লখনৌ: মসজিদের আগে কি মন্দির ছিল? বৃহস্পতিবার একটি মামলার শুনানিতে বারাণসী কোর্ট আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর জেনারেলকে জ্ঞানভ্যাপি মসজিদের জমিতে এর আগে হিন্দু মন্দির ছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখতে নির্দেশ দিয়েছে ৷
ভারতের অন্যতম উল্লেখযোগ্য তীর্থক্ষেত্র উত্তরপ্রদেশের বারণসী৷ শুধু মন্দিরই নয়, ছড়িয়ে রয়েছে মসজিদও৷ কাশী বিশ্বনাথ মন্দির সংলগ্ন অঞ্চলে অবস্থিত এই মসজিদ ৷
2019-এর ডিসেম্বরে অ্যাডভোকেট বিজয়শঙ্কর রাস্তোগী কোনও হিন্দু মন্দির ভেঙে, সেই জায়গায় এই মসজিদ তৈরি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করতে পিটিশন জমা দেন ৷ 1991-এর প্লেসেস অফ ওয়ারশিপ অ্যাক্ট অনুযায়ী, 1947-এর 15 অগস্টে দেশজুড়ে কোনও ধর্মস্থানের চরিত্র বদল করা যাবে না, এই আইন জারি হয় ৷ কিন্তু বিজয়ের দাবি, 17 শতকের আংশিক ভেঙে যাওয়া একটি মন্দিরকে পুরোপুরি বিনষ্ট করে নতুন করে এই মসজিদ তৈরি করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: রাজীবের গড় থেকে তৃণমূলের আন্দোলনের আঁতুরঘর সিঙ্গুর রায় দেবে চতুর্থ দফায়
'বিতর্কিত এই বিষয়টির সঙ্গে ভারতের ইতিহাসের সম্পর্ক গভীর', জানিয়ে বারাণসী কোর্ট এএসআইকে 'বিস্তারিত প্রত্নতাত্ত্বিক বাস্তব সমীক্ষা' করে দেখতে বলেছে৷
দ্য প্লেসেস অফ ওরশিপ (স্পেশ্যাল প্রভিশনস) অ্যাক্ট 1991 কী?
অযোধ্যা-বিতর্ককে কেন্দ্র করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রচারের পরিপ্রেক্ষিতে এই অ্যাক্ট চালু করে নরসিমহা রাও সরকার ৷ অযোধ্যা, বারাণসী আর মথুরার মন্দিরগুলির নিয়ন্ত্রণকে আইনি পরিসরে আনার জন্যই এই অ্যাক্ট ৷ শুধুমাত্র রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদের ক্ষেত্রেই এই আইনের ব্যতিক্রম হয় ৷ বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত রায় দেওয়ার সময় পাঁচ বিচারপতির একটি বেঞ্চ এই আইনকে 'একটা সাংবিধানিক হস্তক্ষেপ' মাত্র আর এই আইন 'আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধগুলির প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্যগুলির অধঃপতন' রক্ষাকারী বলে চিহ্নিত করে৷
তবে, বিদায়ী প্রধান বিচারপতি এস এ বোবড়ে-সহ তিন বিচারপতির একটি বেঞ্চ এই আইনটির বৈধতা আবারও খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে ৷