মুম্বই, 27 সেপ্টেম্বর : স্বাধীনতা সংগ্রামীর (freedom fighter) পেনশন আটকে রাখা একেবারেই ঠিক নয় ৷ এই পেনশন দ্রুত মেটানোর নির্দেশ দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court) ৷ ওই আদালতের বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ান ও মাধব জামদারের ডিভিশন বেঞ্চ গত 24 সেপ্টেম্বর এই নির্দেশ দেয় ৷ সোমবারই সেই নির্দেশের কপি প্রকাশ্যে আসে ৷
এক স্বাধীনতা সংগ্রামীর বছর 90-এর স্ত্রী এই নিয়ে মামলা করেছিলেন ৷ তাঁর স্বামী 56 বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন ৷ তিনি এখন সরকারি পেনশনের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ৷ সেই মামলাতেই মহারাষ্ট্র সরকারকে (Maharashtra government) এই নির্দেশ দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট ৷
আরও পড়ুন : Cyclone Gulab : দুই মৎস্যজীবীর প্রাণ কাড়ল 'গুলাব', শক্তি হারাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়
ওই মহিলার নাম শালিনী চহ্বন ৷ তিনি মহারাষ্ট্রের রাইগড় জেলার বাসিন্দা ৷ তাঁর স্বামী ছিলেন লক্ষ্মণ চহ্বন ৷ লক্ষ্মণ 1942 সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন ৷ পরে তাঁকে ব্রিটিশরা গ্রেফতার করে ৷ তার পর 1944 সালের 17 এপ্রিল থেকে 11 অক্টোবর পর্যন্ত তিনি মুম্বইয়ের বাইকুল্লা জেলে বন্দিও ছিলেন ৷
আদালতে ওই মহিলার আইনজীবীর দাবি, 1966 সালে স্বামীর জেলে থাকার নথির জন্য় আবেদন করেন ওই মহিলা ৷ বাইকুল্লা জেল থেকে একটি শংসাপত্র দেওয়া হয় ৷ তার ভিত্তিতে 1993 সালে তাঁকে পেনশনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন ৷ প্রয়োজনীয় নথি জমা করেন ৷
আরও পড়ুন : Ramoji Film City : তেলাঙ্গানা পর্যটন পুরস্কার পাচ্ছে রামোজি ফিল্ম সিটি
2002 সালে তিনি মহারাষ্ট্র সরকারের ‘ফ্রিডম ফাইটার হাই পাওয়ার্ড কমিটি’র কাছে আবেদন করেন ৷ সেই কমিটিও তাঁকে পেনশন দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হন ৷ কিন্তু তার পরও তিনি পেনশন পাননি ৷ তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শালিনী চহ্বন ৷ তিনি 1980 সালের স্বতন্ত্র সৈনিক সম্মান পেনশন যোজনায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন ৷ আদালতের কাছে তিনি দাবি করেছেন যে, তাঁকে 10 লক্ষ টাকা দেওয়া হোক সব মিলিয়ে ৷
শুনানিতে আদালত জানিয়েছে, নথিতে কোনও গোলমাল নেই ৷ তাই বম্বে হাইকোর্ট মনে করে, স্বাধীনতা সংগ্রামীর পেনশন আটকে রাখা উচিত নয় ৷ তাই আগামী 30 সেপ্টেম্বর এই নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের রিপোর্ট তলব করেছে আদালত ৷
আরও পড়ুন : sharmistha mukherjee : সক্রিয় রাজনীতি আর নয়, জানিয়ে দিলেন প্রণব-কন্যা শর্মিষ্ঠা