নয়া দিল্লি, 22 জুন : ফেসবুক, টুইটার, হোয়্যাটসঅ্যাপের পর এবার কোপ পড়বে অ্যামাজন, ফ্লিপকার্টের মতো অনলাইনে জিনিস বিক্রির (e-commerce) সংস্থাগুলির উপর ৷ আর খুব বেশি দিন ধামাকা সেল বা অন্যান্য পরিষেবা দিতে পারবে না সংস্থাগুলি, এমন কঠিন পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷
সরকার জানিয়েছে, ই-কমার্স সংস্থাগুলির ব্যবসার ফলে আঞ্চলিক ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়ছে ৷ এছাড়া, ই-কমার্স সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে গ্রাহক, ব্যবসায়ী, অন্যান্য সংস্থাগুলির কাছ থেকে নানাবিধ নালিশ জমা পড়েছে সরকারের কাছে ৷ অনলাইনে জিনিসপত্র কেনাবেচা করতে গিয়ে ঠকানো হয়েছে, ফাঁদে পা দিয়ে গ্রাহক টাকা খুইয়েছেন, অবৈধ ব্যবসায় জড়ানোর মতো প্রচুর অভিযোগ এসেছে ৷ দেশের গুরুত্বপূর্ণ দিন-উৎসব, যেমন দীপাবলি, স্বাধীনতা দিবসে বিপুল ছাড়ের ঘোষণা করে প্রচুর ব্যবসা করে অ্যামাজন, ফ্লিপকার্টের মতো সংস্থাগুলি ৷
আরও পড়ুন : ক্ষতিপূরণ নয়, করোনা মোকাবিলাকে অগ্রাধিকার ; সুপ্রিম কোর্টকে জানাল কেন্দ্র
ডিপার্টমেন্ট অফ কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স 6 জুলাইয়ের মধ্যে গ্রাহক, ব্যবসায়ী, অন্যান্য সংস্থাগুলির থেকে এই বিষয়ে মতামত জানতে চেয়েছে ৷ যেমন ভাবে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলিকে নোডাল অফিসার, কমপ্লায়েন্স অফিসার নিয়োগ করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে, একই ভাবে ই-কমার্স সংস্থাগুলিকেও ভারতে চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার, নোডাল অফিসার, রেসিডেন্ট গ্রিভ্যান্স অফিসার নিয়োগ করতে হবে ৷
অনলাইনে কেনা সামগ্রী কতদিন পর্যন্ত ব্যবহারযোগ্য, সেই তারিখ জানাতে বাধ্য থাকবে সংস্থাগুলি ৷ অনলাইন ব্যবসায় স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে এই ব্যবস্থা ৷