হাওড়া, 29 সেপ্টেম্বর: জঙ্গি যোগ থাকার অভিযোগে ভিনরাজ্য থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার (Alleged Terrorists Arrested) করল রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) এসটিএফ (STF) ৷ সূত্রের খবর, সম্প্রতি হাওড়ার বাঁকড়া ও দক্ষিণ 24 পরগনা থেকে একই কারণে কয়েকজন যুবককে গ্রেফতার করা হয় ৷ তাদের জেরা করেই এই দু'জনের সন্ধান পাওয়া যায় ৷ বুধবার ওই দুই অভিযুক্তকে মধ্যপ্রদেশের ভোপাল (Bhopal) থেকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ ৷ বৃহস্পতিবার ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ডে এ রাজ্যে নিয়ে আসা হয় ৷
প্রাথমিক তদন্তে এসটিএফ-এর অনুমান, গ্রেফতারি এড়াতে ধৃতরা ঘন ঘন নিজেদের নাম বদল করত ৷ এছাড়াও জানা গিয়েছে, আগে এই দুই যুবকই হাওড়ার ডোমজুড় থানা এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে থাকত ৷ কিন্তু, তাদের ধরতে পুলিশের তৎপরতা শুরু হতেই চম্পট দেয় দুই অভিযুক্ত ৷ হাওড়া থেকে সোজা ভোপালে গিয়ে গা-ঢাকা দেন তারা ৷ তবে, তাতে শেষরক্ষা হয়নি ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্য়ে একজন হল জাহিলউদ্দিন আলি ওরফে ইলিয়াস মোহন পাত্র ওরফে হোলিউল্লা মিলন ওরফে ইলিয়াস ইব্রাহিম ৷ দ্বিতীয় জন আলি আবেদিন ওরফে আক্রামুল হক ৷ এদিন দুই অভিযুক্তকেই হাওড়া আদালতে পেশ করা হয় ৷ বিচারক দু'জনকেই 12 দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন ৷
আরও পড়ুন: আল-কায়েদা জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার এলাকার যুবক ! হতবাক মালদার গ্রাম
এই ঘটনায় সরকারি আইনজীবী সোমনাথ বন্দোপাধ্যায় জানান, ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতবিরোধী কাজে এবং সন্ত্রাসে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে ৷ এদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ-এর নির্দিষ্ট ধারায় মামলা চালানো হবে ৷ ডোমজুড়ে বাড়ি ভাড়া নিয়ে যারা ছিল বলে জানা গিয়েছে, সেই ঘটনায় মোট চারজনকে খোঁজা হচ্ছিল ৷ তাদের মধ্য়ে একজনকে আগেই গ্রেফতার করা হয় ৷ আর একজন পলাতক ৷ তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে ৷ এবার এই দু'জনকে জেরা করলে এদের সেই পলাতক সঙ্গীরও নাগাল পাওয়া যেতে পারে বলেই মনে করছেন সরকারি আইনজীবী ৷
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই হাওড়ার বাঁকড়া থানা এলাকা থেকে দুই দফায় দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এসটিএফ ৷ ধৃতদের মধ্য়ে একজন স্থানীয় মাদ্রাসার শিক্ষক ৷ তাদের জেরা করেই একে একে বাকিদের খোঁজ পাওয়া যায় ৷