নয়াদিল্লি, 24 অগস্ট : সুপ্রিম কোর্টের বাইরে যে যুবতির বিরুদ্ধে আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল, মঙ্গলবার তিনি মারা গিয়েছেন বলে নয়াদিল্লির পুলিশের ডেপুটি কমিশনার দীপক যাদব জানিয়েছেন৷ গত 16 অগস্ট তিনি সুপ্রিম কোর্টের বাইরে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন৷ তাঁর শরীরের 85 শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল৷
আরও পড়ুন : MP : জেগে উঠবে মৃত, এই বিশ্বাসে গাছে মড়া বেঁধে ঝোলালেন গ্রামবাসীরা
24 বছরের ওই যুবতির সঙ্গে একজন বছর 27-এর যুবকও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন৷ তাঁর শরীরের 65 শতাংশ পুড়ে যায়৷ তিনি গত শনিবার মারা যান৷ দু'জনে রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন৷ তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছিল আইপিসির 309 নম্বর ধারা অনুযায়ী৷ পুলিশের ধারণা, ওই যুবকই যুবতিকে আত্মহত্যার জন্য উসকেছিলেন৷
জানা গিয়েছে যে যুবতি উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের বাসিন্দা৷ 2019 সালে বহুজন সমাজ পার্টির সাংসদ অতুল রায় তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ৷ গত দু’বছর ধরে অভিযুক্ত সাংসদ বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন৷ গায়ে আগুন দেওয়ার আগে ওই যুবতি ও ওই যুবক ফেসবুক লাইভ করেন৷ সেখানেই তাঁরা এই অভিযোগ করেন৷ সেখানে ওই যুবতি দাবি করেন যে একজন পুলিশ আধিকারিক অভিযুক্তকে সাহায্য করছে৷
আরও পড়ুন : Farmer Agitation : রাস্তা আটকে আন্দোলন নয়, কৃষক আন্দোলনে পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের
এদিকে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন যে ওই যুবতি নিজের বয়সের ভুল তথ্য দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ৷ তাই আদালত ওই যুবতি ও ওই যুবকের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে৷ তবে ফেসবুক লাইভে ওই বিষয়টিরও উল্লেখ করেন ওই যুবতি ৷
তিনি দাবি করেছিলেন, মার্চে তিনি এই সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন৷ সুবিচারের দাবিতে ধর্ষণের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা এলাহবাদ থেকে দিল্লিতে সরানোর আর্জি জানিয়ে তিনি শীর্ষ আদালতে মামলা করেছিলেন৷ তাছাড়া তাঁর প্রাণ সংশয়ও ছিল৷ অগস্টে বারাণসীর স্থানীয় আদালত তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে৷ তাঁর বয়স নিয়ে প্রশ্ন তুলে অতুল রাইয়ের ভাই আদালতে মামলা করেছিলেন৷ সেই মামলাতেই তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়৷
আরও পড়ুন : Covid Third Wave: অক্টোবরেই ভয়ংকর হবে তৃতীয় ঢেউ, স্কুল খুললে ঝুঁকির মুখে পড়বে শিশুরা