হায়দরাবাদ, 24 এপ্রিল: মার্গদর্শী চিট ফান্ডের হিসেব পরীক্ষা সংক্রান্ত মামলায় তেলেঙ্গানা হাইকোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারকে ৷ এই চিটফান্ডের হিসেব পরীক্ষার জন্য অন্ধ্র সরকারের তরফে যে বেসরকারি অডিটর নিয়োগ করা হয়েছে, তার আইনি কোনও বৈধতা নেই বলে মন্তব্য করেছে তেলেঙ্গানা হাইকোর্টের বিচারপতি মুম্মিনেনি সুধীর কুমারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ৷ মার্গদর্শী চিট ফান্ডের বিরুদ্ধে অডিট প্রক্রিয়ায় 20 এপ্রিল স্থগিতাদেশও জারি করেছে হাইকোর্ট ৷
উল্লেখ্য, অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেছিল মার্গদর্শী চিট ফান্ড ৷ সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট জানিয়েছে, মার্গদর্শী চিট ফান্ডের বিরুদ্ধে অন্ধ্রপ্রদেশের কমিশনার আ্যান্ড ইনস্পেক্টর জেনেরাল অফ স্ট্যাম্পস আ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন বেসরকারি চিট অডিটর নিয়োগের যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই এক্তিয়ার তাঁর নেই ৷ আদালত জানিয়েছে, 1982 সালের চিটফান্ডস অ্যাক্টের 61 নং ধারার 4 নম্বর উপধারার আওতায় মার্গদর্শী চিট ফান্ডের বিরুদ্ধে এই অডিট প্রক্রিয়া চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, সেই নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা নেই কমিশনার আ্যান্ড ইনস্পেক্টর জেনেরাল অফ স্ট্যাম্পস আ্যান্ড রেজিস্ট্রেশনের ৷
উল্লেখ্য, মার্গদর্শী চিট ফান্ডের হিসেব অডিটের জন্য ভেমুলাপতি শ্রীধর নামে একজন বেসরকারি চিট অডিটরকে নিয়োগ করেছিলেন অন্ধ্রের কমিশনার আ্যান্ড ইনস্পেক্টর জেনেরাল অফ স্ট্যাম্পস আ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন ৷ চলতি বছরের 15 মার্চ এই নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ একবছরের জন্য ওই প্রাইভেট অডিটরকে এই কাজের জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল ৷ কীভাবে একজন প্রাইভেট অডিটর মার্গদর্শী চিট ফান্ডের হিসেব একা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন সেই প্রশ্নও তুলেছে হাইকোর্ট ৷ উল্লেখ্য, অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের এই নির্দেশ বাতিলের আবেদন জানিয়ে তেলেঙ্গানা হাইকোর্টে মামলা করেছিল মার্গদর্শী চিট ফান্ড ৷
আরও পড়ুন: এনাডুর দায়ের করা মামলা দিল্লি হাইকোর্টে সরাল সুপ্রিম কোর্ট
আবেদনকারী সংস্থার পক্ষে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী মুকুল রোহাতগি ৷ ওই অডিটর এই ধরনের অডিট পরীক্ষা করতে পারেন না বলেও তিনি আদালতে জানান ৷ 1962 সাল থেকে ব্যবসা করছে মার্গদর্শী চিট ফান্ড ৷ অন্ধ্র সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে সংস্থার উপর জনগণের ভরসা নষ্ট হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন আদালতে ৷ বিষয়টিকে ক্ষমতার অপব্যবহার বলেও দাবি করেন রোহাতগি ৷ এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী 19 জুন ৷ ততদিন গোটা প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে হাইকোর্ট ৷