ETV Bharat / bharat

Andhra Shocker: 90 কিমি দূরের সরকারি হাসপাতালে গিয়ে প্রসব স্ত্রীর, দুর্ঘটনার বলি স্বামী পড়ে সেখানকারই মর্গে

Andhra Shocker: 90 কিলোমিটার দূরের হাসপাতালে গিয়ে সন্তানের জন্ম দিলেন এক মহিলা ৷ তবে সেই রাতেই দুর্ঘটনার বলি তাঁর স্বামীর দেহ এখন পড়ে আছে ওই হাসপাতালেরই মর্গে ৷

Andhra Shocker
অন্ধ্রপ্রদেশের ঘটনা
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 22, 2023, 8:58 AM IST

পালনাডু (অন্ধ্রপ্রদেশ), 11 অক্টোবর: অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের শাসক দলের নেতারা জোর প্রচার চালাচ্ছেন যে, তাঁরা গরিবদের জন্য একদিকে আরোগ্যশ্রী এবং অন্যদিকে জগনান্ন আরোগ্য সুরক্ষা প্রকল্প চালাচ্ছেন ৷ এ দিকে, একটি সরকারি হাসপাতালে ধরা পড়ল এক করুণ ছবি ৷ এলাকার কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সন্তান প্রসবের কোনও ব্যবস্থা বা থাকায় গর্ভবতীকে নিয়ে ছুটতে হল 90 কিনিট দূরের সরকারি হাসপাতালে । অবশেষে শনিবার নরসারাওপেট সরকারি হাসপাতালে তিনি সন্তানের জন্ম দেন ৷ তবে, বাইকে চড়ে হাসপাতালে যাওয়ার সময় গর্তময় রাস্তায় পড়ে দুর্ঘটনায় ওই মহিলার স্বামীর মৃত্যু হয় ।

রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদদা রজনীর জেলা পালনাডুতে ঘটেছে এই হৃদয় বিদারক ঘটনা ৷ সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর তাকে নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছেন স্ত্রী ৷ আর তাঁর স্বামীর প্রাণহীন দেহটি পড়ে রয়েছে ওই হাসপাতালেরই মর্গে ৷

নরমাল ডেলিভারির জন্য 90 কিমি: করমপুড়ির বাথিনা আনন্দের স্ত্রী রামাঞ্জিনী গর্ভবতী ছিলেন । শুক্রবার রাত 9টার দিকে করমপুড়ি জনস্বাস্থ্য কেন্দ্রে তাঁকে নিয়ে যান তাঁর স্বামী আনন্দ ৷ সেখানে ডাক্তার না থাকায় গুরজালা সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় । তাঁরা 108 অ্যাম্বুলেন্সে 20 কিলোমিটার দূরে গুরজালা হাসপাতালে পৌঁছন । সেখানকার চিকিৎসকরা ওই মহিলাকে পরীক্ষা করেন এবং তাঁকে তাঁরা আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য নরসারাওপেট সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন ৷ কারণ চিকিৎসকরা দেখতে পান যে, তাঁর অ্যামনিওটিক ফ্লুইড কম ছিল এবং তিনি রক্তশূন্যতায় ভুগছিলেন । সেখান থেকে 70 কিমি দূরে নরসারওপেট সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় রামাঞ্জিনীকে । আজ ভোরে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে তিনি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ৷

আরও পড়ুন: ভোটের মুখে রাজস্থানে বাজেয়াপ্ত 14 কোটি টাকার সোনা-রুপোর গয়না

গর্তময় রাস্তার বলি স্বামী: আনন্দ তাঁর স্ত্রীকে গুরাজালা থেকে নরসারাওপেটে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠিয়েছিলেন । এরপর করমপুড়ি থেকে 20 হাজার টাকা একজনের থেকে ধার নিয়ে তিনি বাইকে চড়ে নরসারাওপেট যাচ্ছিলেন ৷ সেই সময় জুলাকাল্লুতে রাস্তার একটি গর্তে পড়ে যায় তাঁর বাইক ৷ গুরুতর আহত হন তিনি । করমপুড়ি থেকে তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নরসারাওপেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । এরপর হাসপাতালেই মৃত্যু হয় আনন্দের ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিজ জেলার ঘটনা: গর্ভবতীকে তাঁর নিয়মিত প্রসবের জন্য 90 কিলোমিটার পথ যেতে হয়েছে । গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলেও সেখানে গর্ভবতীদের স্বাভাবিক প্রসবের কোনও ব্যবস্থা নেই ৷ সেখানে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, অ্যানাস্থিশিয়া করার চিকিৎসকও নেই ৷ এই ঘটনা সরকারি হাসপাতালের ভয়াবহ অবস্থা আবারও তুলে ধরল ৷ সরকার গ্রাম ক্লিনিক, জগনান্ন সুরক্ষা ও জনসাধারণের জন্য পারিবারিক চিকিৎসকের প্রচার চালালেও মৃতের স্বজনরা প্রশ্ন তুলছেন যে, কেন গ্রামে একটি প্রসবের স্থান থাকবে না ৷ তাঁরা আক্ষেপ করে বলেন, ডাক্তাররা যদি করমপুড়ি এবং গুরাজালার কোথাও ডেলিভারি করাতেন, তাহলে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটত না ।

