নয়াদিল্লি, 26 নভেম্বর : যে কোনও মামলার শুনানির জন্যই নির্দিষ্ট সময় ধার্য থাকা দরকার ৷ কারণ, হাতে সময় কম ৷ আর একই বিষয় নিয়ে একাধিক আইনজীবী বারবার তর্ক, বিতর্ক করেন ৷ তাই মামলা পিছু সময়সীমা নির্ধারণের বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবনা, চিন্তা করা দরকার ৷ অন্তত এমনটাই মনে দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court on Time Frame for Hearing) ৷ শুক্রবার বিচারপতি খানবিলকর এবং বিচারপতি সি টি রবিকুমারের ডিভিশন বেঞ্চে এই প্রসঙ্গটি ওঠে ৷
আরও পড়ুন : SC on Rakesh Asthana Appointment : নিয়োগ বিতর্কে রাকেশ আস্থানা ও কেন্দ্রকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের
আদালতে প্রত্যেকটি মামলার শুনানির সময়সীমা সম্পর্কে বলতে গিয়ে পুরনো একটি ঘটনা তুলে ধরেন দুই বিচারপতি ৷ 1993 থেকে 1994 সাল পর্যন্ত দেশের প্রধান বিচারপতি পদে আসীন ছিলেন বিচারপতি এম এন ভেঙ্কটচালিয়া (25th Chief Justice of India M N Venkatachaliah) ৷ সেই সময় তিনিই প্রথম মামলার শুনানির ক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন ৷
এদিন এই প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়, ‘‘এবার আমাদের এই বিষয়ে ভাবা দরকার ৷ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে ভাবা দরকার ৷ দীর্ঘ সময় ধরেই এটা নিয়ে ভাবনা, চিন্তা চলছে ৷ কিন্তু, আমরা এখনও পর্যন্ত এটা বাস্তবায়িত করে উঠতে পারিনি ৷ ড. সিংভি (প্রবীণ আইনজীবী এ এম সিংভি) হয়তো মনে করতে পারবেন, প্রধান বিচারপতি এম এন ভেঙ্কটচালিয়ার আমলে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই শুনানি শেষ করার বিষয়টি নিয়ে ভাবনা, চিন্তা শুরু হয়েছিল ৷’’
পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নিয়ে কেন্দ্র যে মামলা করেছে, তারই শুনানি চলাকালীন এদিন এই বিষয়টি উত্থাপন করে শীর্ষ আদালত ৷ অবসর গ্রহণের ঠিক আগে আলাপনের দিল্লিতে বদলি নিয়ে একটা সময় বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল ৷ আলাপন তাঁর পদ থেকে সরে গেলেও তা নিয়ে আইনি জটিলতা এখনও মেটেনি ৷ ইতিমধ্য়েই এই ইস্যুতে ক্যাটের প্রধান বেঞ্চের নির্দেশকে খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ৷ উচ্চ আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্র ৷ এদিন সেই মামলারই শুনানি চলছিল বিচারপতি খানবিলকর এবং বিচারপতি সি টি রবিকুমারের ডিভিশন বেঞ্চে ৷
আরও পড়ুন : Supreme Court on TMC plea : আগামিকাল তৃণমূলের আদালত অবমাননা মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্ট
এই মামলায় কেন্দ্রের তরফে উপস্থিত ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা (Solicitor General Tushar Mehta) ৷ মামলার দীর্ঘসূত্রতায় বিরক্ত দুই বিচারপতি তাঁকে বলেন, ‘‘দয়া করে উদ্যোগ নিন ৷ এটাই সেরা সময় ৷ আদালতের সময় সীমিত ৷ এবং বহু আইনজীবী একই বিষয় নিয়ে নিজেদের বক্তব্য পেশ করতে চান ৷ এটাই হচ্ছে ৷ এটাই আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি ৷’’ এর জবাবে সলিসিটর জেনারেল বলেন, ‘‘আদালতই এই বিষয়ে উদ্যোগ নিতে পারে ৷ আমরা শুধুমাত্র সমর্থন করতে পারি ৷’’