ETV Bharat / bharat

Supreme Court: 'গত কয়েক মাসে কিছুই হয়নি', হাইকোর্টের বিচারপতি নিয়োগ-বদলির বিলম্বে উদ্বেগ সুপ্রিম কোর্টের

Supreme Court on High Court Judges appointment: বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল এবং সুধাংশু ধুলিয়ার সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলেছে, হাইকোর্টের বিচারপতি নিয়োগের জন্য 70টি নাম 10 মাস ধরে বকেয়া রয়েছে ৷ ইটিভি ভারতের সুমিত সাক্সেনার প্রতিবেদন ।

Sc on High Court Judges
সুপ্রিম কোর্ট
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 26, 2023, 6:26 PM IST

নয়াদিল্লি, 26 সেপ্টেম্বর: হাইকোর্টের বিচারকদের নিয়োগে বিলম্বের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট ৷ মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেছে যে, মামলার শেষ শুনানি এবং এ বিষয়ে একটি আদেশ দেওয়ার পর থেকে গত কয়েক মাসে কিছুই হয়নি ৷ একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল আদালতের প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টিও এখনও বাকি রয়েছে বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট ৷

বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল এবং সুধাংশু ধুলিয়ার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেছে, "70টি নাম (হাইকোর্টের বিচারপতি নিয়োগের জন্য) 10 মাস ধরে বকেয়া রয়েছে... এই 70টি নামের জন্য মৌলিক প্রক্রিয়াকরণ হয়েছে । হাইকোর্টে 70 জন বিচারক নেই, কারণ তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ নিযুক্ত হননি, এটা গড়ে 50 শতাংশ । আপনার মতামত জানা থাকলে কলেজিয়াম সিদ্ধান্ত নেবে, কিন্তু যদি সেটা জানা না-থাকে তাহলে । রায়ের অধীনে নির্ধারিত সময়সীমা ছিল প্রায় চার মাস । আসুন আমরা পাঁচ মাস সময় নিই....৷"

বিচারপতি কৌল এজিকে বলেন, "আমি এটি তুলে ধরছি যাতে আপনি নির্দেশ গ্রহণ করতে পারেন, অন্তত এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের সুপারিশ অবশ্যই কলেজিয়ামের (সর্বোচ্চ আদালত) কাছে থাকতে হবে এবং আমি যা পেয়েছি তা হল পরিষেবার নাম ও বারের নামগুলি এখনও পাইনি ।"

কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেংকটারমানি বলেন, তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে আদালতে ফিরে আসতে পারেন । জনস্বার্থ মামলার (পিআইএল) প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণ জানিয়েছেন যে, তিনি তিনটি বিভাগে একটি বিস্তৃত তালিকা দিতে পারেন । তাঁর এই বক্তব্যে আপত্তি জানিয়ে এজি বলেন, সরকারের কাছে সবকিছু আছে ।

আরও পড়ুন: 'পুলিশি তদন্তের মান হতাশাজনক', 2 ফাঁসির আসামিকে বেকসুর খালাস করল সুপ্রিম কোর্ট

বিচারপতি কৌল সেই সময় বলেন যে, "মিস্টার ভূষণ, আমি যে পদে আছি তার জন্য কতগুলি নাম পেন্ডিং রয়েছে তার তথ্য আমার কাছে আছে... যেগুলি হাইকোর্ট দ্বারা সুপারিশ করা হয়েছে (বিচারক হিসাবে নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের নাম), যা কলেজিয়ামে পাঠানো হয়নি...দ্বিতীয়ত, সুপারিশগুলি কোথায় করা হয়েছে এবং সেগুলিকে নিয়োগ করা হয়নি বা ফেরত দেওয়া হয়নি কেন তা জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট । তৃতীয়ত, দ্বিতীয়বার পুনর্ব্যক্ত করা প্রস্তাবিত নামগুলিকেও নিয়োগ করা হয়নি ...।"

বিচারপতি কৌল বলেন, "প্রথমটিতে নয়টি নাম, দ্বিতীয়টিতে সাতটি নাম... 26টি বদলি (বিচারকদের) বকেয়া রয়েছে এবং একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল আদালতের প্রধান বিচারপতির নিয়োগ বকেয়া রয়েছে ৷"

এই বছরের জুলাই মাসে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুলকে মণিপুর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছিল । তবে তাঁর নিয়োগের বিষয়টি এখনও পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি ।

নিয়োগের জন্য মুলতুবি থাকা নামগুলির বিশদ বিবরণ দিয়ে বেঞ্চ বলেছে যে, গত চার দিনে বিচারক হিসাবে নিয়োগের জন্য 7 জনের নাম পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে, এর মধ্যে 9 জনের নাম প্রথমবার পাঠানো হয়েছে, একজন প্রধান বিচারপতির পদোন্নতি, 26 জন বিচারকের বদলি এবং সর্বশেষে 80 জন বিচারকের নাম । 10টি নাম গৃহীত হয়েছে (সেবা বিচারক), যার অর্থ 11 নভেম্বর, 2022 থেকে সুপারিশ করা বিচারকের 70টি নাম বকেয়া রয়েছে ।

