নয়াদিল্লি, 9 জানুয়ারি: সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল, 2014 সালে টেট উত্তীর্ণদের মধ্যে 42 হাজার 897 জনকে চাকরি দেওয়া হবে ৷ কিন্তু, পরবর্তীতে কোনও মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়নি ৷ চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের বিস্তারিত খতিয়ানও প্রকাশ্যে আনা হয়নি ৷ সেইসঙ্গে, সংরক্ষিত প্রার্থীদের জন্যও মেধাতালিকা প্রকাশ করেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ৷ পরবর্তীতে এই ইস্যুতে একের পর এক মামলা রুজু হয় কলকাতা হাইকোর্টে ৷ এর মধ্যে প্রথম মামলাটি খারিজ করার আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার ৷ কিন্তু, গত বছরের 12 জুলাই সেই আবেদন খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট ৷
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল, 2014 সালে টেট উত্তীর্ণদের মধ্যে 42 হাজার 897 জনকে চাকরি দেওয়া হবে ৷ কিন্তু, পরবর্তীতে কোনও মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়নি ৷ চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের বিস্তারিত খতিয়ানও প্রকাশ্যে আনা হয়নি ৷ সেইসঙ্গে, সংরক্ষিত প্রার্থীদের জন্যও মেধাতালিকা প্রকাশ করেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ৷ পরবর্তীতে এই ইস্যুতে একের পর এক মামলা রুজু হয় কলকাতা হাইকোর্টে ৷ এর মধ্যে প্রথম মামলাটি খারিজ করার আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার ৷ কিন্তু, গত বছরের 12 জুলাই সেই আবেদন খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট ৷
আরও পড়ুন: 102 পদে নিয়োগের জন্য যোগ্য প্রার্থীই নেই ! আদালতে জানাল এসএসসি
কলকাতা হাইকোর্টের সেই রায়েরই বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল রাজ্য ৷ সোমবার বিচারপতি এসকে কউল এবং বিচারপতি এএস ওকার ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে ৷ কিন্তু, বিচারপতিরা মামলাটি শুনতেই রাজি হননি ৷ একইসঙ্গে, তাঁরা জানিয়ে দেন, সংশ্লিষ্ট রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যকে যদি আইনি লড়াই লড়তেই হয়, তাহলে সেই আবেদনও করতে হবে কলকাতা হাইকোর্টে ৷
এদিন রাজ্যের পক্ষ থেকে যে আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন, আদালতে তাঁর যুক্তি ছিল, যেকোনও চাকরি বা নিয়োগের ক্ষেত্রে জনস্বার্থ মামলা কার্যকর হতে পারে না ৷ তাছাড়া, এই মামলাটি করা হয়েছে মূল ঘটনার আটবছর পর ৷ সেক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট জনস্বার্থ মামলার কোনও সারবত্তা থাকে না ৷ একইসঙ্গে রাজ্যের আইনজীবী জানান, আগেও এই ইস্যুতে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল ৷ কিন্তু, হাইকোর্টে তা খারিজ হয়ে যায় ৷
তবে, রাজ্যের আইনজীবীর এই সওয়ালের পরও সুপ্রিম কোর্ট মামলা শুনতে রাজি হয়নি ৷ বেঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়, "আমরা এই মামলাটি শুনব না ৷ তবে, রাজ্য চাইলে আত্মপক্ষ সমর্থনে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতেই পারে ৷ আইন নিয়ে যেকোনও প্রশ্ন করার পরিসর তো খোলাই আছে ৷ এটা আমাদের আর বলার কোনও প্রয়োজন নেই ৷"