ETV Bharat / bharat

Brutal Murder in Guwahati: স্বামী ও শাশুড়িকে খুন করে দেহের টুকরো ফ্রিজে রাখলেন মহিলা, তদন্তে নেমে চোখ কপালে পুলিশের

author img

By

Published : Feb 20, 2023, 12:16 PM IST

Updated : Feb 20, 2023, 12:21 PM IST

স্বামী ও শাশুড়িকে খুন করে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি মহিলার, 7 মাস পর তদন্তে উঠে এল হাড়হিম করা তথ্য (Horrific Murder case in Assam)৷

Etv Bharat
প্রতীকী ছবি

গুয়াহাটি (অসম), 20 ফেব্রুয়ারি: শ্রদ্ধা হত্যা মামলার অনুরূপ ঘটনা এবার অসমের গুয়াহাটিতে (Shraddha Murder Case Repeat in Guwahati)৷ এবার টাকার লোভে স্বামী ও শাশুড়িকে টুকরো টুকরো করে তা পলিথিনে মুড়ে ফ্রিজে রাখলেন মহিলা (Woman Cuts her Husband Mother in Law into Pieces)৷ তারপর সেই পলিথিন-সহ দেহ ফেলে দিয়ে এলেন মেঘালয়ের ডাউকি রোডের পাহাড়ি এলাকার প্রায় 50 থেকে 60 ফুট গভীর খাদে ৷ থানায় মৃতদের নামে নিজেই নিখোঁজের অভিযোগও দায়ের করলেন ৷ কিন্তু নিজের জালেই ফাঁসলেন মহিলা ৷ প্রায় সাতমাস পর তদন্তে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে এল ৷

কয়েক বছর আগে গুয়াহাটির নারেঙ্গির বাসিন্দা অমরজ্যোতি দে-র সঙ্গে বিয়ে হয় বন্দনা কলিতার ৷ তবে বিয়ের পর তাঁদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকলেও ধনজিৎ ডেকা নামে এক যুবকের সঙ্গে উচ্চাকাঙ্খী বন্দনা অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ৷ এই নিয়ে অমরজ্যোতির সঙ্গে বন্দনার প্রায়ই ঝগড়া হত ৷ অমরজ্যোতির মা শঙ্করী দে ছিলেন গুয়াহাটি শহরের চাঁদমারি এলাকার পাঁচটি ভবনের মালিক ৷ তার মধ্যে একটি ভবনে একাই থাকতেন শঙ্করী ৷ বাকি চারটি ভবনের ভাড়া আদায় করতেন অমরজ্যোতির মামা ৷ কিন্তু এতেও বন্দনা সন্তুষ্ট ছিলেন না ৷ এরকম বেশ কয়েকটি কারণে বন্দনা ও অমরজ্যোতির মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের প্রস্তুতি চলছিল ৷

আরও পড়ুন : পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে কুপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেল যুবক

এদিকে বন্দনা প্রায় সাতমাস আগে স্বামী ও শাশুড়ির নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ করেন নুনমতি থানায় ৷ এফআইআরের ভিত্তিতে নিখোঁজ ব্যক্তিদের একটি মামলা দায়ের করে ৷ তদন্ত চলাকালীন বন্দনা দ্বিতীয় অভিযোগ করেন যে, অমরজ্যোতির মামা তাঁর শাশুড়ির পাঁচটি অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা আত্মসাৎ করেছেন ৷ এই বিষয়ে তদন্তে নেমে পুলিশের নজরে আসে যে খোদ বন্দনাই একটি এটিএম ব্যবহার করে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে 5 লাখ টাকা তুলেছে ৷ এই তথ্য পেতেই পুলিশের সন্দেহ হয় বন্দনাকে ৷ এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বন্দনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷

এরপরই জেরায় ভেঙে পড়ে বন্দনা ৷ স্বীকার করে স্বামী ও শাশুড়িকে হত্যার কথা ৷ অরূপ দাস নামে এক যুবকের সহায়তায় শাশুড়ির মুখ বেঁধে খুনের পর তার দেহ টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে রাখার কথা জানায় ৷ এই ঘটনার তিনদিন পর বন্দনা তাঁর প্রেমিক ধনজিৎ ডেকাকে সঙ্গে নিয়ে স্বামী অমরজ্যোতিকে নারেঙ্গির বাড়িতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ৷ একইভাবে অমরজ্যোতির দেহও টুকরো টুকরো করে পলিথিনে মুড়ে ফ্রিজে রাখে ৷ এরপর তাঁদের দেহ ধনজিতের গাড়িতে করে মেঘালয়ের ডাউকির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ৷ তিন খুনি সেখানেই রাস্তার পাশে গভীর খাদে ফেলে দেয় দু'টি লাশ ৷

বন্দনার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি পাওয়ার পরেই শনিবার তিনসুকিয়া থেকে ধনজিৎ ডেকা ও খানাপাড়া থেকে অরূপ দাসকে গ্রেফতার করে গুয়াহাটির নুনমতি থানায় নিয়ে আসে পুলিশ ৷ এরপর রবিবার ভোরে তিন খুনিকে নিয়ে ডাউকিতে পৌঁছয় নুনমতি পুলিশের একটি দল ৷ গভীর খাদ থেকে মৃতদেহগুলির বেশ কিছু অংশ উদ্ধার করে পুলিশ ৷ এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে একটি বড় চক্র থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের ৷ বিবাহ বিচ্ছেদেও সম্পত্তির জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে পুলিশের দাবি ৷ আরও তথ্যের জন্য পুলিশ তিন অভিযুক্তকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করছে ৷

