নয়াদিল্লি, 26 সেপ্টেম্বর: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারত ও কানাডা দুই দেশের বিষয়েই গভীরভাবে চিন্তা করে ৷ মঙ্গলবার এই মন্তব্য করেছেন, ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেট্টি ৷ খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি কানাডা ও ভারতের মধ্যে যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এই মন্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে ৷
ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এদিন বলেন, "আমরা দুই দেশের কথাই ভাবি এবং আমরা তাদের সম্পর্কের বিষয়েও যত্নশীল ৷ এই দুই দেশের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ক শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে ৷ আমার মনে হয় আমাদের সম্পর্ক, সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের একসঙ্গে কাজ করা উচিত ৷" মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখ্যপাত্র ম্যাথিউ মিলার এদিন জানিয়েছেন, হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ভারতকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, সেই বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সচেতন ৷ তাঁর এই বক্তব্যের পরেই এদিন এই মন্তব্য করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ৷
মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখ্যপাত্র ম্যাথিউ মিলারের কথায়, "প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো যে অভিযোগ তুলেছেন সেই বিষটিতে আমরা অবগত ৷ আমরা কানাডার সঙ্গে এই বিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি ৷" উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সে দেশের সংসদে দাঁড়িয়ে দাবি করেছিলেন, হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের ঘটনায় ভারত সরকারের এজেন্টদের যুক্ত থাকার বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ রয়েছে ৷ ট্রুডোর এই মন্তব্যের পরেই ভারত-কানাডা সম্পর্ক প্রায় তলানিতে নেমেছে ৷
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশন থেকেই কি কানাডাকে জবাব দেবে ভারত, নজর জয়শঙ্করের ভাষণে
এদিন নয়াদিল্লিতে 13 তম ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মিস চিফ কনফারান্সে (আইপিএসিসি) যোগ দেন ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেট্টি ৷ তিনি জানিয়েছেন, এই বছর রেকর্ড সংখ্যক ভারতীয় পড়ুয়াকে মার্কিন ভিসা দেওয়া হয়েছে ৷ ফলে আমেরিকায় পড়তে যাওয়া বিদেশি পড়ুয়াদের মধ্যে সম্ভবত ভারতের পড়ুয়াদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি ৷ (এএনআই)