বেঙ্গালুরু, 15 মার্চ : শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা বজায় রেখেছে কর্নাটক হাইকোর্ট (Verdict on Hijab ban) ৷ এই নিয়ে রাজনৈতিক মহল দ্বিধাবিভক্ত (what political leaders think of the Karnataka HC verdict on Hijab ban) ৷ কেউ আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন ৷ আবার কেউ রায়ের সমালোচনা করেছেন ৷
ওমর আবদুল্লা, ন্যাশনাল কনফারেন্স : তিনি এই রায়কে হতাশাজনক বলে ব্যাখ্যা করেছেন ৷ তাঁর দাবি, কোনও মহিলা কী পোশাক পরবেন, সেটা তাঁর অধিকার ৷
আরিফ মহম্মদ, কেরলের রাজ্যপাল : তাঁর দাবি, হিজাব ব্যবহারে জোর করে মুসলিম মহিলাদের চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি করার চেষ্টা চলছে ৷ অথচ দেশ নির্মাণে তরুণ মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে ৷
প্রহ্লাদ যোশী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী : দেশ ও রাজ্য অনেক এগিয়ে গিয়েছে ৷ প্রত্যেকের উচিত শান্তি বজায় রেখে কর্নাটক হাইকোর্টের রায়কে মেনে নেওয়া (karnataka hc verdict on hijab ban) ৷ পড়ুয়াদের প্রথম কাজ লেখাপড়া করা ৷ তাই সবাই মিলে লেখাপড়ায় মন দেওয়া উচিত ৷
আসাদুদ্দিন ওয়াইসি, এআইএমআইএম সাংসদ : তিনি এই রায়ের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছেন ৷ তাঁর দাবি, ‘‘ধর্মপ্রাণ মুসলিমের কাছে হিজাব প্রার্থনার অঙ্গ ৷ যদি আমার বিশ্বাস বলে যে আমার মাথা ঢাকতে হবে, তাহলে সেটা করা আমার অধিকারের মধ্যে পড়ে ৷’’ তিনি মুসিলম পার্সোনাল ল বোর্ড ও অন্য ধর্মীয় সংগঠনগুলিকে এর বিরুদ্ধে আবেদন জানানোর কথা বলেছেন ৷
তেজস্বী সূর্য, বিজেপি সাংসদ : তিনি আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন ৷ তাঁর কথায়, সমাজের একটা অংশ হিজাব পরতে বাধ্য করে মুসলিম মেয়েদের পিছনে ঠেলে দিতে চাইছে ৷
কে চন্দ্রশেখর রাও, তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী : তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কে কী পরবে, তা নিয়ে সরকারের কী করার আছে ? তাই তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে ৷ তাঁর প্রশ্ন, কেন হিজাব নিয়ে এত বিতর্ক (hijab ban controversy) ? কেন পরিবেশ বদলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে ?
রেখা শর্মা, জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন : তিনি জানিয়েছেন, কোরান অনুযায়ী এটা কোনও ধর্মীয় অভ্যাস নয় ৷ দ্বিতীয় কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের সেখানকার নিয়ম নীতি মেনে চলা উচিত ৷
আরও পড়ুন : Hijab row: হিজাব ছাড়া কলেজে যাবেন না, জানিয়ে দিলেন কর্নাটকের মামলাকারী ছাত্রীরা