নয়াদিল্লি, 16 জুলাই: ঢাকঢোল পিটিয়ে নামিবিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশ থেকে চিতা নিয়ে আসা হয়েছিল ভারতে ৷ সেগুলিকে ছাড়া হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে ৷ কয়েকমাস যেতে না-যেতেই এদেশে আসা বেশ কয়েকটি চিতার মৃত্যু হয়েছে ৷ যা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ এভাবে ভিন দেশের ভিন পরিবেশে চিতাগুলিকে নিয়ে আসার পরিকল্পনার যৌক্তিকতা নিয়েও অনেক বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে ৷ এবার বিষয়টি নিয়ে সাফাই দিল ন্যাশনাল টাইগার কনজার্ভেশন অথরিটি বা এনটিসিএ ৷
রবিবার এনটিসিএ জানিয়েছে, চিতাগুলির কী কারণে মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক চিতা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে ৷ নামিবিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার পশু চিকিৎসকদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল টাইগার কনজার্ভেশন অথরিটি ৷ তারা আরও জানিয়েছে, চিতাগুলির উপর নজর রাখার বর্তমান প্রক্রিয়া, প্রাণীগুলির সুরক্ষা ব্যবস্থা, চিকিৎসা ব্যবস্থা-সহ যাবতীয় বিষয় বিশেষজ্ঞরা খতিয়ে দেখছেন ৷
এনটিসিএ-এর দাবি, নামিবিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে 20টি পূর্ণবয়স্ক চিতা এদেশে আনা হয়েছিল ৷ তাদের কুনো জাতীয় উদ্যানে ছাড়া হয় ৷ এদের মধ্যে 5টি পূর্ণবয়স্ক চিতার মৃত্যু হয়েছে ৷ প্রাথমিক পরীক্ষায় জানা গিয়েছে প্রাকৃতিক কারণেই মৃত্যু হয়েছে চিতাগুলির ৷ উল্লেখ্য, কোনও কোনও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে গলায় রেডিও কলার পরানোর কারণেই চিতাগুলি প্রাণ হারিয়েছে ৷ তবে এই দাবিগুলির পক্ষে কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই বলেই দাবি এনটিসিএ-র ৷
আরও পড়ুন: চিতার লড়াইয়ে জখম 'অগ্নি', কুনো জাতীয় উদ্যানে চলছে চিকিৎসা
উদ্ধারের ব্যবস্থা-সহ চিতা রিসার্চ সেন্টার তৈরি, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা, বাসস্থানের এলাকা বৃদ্ধি, বনকর্মীর সংখ্যা বাড়ানো, চিতা সুরক্ষা বাহিনী তৈরি, গান্ধি সাগর বন্যপ্রাণ কেন্দ্রে চিতাদের দ্বিতীয় বাসস্থান তৈরির মতো বিষয়গুলি নিয়ে পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পের আধিকারিকরা ৷ তাদের আরও দাবি, এখনও এক বছরও হয়নি চিতাগুলিকে এদেশে আনা হয়েছে ৷ এটা একটি দীর্ঘ সময়ের প্রকল্পের অংশ ৷ তাই এখনই সফলতা বা ব্যর্থতার নিরিখে এর বিচার করা ঠিক নয় ৷ উল্লেখ্য ভারতের প্রজেক্ট চিতা প্রকল্পে বর্তমানে 11টি চিতা রয়েছে কুনোর জঙ্গলে ৷ একটি শাবক-সহ 5টি চিতা বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছে ৷