আগরতলা, 16 জুন: অনুপ্রবেশের অভিযোগে 11 জনকে গ্রেফতার করল ত্রিপুরা পুলিশ ৷ গত 15 জুন গভীর রাতে ওই রাজ্য়ের উত্তর জেলায় অভিযান চালিয়ে এই 11 জনকে গ্রেফতার করা হয় ৷ পরে তাঁদের স্থানীয় কদমতলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয় ৷ ধৃতদের মধ্যে বাংলাদেশের নাগরিক যেমন রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন রোহিঙ্গারাও ৷
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা দালাল মারফত অবৈধভাবে ভারতে আসে ৷ তাদের দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল ৷ সেই উদ্দেশে তাঁরা অসমের করিমগঞ্জের দিকে তিনটি গাড়িতে রওনা দেন ৷ সেই খবর আসে পুলিশের কাছে ৷ এর পর বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ওই 11 জনকে ধরে পুলিশ ৷
কদমতলা থানা ত্রিপুরার ধর্মনগর মহকুমার মধ্যে পড়ছে ৷ ধর্মনগরের এসডিপিও দেবাশিস সাহা জানিয়েছেন, ত্রিপুরার উনাকোটি জেলার কৈলাশহর এলাকার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের দিক থেকে ভারতের দিকে প্রবেশ করে ৷ দালাল মারফত এপারে আসায় স্বাভাবিকভাবে তাদের কাছে কোনও বৈধ নথি ছিল না ৷ সেই কারণেই তাঁদের অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷
তিনি আরও জানান, রহমান আলি (30), জানানতারা (19), খালেদা বেগম (19) বাংলাদেশের নাগরিক ৷ তাঁদের সঙ্গে এক নাবালিকাও রয়েছে ৷ এঁরা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দা ৷ এছাড়া বাংলাদেশের আরও তিনজন রয়েছেন ৷ তাঁরা হলেন - করিমা বেগম (28), আব্বাস হাওলাদার (35) ও আল হাফিজ (18) ৷ তাঁরা বাংলাদেশের বরিশাল জেলার বাসিন্দা ৷ তিনি জানিয়েছেন, বাকি চারজন রোহিঙ্গা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন ৷ তাঁদের নাম - মহম্মদ আলম সা (20), কুমাইর বিবি (18), ফরিদা বেগম (18) ও শাফেলা বেগম (18) ৷
এই ঘটনায় যে তিনজন ভারতীয় দালাল হিসেবে অবৈধভাবে ওই 11 জনকে সীমান্তের এপারে এনেছিলেন, তাঁদের চিহ্নিত করেছে পুলিশ ৷ তারা জানিয়েছে যে ওই তিনজনের নাম - আব্দুল ফাট্টা খান, ছায়েদ আলি ও মাতশির আলি ৷ তাঁরা ত্রিপুরার উনাকোটি জেলার ভগবাননগরের বাসিন্দা ৷ তাঁরা মূলত গাড়ির চালকের কাজ করেন ৷ তাঁদের বিরুদ্ধেও পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ৷
আরও পড়ুন: অবৈধভাবে ভারতে ঢুকে দিল্লিতে ঘাঁটি তৈরি করছে রোহিঙ্গারা !