চেন্নাই, 1 এপ্রিল: আত্মঘাতী হলেন আইআইটি মাদ্রাজের পিএইচডি রিসার্চ স্কলার ৷ তিনি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা । আত্মহত্যার কিছু আগে ফোন থেকে হোয়াটয়অ্যাপে স্টেটাস দিয়ে লেখেন, 'দুঃখিত, আমি যোগ্য নই ৷ যথেষ্ট হয়েছে' ৷ এরপরই শুক্রবার ভেলাচেরিতে থাকা সেখানের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন বাংলার ওই পিএইচডি পড়ুয়া ৷ কী কারণে এমন লিখলেন তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
স্থানীয় ভেলাচেরি পুলিশ জানিয়েছে, ওই মৃত পিএইচডি পড়ুয়ার নাম সচিন কুমার জৈন ৷ তাঁর বয়স 32 বছের ৷ শুক্রবার সকালে অন্যান্য দিনের মতো যথারীতি মাদ্রাজ আইআইটিতে গিয়েছিলেন। তবে, তিনি কাউকে না-জানিয়ে দুপুর 12টা নাগাদ তাঁর ভাড়া বাড়িতে ফিরে এসেছিলেন ৷ সেই ভাড়া বাড়িতে সচিনের সঙ্গে থাকতেন আরও দু'জন ৷ অন্যদিকে, তাঁর স্টেটাস দেখার পর কিছু বন্ধু সচিনের কী হয়েছে তা জানতে প্রথমে তাঁর ক্লাসে পৌঁছন ৷ সচিন সেখানে না-থাকায় কয়েকজন বন্ধু দ্রুত তাঁর বাড়িতে আসেন ৷
সেখানে তাঁরা দেখতে পান দরজা ভিতর থেকে আটকানো। সঙ্গে সঙ্গে দরজা ভেঙে দেন ৷ ঘরে ঢুকতেই দেখতে পান ভয়াবহ দৃশ্য ৷ দেখেন সচিন সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন ৷ তারপরই বন্ধুরা খবর দেন স্থানীয় ভেলাচেরি পুলিশে ৷ পলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় ৷ মৃতদেহ সেখানকার সরকারি রায়পেট্টা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে পুলিশের তরফে ৷ ঘটনায় পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে ৷
আরও পড়ুন: খড়গপুর আইআইটির ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ বিচারপতি মান্থার
উল্লেখ্য, মাস খানেক আগে খড়গপুর আইআইটি'র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক ছাত্রের হস্টেলের ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ার ঘটনা সামনে আসে ৷ তারপর পুলিশ এসে সেই বিকৃত অবস্থায় পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করে। এরপরই ঘটনার তদন্ত শুরু করে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তিনি অসমের বাসিন্দা ৷ অসমের তিনসুকিয়া থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এসে ছেলেকে খুনের অভিযোগ করেছিলেন ফায়জলের বাবা ও মা।