নয়াদিল্লি, 3 ফেব্রুয়ারি : রাজ্যসভায় প্রথমবার ভাষণ দেওয়ার সুযোগ পেয়েই কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ জহর সরকার (TMC MP Jawhar Sircar Attacks Modi Government in Rajya Sabha) ৷ তাঁর দাবি, বিভিন্ন বিষয়ে দেশকে ক্রমশ পিছনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে কেন্দ্রের মোদি সরকার ৷
গত সোমবার শুরু হয়েছে সংসদের বাজেট অধিবেশন (Budget Session at Parliament) ৷ প্রথম দিন প্রথামাফিক সংসদের সেন্ট্রাল হলে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (President Ramnath Kovind Speech at Parliament) ৷ বৃহস্পতিবার তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার (TMC MP Jawhar Sircar) রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে নিজের বক্তব্য রাখেন ৷ শুরুতেই জানান, ছ‘মাস তিনি সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য ৷ তার পর এই প্রথম তিনি বলার সুযোগ পেলেন ৷
তাঁর দাবি, ‘‘ভারত এমন একটা পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আছে, যা আগে কখনও ছিল না ৷ আজ কী করছি, কাল কী করব, তার উপর নির্ভর করে ভারতের ইতিহাসের বিচার হচ্ছে ৷’’ তাঁর অভিযোগ, ভারতের নীতি ভেঙে পড়েছে ৷ রাজনৈতিক কাঠামো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ এখন ভাইয়ে-ভাইয়ে লড়াই করছে ৷ অর্থনীতির অবস্থাও খারাপ হচ্ছে ৷
বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার 2022-23 আর্থিক বছরের জন্য বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Union Finance Minister Nirmala Sitharaman Tabled Budget 2022) ৷ এদিন প্রাক্তন আমলা জহর সরকার সেই বাজেটের সমালোচনা করেছেন ৷ তাঁর কটাক্ষ, ছাপানো শব্দ আর ভাষণ দিয়ে ক্ষুধার্ত, বেকারদের কোনও উপকার করা যায় না ৷ তাঁর দাবি, 6 কোটি ভারতীয়র কোনও চাকরির নিরাপত্তা নেই ৷
তাঁর আরও দাবি, 2006 সাল থেকে দশ বছরে 15 কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার উপরে এসেছে ৷ কিন্তু গত দু’বছরে 14 কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে চলে গিয়েছে ৷ পাশাপাশি তিনি মোদি সরকারের বেসরকারিকরণ নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ৷
তাঁর প্রশ্ন, সরকারি সম্পত্তিকে বেসরকারিকরণের নামে লিজ দেওয়া হচ্ছে ৷ সেই সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার পর ওই সরকারি সম্পত্তি পূর্বের অবস্থাতেই আবার পাওয়া যাবে, তার কি কোনও নিশ্চিয়তা আছে ৷ তাঁর অভিযোগ, বেসরকারিকরণের নামে বেশ কিছু লোককে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন : Birla Lashed Out Rahul : লোকসভায় অধ্যক্ষের কাছে ধমক খেলেন রাহুল
এছাড়া নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার সমালোচনা করেন ৷ মোদি সরকার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে চায় বলেই আমলাদের নিয়োগ সংক্রান্ত আইনে বদল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ৷ রাজ্যপাল পাঠিয়ে রাজ্যগুলিকে মোদি সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় বলেও তিনি অভিযোগ করেন ৷