লখিমপুর খেরি (উত্তরপ্রদেশ), 23 এপ্রিল: বনাঞ্চল থেকে বেরিয়ে এসে ফসলের ক্ষেতে প্রবেশ করার কয়েক মিনিটের পরেই রহস্যজনক পরিস্থিতিতে একটি দুই বছরের বাঘের মৃত্যু ৷ শনিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে৷ এই ঘটনায় বনাধিকারিকরা সন্দেহ করছেন, বাঘটিকে বিষ দেওয়া হয়েছে ৷ তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷
এই বিষয়ে ডেপুটি ডিরেক্টর (বাফার) সুন্দরেশ বলেন, "প্রাথমিকভাবে আমরা ভেবেছিলাম যে কেউ বিষ প্রয়োগ করেছে ৷ কিন্তু বাঘটি যে স্থানে মারা গিয়েছে তার কাছাকাছি তেমন কিছু খুঁজে পাইনি ৷ যেহেতু বাঘের মৃত্যু সবসময়ই একটি সংবেদনশীল বিষয় তাই আমরা একটি এফআইআর নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করেছি ৷"
ময়নাতদন্ত করার পর জানা গিয়েছে, বাঘটির বয়স 2 বছর ৷ এর মোলার ও প্রি-মোলার দাঁতগুলিই এই বয়স নিশ্চিত করেছে ৷ বাঘটি অসুস্থ ছিল ৷ তার পেটে কোনও খাবারও ছিল না ৷ এছাড়াও একটি ধারালো হাড়ে পেটের দেওয়াল ছিঁড়ে গিয়েছিল ৷ যা এটিকে সেপ্টিসেমিয়ার দিকে পরিচালিত করেছিল ৷ সম্ভবত এর জেরেই বাঘটির মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা ৷ তবে বিস্তারিত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি ৷
এই বিষয়ে সুন্দরেশ বলেন,"আমরা আমাদের ডাটাবেসে বাঘের ডোরাকাটা চেক করছি ৷ আশা করা হচ্ছে যে এটি কিষাণপুর রেঞ্জ বা বনের মাইলানি রেঞ্জ থেকে স্থানান্তরিত হয়েছিল ৷ বন থেকে বেরিয়ে আসার কয়েক মিনিট পরেই বাঘটি মারা গিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে ৷ তবে বাঘটির পেটে তীক্ষ্ণ হাড়ের ফলে তার মৃত্যুর কারণটি অন্য তত্ত্বের দিকে নিয়ে যায় ৷ ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আসলেই বাঘটির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে ৷"
বাঘের জনসংখ্যা বৃদ্ধির খবরে কয়েকদিন আগেই দেশে খুশি খুশি রব উঠেছিল ৷ তার কয়েকদিনের মধ্যে এহেন সংবাদ ৷ তাও কি না, অসুস্থ হয়ে বাঘের মৃত্যু ৷ এই ঘটনায় বাঘেদের পরিচর্যা ও দেখভাল নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷
আরও পড়ুন : জঙ্গলে বাঘ-ভাল্লুকের লড়াই, ক্যামেরাবন্দি করলেন পর্যটকরা