তাহেরপুর (নদিয়া), 12 ডিসেম্বর : টাকার জন্য চাপ দিয়ে এক অ্যাম্বুলেন্স চালককে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে উঠল তৃণমূল প্রধান এবং তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে (FIR logged against tmc pradhan and her husband for giving incitement to suicide ) । মৃত চালকের সুইসাইড নোট সামনে আসার পরেই পরিবারের তরফ থেকে তৃণমূল প্রধান এবং তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার তাহেরপুর থানার কালীনারায়ণপুর পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কামগাছি এলাকায় ৷
জানা গিয়েছে, দীর্ঘ আট বছর ধরে কালীনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি অ্যাম্বুলেন্স চালাতেন এই এলাকার বাসিন্দা উত্তম বিশ্বাস (50) । সাংসদের প্রদান করা এই অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে যা কমিশন পেতেন তা দিয়েই কোনওরকমে সংসার চালাতেন তিনি । কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, কয়েক মাস আগে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে তাঁর এই কমিশন বন্ধ করে দেওয়া হয় । বরং উল্টে টাকা চেয়ে বিভিন্ন সময়ে তাঁকে চাপ দিতেন পঞ্চায়েত প্রধান দীপা দাস এবং তাঁর স্বামী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জানকী দাস ৷ গত সাত তারিখ আত্মহত্যা করেন উত্তম ৷ তাঁর সুইসাইড নোটে তৃণমূল প্রধান এবং তাঁর স্বামীকে নিজের মৃত্যুর জন্য দায়ী বলেও উল্লেখ করেছেন উত্তম ৷
আরও পড়ুন : বৌভাতের পরদিন বরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
এই সুইসাইড নোট প্রকাশ্যে আসতেই পরিবারের তরফ থেকে দীপা দাস এবং তাঁর স্বামী জানকী দাসের বিরুদ্ধে তাহেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় । যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন ওই পঞ্চায়েত প্রধান এবং তাঁর স্বামী । তাঁদের দাবি, এই ঘটনার পিছনে তাঁরা কোনওভাবেই জড়িত নয় ৷ বরং উত্তম বিশ্বাসেরই পারিবারিক সমস্যা ছিল এবং অবৈধ সম্পর্কের জেরেই চাপে পড়ে ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি ৷ আপাতত পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তাহেরপুর থানার পুলিশ ৷