ETV Bharat / bharat

Farm Laws Repeal : কৃষি আইন বাতিলে রাজনৈতিক লাভ হবে কি বিজেপির ? - Farm laws repealed

সাতসকালে কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে গোটা দেশকেই চমকে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ কিন্তু মোদির সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক লাভ হবে কি বিজেপির ?

will bjp get political benifit from farm laws repeal decision
Farm Laws Repealed : কৃষি আইন বাতিলে মোদির সিদ্ধান্তের রাজনৈতিক লাভ হবে কি বিজেপির ?
author img

By

Published : Nov 19, 2021, 5:10 PM IST

Updated : Nov 19, 2021, 5:50 PM IST

কলকাতা, 19 নভেম্বর : সাতসকালেই গোটা দেশকে চমকে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ বিক্ষুব্ধ-স্বরকে গুরুত্ব দিতেই কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বলেই জানিয়েছেন তিনি ৷ কিন্তু কেন তাঁর সরকার এই সিদ্ধান্ত নিল ? আপাতত এই প্রশ্নই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে জাতীয় রাজনীতিতে ৷

বিরোধীরা বলছেন, ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি ৷ সেই কারণেই একের পর এক জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলেন ৷ এই সিদ্ধান্তের ফলে বোঝা গেল যে মোদির দর্পচূর্ণ হয়েছে ৷ তাই মোদির গায়ে ‘ভীতু’ তকমা সেঁটে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা ৷

আরও পড়ুন : Farm Laws Repeal : আইন প্রত্যাহার হলেও কৃষকদের বাকি দাবিগুলি মিটবে কি ?

কিন্তু সত্যিই কি তাই ? ভয় পেয়েই কি এই সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার ? যিনি 56 ইঞ্চির চওড়া ছাতির গর্বে গর্বিত হয়ে সাহসী পদক্ষেপে দেশকে স্বাবলম্বী করার কথা বলতেন, তিনিই শেষ পর্যন্ত কৃষকদের আন্দোলনে ভয় পেয়ে গেলেন ?

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা অবশ্য মনে করছেন, মোদি সরকার রাজনৈতিক অঙ্ক কষেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ কারণ, মাস দুয়েকের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব ও উত্তরাখণ্ড বিধানসভা ভোট ৷ তিনটি রাজ্যের একটা বড় অংশের কৃষক কেন্দ্রীয় সরকারের এই কৃষি বিল নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন ৷ ফলে তাঁদের সন্তুষ্ট করা জরুরি ৷

আরও পড়ুন : Farm Laws Repeal : সংসদে কৃষি আইন প্রত্যাহার হলেই আন্দোলনে ইতি, জানালেন রাকেশ টিকায়েত

বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশের পশ্চিম অংশের 136টি আসনে কৃষি আইন ফ্যাক্টর হতে পারত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ৷ তাঁদের মতে, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হল মোদি সরকার ৷ তাছাড়া উত্তরাখণ্ডের দক্ষিণ প্রান্তে এই কৃষি আইন ক্ষোভ ছিল ৷ সেটাও প্রশমিত করা গেল হয়তো !

এর সঙ্গে পঞ্জাবও রয়েছে ৷ সেখানেও মাস দু‘য়েক পরে বিধানসভা ভোট ৷ এই সিদ্ধান্তে ওই রাজ্যের কৃষকদেরও কিছুটা কাছে টানার চেষ্টা করল মোদি সরকার ৷

আরও পড়ুন : Farm Laws Repeal : আইন প্রত্যাহারের ঘোষণায় সিঙ্ঘু-টিকরি বর্ডারে মিষ্টি বিতরণ কৃষকদের

পঞ্জাবের রাজনীতি নিয়ে যাঁরা ওয়াকিবহাল, তাঁরা বলছেন যে পঞ্জাবের রাজনৈতিক অঙ্ক এবার বড় জটিল ৷ আগেরবার কংগ্রেস যেমন একার জোরে ক্ষমতা পেয়েছিল আর বিজেপির শোচনীয় পরাজয় হয়েছিল, তা নাও হতে পারে ৷ কারণ, কংগ্রেসের অন্তর্কলহ তো রয়েছেই ৷ তার সঙ্গে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসে সমস্যা আরও বাড়িয়েছেন ৷

