নয়াদিল্লি, 7 জুলাই : সিবিআই (CBI) দফতরে প্রতিবাদে সামিল হওয়ার অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল ৷ সেই আবেদন খারিজ (PIL Dismissed) করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ৷ শীর্ষ আদালত আজ জানিয়েছে, হাইকোর্টে যে বিষয় নিয়ে মামলার শুনানি চলছে, সেই বিষয়ে যে কারওকে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবে না ৷
আইনজীবী বিপ্লব শর্মার করা জনস্বার্থ মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিনীত শরণ ও বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরীর ডিভিশন বেঞ্চে ৷ শীর্ষ আদালত বলেছে, "এই পিটিশন নিয়ে আমরা কোনও নির্দেশ দিতে পারি না ৷" হাইকোর্টে যে বিষয় নিয়ে মামলা চলছে, তাতে হস্তক্ষেপ করার অনুমতি কাউকে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত ৷
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম মামলা : 5 লাখ টাকা জরিমানা মমতার, সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ
চলতি বছর 17 মে-তে নারদ মামলায় চার হেভিওয়েট নেতার গ্রেফতারির পর নিজাম প্যালেসের সামনে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সমর্থকরা ৷ সেই দিনই সিবিআই-এর দফতরে গিয়ে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷ এই বিক্ষোভ নিয়েই নিরপেক্ষ সংস্থার দ্বারা তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী-আইনমন্ত্রীর হলফনামা গ্রহণ কলকাতা হাইকোর্টের
পিটিশনার শরদ সিনহা জানিয়েছেন, 16 মে থেকে রাজ্যে আংশিক লকডাউন জারি ছিল ৷ তাহলে কীভাবে 17 মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাজারেরও বেশি মানুষ সিবিআই অফিসের বাইরে জমায়েত করলেন, এই প্রশ্ন তোলেন আবেদনকারী ৷ এই ঘটনার তদন্তের আর্জি জানিয়ে সেই দিন ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের চিহ্নিত করার আবেদন করেছেন শরদ সিনহা ৷ তিনি বলেছেন, আংশিক লকডাউনের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার জন্য সেই পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক ৷
আরও পড়ুন: সলিসিটর জেনারেল পদে তুষার মেহতার অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ তৃণমূল
নারদ মামলায় ধৃত চার হেভিওয়েট নেতা ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গত মাসে জামিনে মুক্তি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