নাসিক(মহারাষ্ট্র), 26 এপ্রিল: আয়কর অভিযানে নাসিকে নির্মাণ ব্যবসায়ীদের 3 হাজার 333 কোটি টাকার বেনামি সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে ৷ ওই শহরে আয়কর বিভাগ ছয় দিন আগে সাতটিরও বেশি নির্মাণ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে ৷ ছয় দিন ধরে সেই তদন্ত চলে ৷ তদন্ত শেষে 3 হাজার 333 কোটি টাকার বেআইনি সম্পত্তি লেনদেনের বিষয়টি সামনে এসেছে । ছয় দিন আগে আয়কর দফতর নাসিক শহরের 40 থেকে 45টি অফিস, আবাসন, সাতটিরও বেশি নির্মাণ ব্যবসায়ীদের বাড়ির হানা দিয়েছিল । নাসিকের আয়কর তদন্ত বিভাগের সঙ্গে থানে, সম্ভাজিনগর, পুনে, মুম্বই, নাগপুরের অফিসের 200টিরও বেশি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর একটি দল অভিযান চালায় । আয়কর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, 3 হাজার 333 কোটি টাকার বেনামি সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে ৷
এই অভিযানে শতাধিক যানবাহনের একটি কনভয় বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ীদের অফিসের বাইরে পার্কিং করা হয় । অফিসাররা 20 এপ্রিল সকাল 6টার দিকে নাসিক শহরের কেন্দ্রস্থল মহাত্মা গান্ধি রোডে একজন বিশিষ্ট নির্মাতার অফিসে প্রবেশ করে নথিপত্র পরীক্ষা করেন । এরপর কলেজ রোড, গঙ্গাপুর রোড, ইয়েভলেকার মালা, কুলকার্নি গার্ডেন এবং গডকরি চকের সামনে এবং ফেম টকিজের সামনে বিল্ডার্স অফিসে অভিযান চালানো হয় ।
আয়কর আধিকারিকরা আরও জানিয়েছেন, বেশিরভাগ ব্যবসায়ীই কর ফাঁকি দিয়েছে । বড় পরিসরে ভবন নির্মাণের কাজ হলেও কাগজে-কলমে কর খুবই কম দেখানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে । এই অভিযানে দুই ব্যবসায়ী তাদের প্রয়োজনীয় ল্যাপটপ, কাগজপত্র ও অন্যান্য নথি দুটি বিলাসবহুল গাড়ি করে কোনও স্থানে পাঠানোর চেষ্টা করেন । যা পরে চন্দনপুরী ঘাটের কাছে আয়কর দফতরের হাতে ধরা পড়ে । এই গাড়িতে অন্তত 30 থেকে 40টি নথি পাওয়া গিয়েছে ।
এই অভিযানে প্রায় 70 থেকে 80 কোটি টাকার বেনামি সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে বলে খবর । আয়করের দলটি আনন্দওয়ালির কাছে একটি ভবনে রাখা এক নির্মাণ ব্যবসায়ীর নথি এবং সমস্ত নগদ লেনদেনের তথ্য, অবৈধ ক্রয়-বিক্রয় এবং কর ফাঁকির নথি খুঁজে পেয়েছে । তদন্তোর স্বার্থেই ভবনটিতে অভিযান চালানো হয় এবং কমপক্ষে দুই বা তিনটি ছোট লরির টেম্পোয় ভরতি নথি বাজেয়াপ্ত করা হয় ৷ এই সময় নগদ তিন কোটি টাকা ও আড়াই কোটি টাকার গয়না পাওয়ার তথ্য উঠে এসেছে ।
আরও পড়ুন: ব়্যাপিডো চালকের অসভ্যতা থেকে বাঁচতে চলন্ত বাইক থেকে লাফ তরুণীর ! দেখুন ভিডিয়ো