুপ্রিম কোর্টে 'ক্ষুব্ধ মহিলা'কে রক্ষা করার জন্য 2013 সালের বিদ্যমান নিয়মগুলিতে বিচারিক আদেশের মাধ্যমে এলজিবিটিকিউআইএ+ সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য লিঙ্গ নিরপেক্ষ করার নির্দেশ দেওয়া অনুচিত হবে ৷
আরও পড়ুন: জোড়-বিজোড় প্রকল্প শুধু দেখানোর জন্য, দিল্লির বায়ু দূষণ নিয়ে মত সুপ্রিম কোর্টের
শীর্ষ আদালত বলেছে যে, যদি এই ধরনের একজন ব্যক্তি যৌন হয়রানির শিকার হন, আবেদনকারীর মতে, এমন কোনও নিয়ম নেই যেখানে প্রতিকার চাওয়া যেতে পারে এবং তার প্রেক্ষাপটেই 2013 বিধিগুলির সংশোধন চাওয়া হয়েছে ৷ তবে আদালতের দাবি, "আমরা মনে করি যে 2013 সালের নিয়ম সংশোধনী করার নির্দেশ দেওয়া অনুপযুক্ত হবে কারণ অন্যথায় উল্লিখিত নিয়মগুলির পুরো উদ্দেশ্যটি হ্রাস পাবে এবং এর প্রভাব থেকে বঞ্চিত হবেন মানুষ ৷"
সুপ্রিম কোর্টের মতে, এমনটা করা হলে প্রধান উদ্দেশ্য থেকে ফোকাস হারিয়ে যাবে ৷ যেমন, ভারতের সুপ্রিম কোর্টে মহিলাদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধ, যদি কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যৌন হয়রানি হয় তার প্রতিকারের জন্য আইন প্রণয়নের পরে প্রণীত নিয়মগুলিতে এই ধরনের সংশোধনী আনা হয় । (প্রতিরোধ, নিষেধাজ্ঞা ও প্রতিকার) আইন,2013 প্রণীত হয় ।
বেঞ্চ উল্লেখ করেছে যে 2013 আইনের নিয়মগুলির উদ্দেশ্য হল কর্মক্ষেত্রে অর্থাৎ ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একজন 'ক্ষুব্ধ মহিলাকে' রক্ষা করা । সর্বোচ্চ আদালত বলেছে যে, সংবিধানের 15 অনুচ্ছেদের 3 ধারার পরিপ্রেক্ষিতে এবং অনুচ্ছেদ 14-এ বর্ণিত আইনের সমতা এবং সমান সুরক্ষার সাংবিধানিক অধিকার প্রসারিত করার জন্য নিয়মগলুর প্রণয়ন করা হয়েছিল ।