নয়াদিল্লি, 13 ডিসেম্বর : সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা গোরুয়া শিবিরের ৷ কলকাতার আসন্ন পৌর নির্বাচনে (KMC Election 2021) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি সংক্রান্ত মামলা শুনতেই রাজি হল না দেশের শীর্ষ আদালত ৷ বিজেপির বক্তব্য ছিল, কলকাতায় অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে হলে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া গতি নেই ৷ তাই পৌর নির্বাচনের মতো একেবারে আঞ্চলিক একটি ভোট পর্বেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তুলেছিল তারা ৷ এই দাবিতেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে তারা (BJP Seeing Central Force Deployment in KMC Election 2021) ৷ সোমবার তা শুনানির জন্য উঠলেও মামলা এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজি হয়নি আদালত ৷ বদলে আবেদনকারীদের কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : KMC Election 2021 : পেশীশক্তি নয়, উন্নয়নের তাসেই কলকাতা পৌরনিগম ভোটে জয়ের বার্তা অভিষেকের
এদিন বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চের সামনে মামলাটি পেশ করা হয় ৷ বিজেপির পক্ষ থেকে মামলাটি পেশ করেন প্রবীণ আইনজীবী মনিন্দর সিং ৷ তাঁকে আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার শুনানি শুনবে না ৷ তবে মামলাকারীরা চাইলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে ৷ এরপরই শীর্ষ আদালত থেকে মামলা প্রত্যাহার করে নেন মনিন্দর ৷
তবে মামলা প্রত্যাহারের আগে মনিন্দর আদালতকে জানান, কলকাতায় বিজেপি প্রার্থীরা যাতে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন, তার জন্য তাঁদের লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে ৷ তাছাড়া, যেকোনও সময় ভোটকে কেন্দ্র করে হিংসা ছড়াতে পারে ৷ বিজেপির আইনজীবীর যুক্তি ছিল, এর আগে ত্রিপুরার পৌরভোটে হিংসা সংক্রান্ত মামলা শুনেছিল শীর্ষ আদালত ৷ তাই কলকাতা পৌর নির্বাচনের মামলাও আদালতের শোনা উচিত ৷ জবাবে বেঞ্চের তরফে বলা হয়, এভাবে যদি সমস্ত মামলা গ্রহণ করা হয়, তাহলে গোটা দেশের পঞ্চায়েত এবং পৌর নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সকলে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে মামলা করবে ৷
আরও পড়ুন : KMC Election 2021 : তৃণমূলের নির্বাচনী পোস্টারে ওসির নম্বর, শুরু বিতর্ক
প্রসঙ্গত, এর আগে ত্রিপুরায় পৌর নির্বাচনের সময় শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএম ৷ অভিযোগ ছিল, তাদের প্রার্থী ও অনুগামীদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ যার জেরে গত 25 নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে নির্দেশ দেয়, অবিলম্বে ত্রিপুরায় অতিরিক্ত দুই কোম্পানি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করতে হবে ৷ নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয় সেই সময় ৷