নৈনিতাল, 3 জুন : মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেল নৈনিতালের দেবস্থলের আর্যভট্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ অবজার্ভেশনাল সায়েন্সেস (এআরআইইএস) ৷ ভারতের এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তত্ত্বাবধানে ইতিমধ্যেই কাজ করতে শুরু করেছে বিশ্বের প্রথম ইন্টারন্যাশনাল লিক্যুইড মিরর টেলিস্কোপ (আইএলএমটি) (worlds first International Liquid Mirror Telescope installed in Nainital) ৷ প্রায় একমাস পর্যবেক্ষণের পর এই টেলিস্কোপের মাধ্যমে তোলা ছবি সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন এখানকার বিজ্ঞানীরা ৷
দেবস্থলে বিশ্বের এই প্রথম ইন্টারন্যাশনাল লিক্যুইড মিরর টেলিস্কোপ (আইএলএমটি) স্থাপন করতে 50 কোটি টাকা খরচ হয়েছে ৷ প্রথমেই এই টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে হাজার আলোকবর্ষ দূরের আকাশগঙ্গা ও নক্ষত্রের ছবি ৷ এই মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের নির্দেশক দীপঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এই সাফল্যের কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ৷ তাঁর কথায়, এই টেলিস্কোপের মাধ্যমে আকাশগঙ্গায় প্রতি মুহূর্তে ঘটে চলা বিভিন্ন ঘটনা ও পরিবর্তনে নজর রাখা সম্ভব হবে ৷ এই সব ছবি ও তথ্য ভবিষ্যতে মহাকাশ গবেষণায় নয়া দিগন্ত খুলে দিতে পারে বলে দীপঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন ৷
আরও পড়ুন : ঈশ্বরকণা আবিষ্কারের সঙ্গে যুক্ত দাসনগরের লেদ কারখানার শ্রমিকরা, স্বীকৃতি দিতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার
2017 সালে বেলজিয়াম, কানাডা, পোল্যান্ড, উজবেকিস্তান-সহ বিশ্বের আটটি দেশ এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ৷ করোনা সংক্রমণের কারণে এই টেলিস্কোপের কাজ শুরু করতে কিছুটা দেরি হয় ৷ গত মাস থেকে কাজ শুরু করেছে আইএলএমটি ৷ এআরআইইএস এর বিজ্ঞানী শশীভূষণ পাণ্ডে জানিয়েছেন, মহাকাশ গবেষণায় ব্যবহৃত প্রচলিত টেলিস্কোপগুলির তুলনায় এই আইএলএমটি অনেক বড় এলাকা পর্যবেক্ষণে সক্ষম ৷ তুলনামূলকভাবে রক্ষণাবেক্ষণও সহজ এই টেলিস্কোপের ৷ আইএলএমটি'তে তরল পারদ ব্যবহার করা হয়েছে ৷
এই টেলিস্কোপের মাধ্যমে প্রতিদিন 10 থেকে 15 জিবি তথ্য সংগ্রহ করা যাবে ৷ এখানকার বিজ্ঞানী ব্রীজেশ কুমার জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে 95 হাজার আলোকবর্ষ দূরের এনজিসি 4274 আকাশগঙ্গার পরিষ্কার ছবি তুলতে পেরেছে এই টেলিস্কোপ ৷ আকাশগঙ্গা ছায়াপথের নক্ষত্রদের ছবিও ধরা পড়বে এর মাধ্যমে ৷ বেলজিয়ামের একটি সংস্থা এই টেলিস্কোপ বানিয়েছে ৷ কানাডার জ্যোতির্বিজ্ঞানী অধ্যাপক পল হেক্সন আন্তর্জাতিক এই প্রকল্পের নেতৃত্বে রয়েছেন ৷