আগরতলা, 5 ফেব্রুয়ারি: ত্রিপুরায় সরকার গড়ার সুযোগ পেলে এখানেও কার্যকর করা হবে 'বেঙ্গল মডেল' (Bengal Model) ! ভোটমুখী রাজ্য়ে (Tripura Assembly Election 2023) রবিবার নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করে এই প্রতিশ্রুতি সামনে রাখল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC Election Manifesto) ৷ প্রশ্ন হল, কী এই বেঙ্গল মডেল ? এক কথায় বলতে চাইলে বলতে হবে, 'সার্বিক এবং ব্যাপক উন্নয়ন' ৷
এদিন তৃণমূল যে নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছে, তাতে 11টি ইস্যুতে মুখ্য প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ৷ এই ক্ষেত্রগুলি হল, অর্থনীতি, কর্মনিয়োগ, শিক্ষা, কৃষি, আইন-শৃঙ্খলা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক সুরক্ষা, নাগরিক পরিকাঠামো, সুশাসন, সংস্কৃতি এবং পর্যটন ৷ বাংলার শাসকদলের দাবি, তারা যদি ত্রিপুরাতেও ক্ষমতায় আসে, তাহলে এই ক্ষেত্রগুলির সামগ্রিক উন্নয়ন সাধন করা হবে ৷ তাতে ত্রিপুরাবাসী ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে ৷
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ফেরাতে বামেদের ফেরান ! ত্রিপুরায় নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করে বার্তা ফ্রন্টের
ইস্তাহার প্রকাশ উপলক্ষে এদিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের ডাক দেওয়া হয় ৷ ত্রিপুরায় দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এই সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, "বাংলার উন্নয়নে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় যেভাবে কাজ করে চলেছেন, তা কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না ৷ গত 10 বছরে পশ্চিমবঙ্গে যে পরিমাণ উন্নতি হয়েছে, তা আর কোনও রাজ্য়ে কখনও হয়নি ৷ উন্নয়নের স্বার্থে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় সেই একই বেঙ্গল মডেল ত্রিপুরাতেও কার্যকর করতে চান ৷" একই সুর শোনা যায় পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গলাতেও ৷
সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি পীযূষকান্তি বিশ্বাস আবার গেরুয়াশিবিরের সমালোচনায় সরব হন ৷ তিনি বলেন, "2018 সালে কংগ্রেস এবং সিপিএমকে উৎখাত করতে চেয়েছিলেন ত্রিপুরাবাসী ৷ সেই সময় নরেন্দ্র মোদি অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৷ মানুষ তাঁর উপর ভরসাও করেছিলেন ৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যে 299টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার একটিও আজ পর্যন্ত পালন করা হয়নি ৷ এখন মানুষ বুঝতে পারছেন, তাঁরা বঞ্চিত এবং প্রতারিত হয়েছেন ৷ বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেই আক্রান্ত হতে হচ্ছে ৷ তাই সকলে ঠিক করেছেন, এবার বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে ৷"