তেলেঙ্গানা, 28 অগস্ট: ফের ধাক্কা ৷ গুলাম নবি আজাদ-সহ বেশ কয়েকজন প্রবীণ নেতার পর হাত ছাড়লেন তেলেঙ্গানার নেতা এমএ খান ৷ রাজ্যসভার প্রাক্তন সদস্য খান কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে চিঠি দিয়ে জানান, কংগ্রেস সাধারণ মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে ৷ তিনিও এর দায় চাপিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ সোনিয়াপুত্র রাহুল গান্ধির উপরেই (Telangana Congress Leader Quits Says Rahul Gandhi Caused Partys Downfall) ৷
এম খান বলেন, "যতদিন আপনি কংগ্রেস সভাপতির পদে সক্রিয় রয়েছেন, ততদিন আপনাকে দলের মধ্যে আলোচনার পদ্ধতিকে খুব ভালোভাবে মেনে চলতে হবে ৷ কয়েক দশক ধরে যাঁরা এই দলের জন্য অনেকেই তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন ৷ সেই সব প্রবীণ নেতাদের মতামতের সঙ্গে সঙ্গতি বজায় রেখে চলতে হবে ৷ দলকে শক্ত হয়ে দেশের জন্য লড়তে হবে ৷" তিনি আরও জানান, ছাত্রজীবন থেকে চার দশকেরও বেশি সময় তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে কাটিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন: রাহুলের শিশুসুলভ আচরণেই কংগ্রেসের দুর্দশা, সোনিয়াকে দেওয়া পদত্যাগপত্রে উল্লেখ আজাদের
চিঠিতে বিদ্রোহী জি-23 গ্রুপের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ৷ নেতার মতে, প্রবীণ নেতারা দলের ভালোর জন্য গলা তুলেছিলেন ৷ তাকে বিদ্রোহ হিসেবে দেখেছে শীর্ষনেতৃত্ব ৷ তাঁদের বিশ্বাস করলে আজ অনেক কিছু অন্যরকম হত ৷ দলকে ফেরাতে তাঁদের যন্ত্রণা, কষ্টের দিকটা বোঝা উচিত ছিল ৷
প্রবীণ নেতারা বাধ্য হয়েছেন ইস্তফা দিতে ৷ কারণ দলের শীর্ষনেতৃত্ব একেবারে নীচের তলার কর্মীদের সক্রিয় করতে কোনও পদক্ষেপ করছে না ৷ পণ্ডিত নেহরু, ইন্দিরা গান্ধিজি, সঞ্জয় গান্ধিজি, রাজীবজির নেতৃত্ব দলকে পথ দেখিয়েছে ৷ সেই পথে, অনুপ্রেরণা আর প্রতিশ্রুতি নিয়ে এইসব কর্মীরা কাজ করে চলেছেন ৷ এ কথা জানিয়ে এম খান আক্ষেপ করে বলেন, "দলের কোনও কাজে অংশগ্রহণ করব না ৷ এছাড়া আমার কাছে আর কোনও উপায় নেই ৷"
তবে তাঁর এই পদত্যাগের জন্য রাহুল গান্ধিকেই দায়ী করলেন কংগ্রেস নেতা ৷ একটি সংবাদসংস্থাকে এম খান বলেন, "রাহুল গান্ধি যখন থেকে সহ-সভাপতি হয়েছিলেন, তখন থেকে সব কিছু নীচের দিকে নামতে শুরু করে ৷ তাঁর ভাবনা অন্য রকমের ৷ যার সঙ্গে দলের ব্লক স্তর থেকে বুথ, কোনও সদস্যের মিল নেই ৷" এর ফল কংগ্রেসের পতন ৷ সেই জন্যেই দলের প্রবীণ নেতারা, যাঁরা দশকের পর দশক ধরে দলের ভিত শক্ত করেছে, তাঁর এখন ইস্তফা দিচ্ছেন, জানালেন এম খান ৷
কংগ্রেসের 'ভারত জোড়ো যাত্রা' (Bharat Jodo Yatra) শুরু হচ্ছে 7 সেপ্টেম্বর ৷ রাহুল গান্ধির নেতৃত্বে কন্যাকুমারী থেকে শুরু হওয়া 148 দিনের এই যাত্রা শেষ হবে কাশ্মীরে ৷ 2024-এর আগে দেশের মাটিতে দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে এই প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে, তখনই তরুণ থেকে প্রবীণ, কর্মী-নেতারা দল ছাড়ছেন ৷
আরও পড়ুন: ভোটমুখী হিমাচলে দলের পদ ছাড়লেন আনন্দ শর্মা, কংগ্রেসের অন্দরে কোন্দলের আভাস