আগরতলা, 26 জুন: ত্রিপুরা বিধানসভা উপনির্বাচনে (Tripura Bypoll 2022) বড় স্বস্তি গেরুয়া শিবিরের ৷ টাউন বড়দোয়ালি (Town Bardowali) আসনে জয়ী হলেন বিজেপি প্রার্থী (BJP Candidate) তথা রাজ্যের নয়া মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (Manik Saha) ৷ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের আশিসকুমার সাহার (Ashish Kumar Saha) সঙ্গে মানিকের প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান প্রায় 6 হাজার ৷ মানিক পেয়েছেন 16 হাজার 870টি ভোট ৷ অন্যদিকে, আশিসের ঝুলিতে পড়েছে 10 হাজার 930টি ভোট ৷
সম্প্রতি বিপ্লব দেবকে (Biplab Kumar Deb) সরিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদে মানিক সাহাকে বসায় শাসকদল বিজেপি ৷ তাই পরবর্তী ছ'মাসের মধ্যে ভোটে জিতে আসতে না পারলে মুখ্যমন্ত্রিত্ব হারাতে হত তাঁকে ৷ সেই কারণেই এই জয় অত্যন্ত জরুরি ছিল তাঁর এবং তাঁর দলের কাছে ৷ প্রসঙ্গত, ত্রিপুরার মোট চারটি আসনে বিধানসভা উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৷ টাউন বরদোয়ালি বাদে বাকি তিনটি কেন্দ্র হল আগরতলা, যুবরাজনগর এবং সুরমা ৷
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা পেশায় একজন দন্ত চিকিৎসক ৷ 2016 সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেন তিনি ৷ চলতি বছর ত্রিপুরা থেকেই রাজ্যের একটি মাত্র রাজ্যসভার আসনে জয়ী হয়ে সাংসদ হন ৷ এদিকে, ত্রিপুরার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে নিয়ে বিজেপির অন্দরে অসন্তোষ বাড়তে থাকে ৷ এই অবস্থায় মানিককে তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দল ৷ উল্লেখ্য, রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ থাকলেও এর আগে মানিক কখনও জনতা রায় আদায় করতে ভোটের ময়দানে নামেননি ৷ বস্তুত, এ বারের ত্রিপুরা উপনির্বাচনেই এই বিষয়ে তাঁর হাতেখড়ি হয় ৷ আর সেই ভোটেই জয়ী হন তিনি ৷
অন্যদিকে, এই উপনির্বাচনে কংগ্রেসের বাজি ছিলেন সুদীপ রায়বর্মন ৷ একটা সময় কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়েছিলেন সুদীপ ৷ কিন্তু, বিপ্লব দেবের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে পুরনো দলে ফিরে আসেন ৷ আগরতলায় তাঁকে টিকিট দেয় কংগ্রেস ৷ সেই আসনে জয়ী হয়েছেন তিনি ৷
তবে, এসবের মাঝেই ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের ৷ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে ত্রিপুরাকে 'পাখির চোখ' করেছে বাংলার শাসকদল ৷ ত্রিপুরায় ঘাঁটি গেড়ে বসে রয়েছেন রাজীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ৷ তিনি যথেষ্ট দক্ষ রাজনীতিক এবং সংগঠক ৷ উপরন্তু, দলের 'সেকেন্ড ইন কমান্ড' অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ও দফায় দফায় ত্রিপুরায় গিয়ে প্রচার সেরেছেন ৷ কিন্তু, তাতেও যে চিঁড়ে ভেজেনি, উপনির্বাচনের ফলই তার প্রমাণ ৷