এই পরিস্থিতিতে ক্যাপ্টেন নতুন দল গড়ছেন ৷ কৃষি আইন বাতিল করতে তাঁর বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে আপত্তি নেই বলে আগেই জানিয়েছিলেন ৷ এবার সেই কৃষি আইনও প্রত্যাহার হয়ে গেল ৷ ফলে তাঁর সঙ্গে বিজেপির জোটেরও কোনও বাধা রইল না ৷

আরও পড়ুন : Farm Laws Repeal : কৃষি আইনে পিছু হটেছে কেন্দ্র, উচ্ছ্বসিত বিরোধীরা

আর বিজেপির পুরনো সঙ্গী শিরোমনি অকালি দল যদি আবার এনডিএ-তে ফিরে আসে, তাহলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই ৷ এই পরিস্থিতিতে পাঁচ বছর পর আবার পঞ্জাবের ক্ষমতায় ফেরার আশা দেখতেই পারে বিজেপি ৷

তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গে বিজেপি এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে লোকসভার অঙ্কও কষে ফেলেছে ৷ পঞ্জাব-হরিয়ানা-উত্তরপ্রদেশের 40টি লোকসভা আসনে এই কৃষক বিক্ষোভ প্রভাব বিস্তার করছিল ৷ সেই বিক্ষোভকে যদি এই সিদ্ধান্ত প্রশমিত করতে পারে, তাহলে নরেন্দ্র মোদির টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রাস্তা প্রশস্ত হবে ৷

আরও পড়ুন : Farm Laws Repeal : একমাত্র সংসদই পারে কৃষি আইন বাতিল করতে, দাবি বিশেষজ্ঞদের

এই সিদ্ধান্ত মোদির মাস্টারস্ট্রোক নাকি অহঙ্কারের পতনের শুরু, তার উত্তর লুকিয়ে সময়ের গর্ভে ৷ সেই উত্তরই আগামী কয়েকমাস পর ইভিএমবন্দি হবে ৷ তাই সেই ইভিএম খোলা পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে ৷

কলকাতা, 19 নভেম্বর : সাতসকালেই গোটা দেশকে চমকে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ বিক্ষুব্ধ-স্বরকে গুরুত্ব দিতেই কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বলেই জানিয়েছেন তিনি ৷ কিন্তু কেন তাঁর সরকার এই সিদ্ধান্ত নিল ? আপাতত এই প্রশ্নই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে জাতীয় রাজনীতিতে ৷

বিরোধীরা বলছেন, ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি ৷ সেই কারণেই একের পর এক জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলেন ৷ এই সিদ্ধান্তের ফলে বোঝা গেল যে মোদির দর্পচূর্ণ হয়েছে ৷ তাই মোদির গায়ে ‘ভীতু’ তকমা সেঁটে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা ৷

আরও পড়ুন : Farm Laws Repeal : আইন প্রত্যাহার হলেও কৃষকদের বাকি দাবিগুলি মিটবে কি ?

কিন্তু সত্যিই কি তাই ? ভয় পেয়েই কি এই সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার ? যিনি 56 ইঞ্চির চওড়া ছাতির গর্বে গর্বিত হয়ে সাহসী পদক্ষেপে দেশকে স্বাবলম্বী করার কথা বলতেন, তিনিই শেষ পর্যন্ত কৃষকদের আন্দোলনে ভয় পেয়ে গেলেন ?

