নয়াদিল্লি, 3 জানুয়ারি: সেবি এবং এফপিআই- এর কাজকর্মে গড়মিল আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা সুপ্রিম কোর্টের কাজ নয় ৷ আর তাই আদানি গোষ্ঠী সংক্রান্ত হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট নিয়ে সিট গঠনের নির্দেশও দিতে পারে না আদালত ৷ এমনই মনে করেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা ৷ দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছিল ৷ বুধবার শীর্ষ আদালতের সেই বেঞ্চই এমন পর্যবেক্ষণ দিল ৷ পাশাপাশি, আদালত জানায়, হিন্ডেনবার্গের মতো সংস্থার রিপোর্ট কোনও তদন্তের ভিত্তি হতে পারে না ৷ পাশাপাশি সেবিকে 3 মাসের মধ্য়ে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷
নিজেদের রায়ের উপসংহার পড়ে শোনাবার সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, "সেবির কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করার অধিকার আদালতের নেই ৷ তাছাড়া হস্তক্ষেপ করার কোনও সঙ্গত কারণও নেই ৷" একই সঙ্গে সেবি যে তদন্ত করছে, তাতেও হস্তক্ষেপ করা হবে না বলে জানিয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ ৷
2023 সালের জানুয়ারি মাসের শেষদিকে মার্কিন শটসেলার সংস্থা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট সামনে আসে ৷ তাতে দাবি করা হয়, শিল্পপতি গৌতম আদানির গ্রুপটি শেয়ারের দামে কারচুপি করেছে। বেনামি অ্যাকাউন্ট পরিচালনার অভিযোগ আনে হিন্ডেনবার্গ ৷ তবে আদানি গোষ্ঠী এই রিপোর্ট অস্বীকার করে তাকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করে ৷ এই বিষয়ে 413 পাতার জবাব সামনে আনে আদানি গোষ্ঠী ৷ তবে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরেই শেয়ার বাজারে আদানি গোষ্ঠীর দর পড়তে থাকে ৷ ক্ষতির সম্মুখীন হয় শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থা ৷ এই বিতর্ক খতিয়ে দেখতে কমিটি তৈরি করে সুপ্রিম কোর্ট ৷ শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন বিচারপতি এ এম সাপ্রেমর নেতৃত্ব ছয় সদস্যের কমিটি গঠিত হয় ৷ পাশাপাশি তদন্ত করছে সেবিও। এবার এই সংক্রান্ত মামলার রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: