লখনউ, 21 জুন : একের পর এক জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগে উত্তপ্ত রামের জন্মভূমি ৷ তিনদিন আগে চম্পত রাইয়ের ভাইয়ের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ নিয়ে একটি ফেসবুকে পোস্ট করেন সাংবাদিক বীনিত নারাইন ৷ বিজনোরের পুলিশ প্রধান অবশ্য ট্রাস্টের সচিব রাই আর তার ভাইকে বেকসুর খালাস (clean chit) দিয়েছেন ৷
তবে সাংবাদিক বীনিত নারাইন ও অন্য দু'জন প্রবাসী ভারতীয় অলকা লাহোটি, রজনীশের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 15টি ধারা, আইটি অ্যাক্টের তিনটি ধারায় মামলা দায়ের করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ৷ এগুলো মিথ্যে, ষড়যন্ত্র, বরং এই খবরে দেশের কোটি কোটি হিন্দুর ভাবাবেগে আঘাত হানা হয়েছে, দাবি বিশ্বহিন্দু পরিষদের সদস্য-নেতা চম্পত রাইয়ের ভাই সঞ্জয় বনসলের ৷ তাঁর এই অভিযোগের ভিত্তিতেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এফআইআর (FIR) দায়ের করেছে সাংবাদিক-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৷
আরও পড়ুন : জমি কিনে বিতর্কে রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট, সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ দাবি কংগ্রেসের
তিনদিন আগে রামমন্দির জমি কেনা নিয়ে সাংবাদিক নারাইন আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য ফেসবুকে পোস্ট করেন ৷ 1991 থেকে বিশ্বহিন্দু পরিষদের কার্যকর্তা চম্পত রাই ৷ তিনি তাঁর ভাইকে বিজনোরে 20 হাজার বর্গমিটারের একটি গোয়াল কিনতে সাহায্য করেছিলেন ৷ এই গোয়ালটির মালিক প্রবাসী ভারতীয় অলকা লাহোটি ৷ 2018 সাল থেকে এই দখলদারদের হাত থেকে গোয়ালটি উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি ৷ এমনকি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও এ বিষয়ে জানিয়েছিলেন ৷ কিন্তু শেষমেশ হাতছাড়া হয়ে যায় তাঁর জমি ৷
এফআইআর-এর পর একদিনও কাটেনি, বিজনোরের পুলিশ প্রধান ধরম বীর সিং সঞ্জয় বনসলকে সমর্থন করে একটি বিবৃতি দিয়ে টুইট পোস্ট করেছেন ৷ তবে সেখানে তিনি জানাতে ভোলেননি যে তদন্ত চলছে ৷
রামমন্দিরের জমি কেনাবেচার একাধিক কেলেঙ্কারিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং ট্রাস্টের প্রধান পুরোহিত সত্যেন্দ্র দাস, স্বামী স্বরূপানন্দ-সহ বেশ কিছু সাধুরা ৷ রামের নামে ভক্তদের দেওয়া কোটি কোটি টাকা নয়ছয় করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা ৷ কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালাও অভিযোগ করেন, স্থানীয় বিজেপি নেতা দীপ নারায়ণ ফেব্রুয়ারি মাসে 890 বর্গমিটারের একটি জমি কিনে মাত্র 79 দিনের মাথায় মন্দিরের ট্রাস্টের কাছে 2.5 কোটি টাকায় বিক্রি করেছেন ৷ তিনি লাভ করেছেন 1250 শতাংশ ৷ ট্রাস্টের সদস্যদের নিয়োগকর্তা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদি কিন্তু চুপ করে রয়েছেন প্রথম থেকে ৷