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা অবশ্য মনে করছেন, মোদি সরকার রাজনৈতিক অঙ্ক কষেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ কারণ, মাস দুয়েকের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব ও উত্তরাখণ্ড বিধানসভা ভোট ৷ তিনটি রাজ্যের একটা বড় অংশের কৃষক কেন্দ্রীয় সরকারের এই কৃষি বিল নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন ৷ ফলে তাঁদের সন্তুষ্ট করা জরুরি ৷

আরও পড়ুন : Farm Laws Repeal : সংসদে কৃষি আইন প্রত্যাহার হলেই আন্দোলনে ইতি, জানালেন রাকেশ টিকায়েত

বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশের পশ্চিম অংশের 136টি আসনে কৃষি আইন ফ্যাক্টর হতে পারত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ৷ তাঁদের মতে, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হল মোদি সরকার ৷ তাছাড়া উত্তরাখণ্ডের দক্ষিণ প্রান্তে এই কৃষি আইন ক্ষোভ ছিল ৷ সেটাও প্রশমিত করা গেল হয়তো !

এর সঙ্গে পঞ্জাবও রয়েছে ৷ সেখানেও মাস দু‘য়েক পরে বিধানসভা ভোট ৷ এই সিদ্ধান্তে ওই রাজ্যের কৃষকদেরও কিছুটা কাছে টানার চেষ্টা করল মোদি সরকার ৷

আরও পড়ুন : Farm Laws Repeal : আইন প্রত্যাহারের ঘোষণায় সিঙ্ঘু-টিকরি বর্ডারে মিষ্টি বিতরণ কৃষকদের

পঞ্জাবের রাজনীতি নিয়ে যাঁরা ওয়াকিবহাল, তাঁরা বলছেন যে পঞ্জাবের রাজনৈতিক অঙ্ক এবার বড় জটিল ৷ আগেরবার কংগ্রেস যেমন একার জোরে ক্ষমতা পেয়েছিল আর বিজেপির শোচনীয় পরাজয় হয়েছিল, তা নাও হতে পারে ৷ কারণ, কংগ্রেসের অন্তর্কলহ তো রয়েছেই ৷ তার সঙ্গে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসে সমস্যা আরও বাড়িয়েছেন ৷

এই পরিস্থিতিতে ক্যাপ্টেন নতুন দল গড়ছেন ৷ কৃষি আইন বাতিল করতে তাঁর বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে আপত্তি নেই বলে আগেই জানিয়েছিলেন ৷ এবার সেই কৃষি আইনও প্রত্যাহার হয়ে গেল ৷ ফলে তাঁর সঙ্গে বিজেপির জোটেরও কোনও বাধা রইল না ৷

আরও পড়ুন : Farm Laws Repeal : কৃষি আইনে পিছু হটেছে কেন্দ্র, উচ্ছ্বসিত বিরোধীরা

আর বিজেপির পুরনো সঙ্গী শিরোমনি অকালি দল যদি আবার এনডিএ-তে ফিরে আসে, তাহলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই ৷ এই পরিস্থিতিতে পাঁচ বছর পর আবার পঞ্জাবের ক্ষমতায় ফেরার আশা দেখতেই পারে বিজেপি ৷

তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গে বিজেপি এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে লোকসভার অঙ্কও কষে ফেলেছে ৷ পঞ্জাব-হরিয়ানা-উত্তরপ্রদেশের 40টি লোকসভা আসনে এই কৃষক বিক্ষোভ প্রভাব বিস্তার করছিল ৷ সেই বিক্ষোভকে যদি এই সিদ্ধান্ত প্রশমিত করতে পারে, তাহলে নরেন্দ্র মোদির টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রাস্তা প্রশস্ত হবে ৷

আরও পড়ুন : Farm Laws Repeal : একমাত্র সংসদই পারে কৃষি আইন বাতিল করতে, দাবি বিশেষজ্ঞদের

এই সিদ্ধান্ত মোদির মাস্টারস্ট্রোক নাকি অহঙ্কারের পতনের শুরু, তার উত্তর লুকিয়ে সময়ের গর্ভে ৷ সেই উত্তরই আগামী কয়েকমাস পর ইভিএমবন্দি হবে ৷ তাই সেই ইভিএম খোলা পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে ৷

Last Updated : Nov 19, 2021, 5:50 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.