বিচারপতি কৌল বলেন, "আমি অনেক কিছু বলার কথা ভেবেছিলাম, যেহেতু এজি মাত্র 7 দিনের সময় চাইছেন, আমি নিজেকে ধরে রাখছি ৷"

নয়াদিল্লি, 26 সেপ্টেম্বর: হাইকোর্টের বিচারকদের নিয়োগে বিলম্বের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট ৷ মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেছে যে, মামলার শেষ শুনানি এবং এ বিষয়ে একটি আদেশ দেওয়ার পর থেকে গত কয়েক মাসে কিছুই হয়নি ৷ একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল আদালতের প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টিও এখনও বাকি রয়েছে বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট ৷

বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল এবং সুধাংশু ধুলিয়ার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেছে, "70টি নাম (হাইকোর্টের বিচারপতি নিয়োগের জন্য) 10 মাস ধরে বকেয়া রয়েছে... এই 70টি নামের জন্য মৌলিক প্রক্রিয়াকরণ হয়েছে । হাইকোর্টে 70 জন বিচারক নেই, কারণ তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ নিযুক্ত হননি, এটা গড়ে 50 শতাংশ । আপনার মতামত জানা থাকলে কলেজিয়াম সিদ্ধান্ত নেবে, কিন্তু যদি সেটা জানা না-থাকে তাহলে । রায়ের অধীনে নির্ধারিত সময়সীমা ছিল প্রায় চার মাস । আসুন আমরা পাঁচ মাস সময় নিই....৷"

বিচারপতি কৌল এজিকে বলেন, "আমি এটি তুলে ধরছি যাতে আপনি নির্দেশ গ্রহণ করতে পারেন, অন্তত এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের সুপারিশ অবশ্যই কলেজিয়ামের (সর্বোচ্চ আদালত) কাছে থাকতে হবে এবং আমি যা পেয়েছি তা হল পরিষেবার নাম ও বারের নামগুলি এখনও পাইনি ।"

কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেংকটারমানি বলেন, তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে আদালতে ফিরে আসতে পারেন । জনস্বার্থ মামলার (পিআইএল) প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণ জানিয়েছেন যে, তিনি তিনটি বিভাগে একটি বিস্তৃত তালিকা দিতে পারেন । তাঁর এই বক্তব্যে আপত্তি জানিয়ে এজি বলেন, সরকারের কাছে সবকিছু আছে ।

আরও পড়ুন: 'পুলিশি তদন্তের মান হতাশাজনক', 2 ফাঁসির আসামিকে বেকসুর খালাস করল সুপ্রিম কোর্ট

বিচারপতি কৌল সেই সময় বলেন যে, "মিস্টার ভূষণ, আমি যে পদে আছি তার জন্য কতগুলি নাম পেন্ডিং রয়েছে তার তথ্য আমার কাছে আছে... যেগুলি হাইকোর্ট দ্বারা সুপারিশ করা হয়েছে (বিচারক হিসাবে নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের নাম), যা কলেজিয়ামে পাঠানো হয়নি...দ্বিতীয়ত, সুপারিশগুলি কোথায় করা হয়েছে এবং সেগুলিকে নিয়োগ করা হয়নি বা ফেরত দেওয়া হয়নি কেন তা জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট । তৃতীয়ত, দ্বিতীয়বার পুনর্ব্যক্ত করা প্রস্তাবিত নামগুলিকেও নিয়োগ করা হয়নি ...।"

বিচারপতি কৌল বলেন, "প্রথমটিতে নয়টি নাম, দ্বিতীয়টিতে সাতটি নাম... 26টি বদলি (বিচারকদের) বকেয়া রয়েছে এবং একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল আদালতের প্রধান বিচারপতির নিয়োগ বকেয়া রয়েছে ৷"

এই বছরের জুলাই মাসে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুলকে মণিপুর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছিল । তবে তাঁর নিয়োগের বিষয়টি এখনও পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি ।

নিয়োগের জন্য মুলতুবি থাকা নামগুলির বিশদ বিবরণ দিয়ে বেঞ্চ বলেছে যে, গত চার দিনে বিচারক হিসাবে নিয়োগের জন্য 7 জনের নাম পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে, এর মধ্যে 9 জনের নাম প্রথমবার পাঠানো হয়েছে, একজন প্রধান বিচারপতির পদোন্নতি, 26 জন বিচারকের বদলি এবং সর্বশেষে 80 জন বিচারকের নাম । 10টি নাম গৃহীত হয়েছে (সেবা বিচারক), যার অর্থ 11 নভেম্বর, 2022 থেকে সুপারিশ করা বিচারকের 70টি নাম বকেয়া রয়েছে ।

বিচারপতি কৌল বলেন, "আমি অনেক কিছু বলার কথা ভেবেছিলাম, যেহেতু এজি মাত্র 7 দিনের সময় চাইছেন, আমি নিজেকে ধরে রাখছি ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.