আরও পড়ুন : ফিরল শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি ! দিল্লিতে প্রেমিকাকে খুন করে ফ্রিজে রেখে দেওয়ার অভিযোগে ধৃত যুবক

গুয়াহাটি (অসম), 20 ফেব্রুয়ারি: শ্রদ্ধা হত্যা মামলার অনুরূপ ঘটনা এবার অসমের গুয়াহাটিতে (Shraddha Murder Case Repeat in Guwahati)৷ এবার টাকার লোভে স্বামী ও শাশুড়িকে টুকরো টুকরো করে তা পলিথিনে মুড়ে ফ্রিজে রাখলেন মহিলা (Woman Cuts her Husband Mother in Law into Pieces)৷ তারপর সেই পলিথিন-সহ দেহ ফেলে দিয়ে এলেন মেঘালয়ের ডাউকি রোডের পাহাড়ি এলাকার প্রায় 50 থেকে 60 ফুট গভীর খাদে ৷ থানায় মৃতদের নামে নিজেই নিখোঁজের অভিযোগও দায়ের করলেন ৷ কিন্তু নিজের জালেই ফাঁসলেন মহিলা ৷ প্রায় সাতমাস পর তদন্তে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে এল ৷

কয়েক বছর আগে গুয়াহাটির নারেঙ্গির বাসিন্দা অমরজ্যোতি দে-র সঙ্গে বিয়ে হয় বন্দনা কলিতার ৷ তবে বিয়ের পর তাঁদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকলেও ধনজিৎ ডেকা নামে এক যুবকের সঙ্গে উচ্চাকাঙ্খী বন্দনা অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ৷ এই নিয়ে অমরজ্যোতির সঙ্গে বন্দনার প্রায়ই ঝগড়া হত ৷ অমরজ্যোতির মা শঙ্করী দে ছিলেন গুয়াহাটি শহরের চাঁদমারি এলাকার পাঁচটি ভবনের মালিক ৷ তার মধ্যে একটি ভবনে একাই থাকতেন শঙ্করী ৷ বাকি চারটি ভবনের ভাড়া আদায় করতেন অমরজ্যোতির মামা ৷ কিন্তু এতেও বন্দনা সন্তুষ্ট ছিলেন না ৷ এরকম বেশ কয়েকটি কারণে বন্দনা ও অমরজ্যোতির মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের প্রস্তুতি চলছিল ৷

আরও পড়ুন : পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে কুপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেল যুবক

এদিকে বন্দনা প্রায় সাতমাস আগে স্বামী ও শাশুড়ির নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ করেন নুনমতি থানায় ৷ এফআইআরের ভিত্তিতে নিখোঁজ ব্যক্তিদের একটি মামলা দায়ের করে ৷ তদন্ত চলাকালীন বন্দনা দ্বিতীয় অভিযোগ করেন যে, অমরজ্যোতির মামা তাঁর শাশুড়ির পাঁচটি অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা আত্মসাৎ করেছেন ৷ এই বিষয়ে তদন্তে নেমে পুলিশের নজরে আসে যে খোদ বন্দনাই একটি এটিএম ব্যবহার করে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে 5 লাখ টাকা তুলেছে ৷ এই তথ্য পেতেই পুলিশের সন্দেহ হয় বন্দনাকে ৷ এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বন্দনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷

এরপরই জেরায় ভেঙে পড়ে বন্দনা ৷ স্বীকার করে স্বামী ও শাশুড়িকে হত্যার কথা ৷ অরূপ দাস নামে এক যুবকের সহায়তায় শাশুড়ির মুখ বেঁধে খুনের পর তার দেহ টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে রাখার কথা জানায় ৷ এই ঘটনার তিনদিন পর বন্দনা তাঁর প্রেমিক ধনজিৎ ডেকাকে সঙ্গে নিয়ে স্বামী অমরজ্যোতিকে নারেঙ্গির বাড়িতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ৷ একইভাবে অমরজ্যোতির দেহও টুকরো টুকরো করে পলিথিনে মুড়ে ফ্রিজে রাখে ৷ এরপর তাঁদের দেহ ধনজিতের গাড়িতে করে মেঘালয়ের ডাউকির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ৷ তিন খুনি সেখানেই রাস্তার পাশে গভীর খাদে ফেলে দেয় দু'টি লাশ ৷

বন্দনার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি পাওয়ার পরেই শনিবার তিনসুকিয়া থেকে ধনজিৎ ডেকা ও খানাপাড়া থেকে অরূপ দাসকে গ্রেফতার করে গুয়াহাটির নুনমতি থানায় নিয়ে আসে পুলিশ ৷ এরপর রবিবার ভোরে তিন খুনিকে নিয়ে ডাউকিতে পৌঁছয় নুনমতি পুলিশের একটি দল ৷ গভীর খাদ থেকে মৃতদেহগুলির বেশ কিছু অংশ উদ্ধার করে পুলিশ ৷ এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে একটি বড় চক্র থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের ৷ বিবাহ বিচ্ছেদেও সম্পত্তির জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে পুলিশের দাবি ৷ আরও তথ্যের জন্য পুলিশ তিন অভিযুক্তকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করছে ৷

আরও পড়ুন : ফিরল শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি ! দিল্লিতে প্রেমিকাকে খুন করে ফ্রিজে রেখে দেওয়ার অভিযোগে ধৃত যুবক

Last Updated : Feb 20, 2023, 12:21 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.