পালনাডু (অন্ধ্রপ্রদেশ), 11 অক্টোবর: অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের শাসক দলের নেতারা জোর প্রচার চালাচ্ছেন যে, তাঁরা গরিবদের জন্য একদিকে আরোগ্যশ্রী এবং অন্যদিকে জগনান্ন আরোগ্য সুরক্ষা প্রকল্প চালাচ্ছেন ৷ এ দিকে, একটি সরকারি হাসপাতালে ধরা পড়ল এক করুণ ছবি ৷ এলাকার কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সন্তান প্রসবের কোনও ব্যবস্থা বা থাকায় গর্ভবতীকে নিয়ে ছুটতে হল 90 কিনিট দূরের সরকারি হাসপাতালে । অবশেষে শনিবার নরসারাওপেট সরকারি হাসপাতালে তিনি সন্তানের জন্ম দেন ৷ তবে, বাইকে চড়ে হাসপাতালে যাওয়ার সময় গর্তময় রাস্তায় পড়ে দুর্ঘটনায় ওই মহিলার স্বামীর মৃত্যু হয় ।

রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদদা রজনীর জেলা পালনাডুতে ঘটেছে এই হৃদয় বিদারক ঘটনা ৷ সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর তাকে নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছেন স্ত্রী ৷ আর তাঁর স্বামীর প্রাণহীন দেহটি পড়ে রয়েছে ওই হাসপাতালেরই মর্গে ৷

নরমাল ডেলিভারির জন্য 90 কিমি: করমপুড়ির বাথিনা আনন্দের স্ত্রী রামাঞ্জিনী গর্ভবতী ছিলেন । শুক্রবার রাত 9টার দিকে করমপুড়ি জনস্বাস্থ্য কেন্দ্রে তাঁকে নিয়ে যান তাঁর স্বামী আনন্দ ৷ সেখানে ডাক্তার না থাকায় গুরজালা সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় । তাঁরা 108 অ্যাম্বুলেন্সে 20 কিলোমিটার দূরে গুরজালা হাসপাতালে পৌঁছন । সেখানকার চিকিৎসকরা ওই মহিলাকে পরীক্ষা করেন এবং তাঁকে তাঁরা আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য নরসারাওপেট সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন ৷ কারণ চিকিৎসকরা দেখতে পান যে, তাঁর অ্যামনিওটিক ফ্লুইড কম ছিল এবং তিনি রক্তশূন্যতায় ভুগছিলেন । সেখান থেকে 70 কিমি দূরে নরসারওপেট সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় রামাঞ্জিনীকে । আজ ভোরে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে তিনি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ৷

আরও পড়ুন: ভোটের মুখে রাজস্থানে বাজেয়াপ্ত 14 কোটি টাকার সোনা-রুপোর গয়না

গর্তময় রাস্তার বলি স্বামী: আনন্দ তাঁর স্ত্রীকে গুরাজালা থেকে নরসারাওপেটে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠিয়েছিলেন । এরপর করমপুড়ি থেকে 20 হাজার টাকা একজনের থেকে ধার নিয়ে তিনি বাইকে চড়ে নরসারাওপেট যাচ্ছিলেন ৷ সেই সময় জুলাকাল্লুতে রাস্তার একটি গর্তে পড়ে যায় তাঁর বাইক ৷ গুরুতর আহত হন তিনি । করমপুড়ি থেকে তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নরসারাওপেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । এরপর হাসপাতালেই মৃত্যু হয় আনন্দের ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিজ জেলার ঘটনা: গর্ভবতীকে তাঁর নিয়মিত প্রসবের জন্য 90 কিলোমিটার পথ যেতে হয়েছে । গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলেও সেখানে গর্ভবতীদের স্বাভাবিক প্রসবের কোনও ব্যবস্থা নেই ৷ সেখানে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, অ্যানাস্থিশিয়া করার চিকিৎসকও নেই ৷ এই ঘটনা সরকারি হাসপাতালের ভয়াবহ অবস্থা আবারও তুলে ধরল ৷ সরকার গ্রাম ক্লিনিক, জগনান্ন সুরক্ষা ও জনসাধারণের জন্য পারিবারিক চিকিৎসকের প্রচার চালালেও মৃতের স্বজনরা প্রশ্ন তুলছেন যে, কেন গ্রামে একটি প্রসবের স্থান থাকবে না ৷ তাঁরা আক্ষেপ করে বলেন, ডাক্তাররা যদি করমপুড়ি এবং গুরাজালার কোথাও ডেলিভারি করাতেন, তাহলে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটত না ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.