ETV Bharat / bharat

Chandrayaan-3: চন্দ্রযান-3 এর সাফল্য মহাকাশ গবেষণায় মাইলফলক, মত বিশিষ্ট মহাকাশ বিজ্ঞানীর

চন্দ্রযান-3 এর মাধ্যমে ভারতের সফল চন্দ্রাভিযানের দৌলতে আগামী দিনে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে নয়া দিগন্ত খুলে যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানী টিভি ভেঙ্কটেশ্বরন ৷ তবে তাঁর মতে, চাঁদে প্রাণের সন্ধান নাও মিলতে পারে ৷

ETV Bharat
ফাইল ছবি
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 30, 2023, 10:45 PM IST

নয়াদিল্লি, 30 অগস্ট: মহাকাশ গবেষণা ও পর্যটনের ক্ষেত্রে ভারতের চন্দ্রযান-3 অভিযানের সাফল্যকে ল্যান্ডমার্ক বলে উল্লেখ করলেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী টিভি ভেঙ্কটেশ্বরন ৷ সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মহাকাশ বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, চাঁদে প্রাণের সন্ধান মিলবে এরকম কোনও নিশ্চয়তা নেই, তবে বর্তমানে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল চন্দ্রপৃষ্ঠকে পরীক্ষা করা ৷

মঙ্গলবারই ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো জানিয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে সালফারের উপস্থিতির নিশ্চিত প্রমাণ পেয়েছে রোভার 'প্রজ্ঞান' ৷ এই প্রসঙ্গে বিজ্ঞানী ভেঙ্কটেশ্বরন জানিয়েছেন, চন্দ্রপৃষ্ঠের নানা উপাদানের খোঁজ পেতে শুরু করেছে রোভার ৷ রোভার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরবে ও চাঁদের মাটির বিভিন্ন উপাদান ও সেগুলির ঘনত্ব খতিয়ে দেখবে ৷

এই মহাকাশ বিজ্ঞানীর কথায়, "ইতিমধ্যেই ভারতের পাঠানো চন্দ্রযান-1, চন্দ্রযান-2 অর্বিটার ও মার্কিন অর্বিটারগুলি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে চন্দ্রপৃষ্ঠে খনিজ উপাদানের একটা আভাস দিয়েছে ৷ কিন্তু এই রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই অর্বিটারগুলি প্রায় 100 কিমি দূর থেকে চন্দ্রপৃষ্ঠকে নিরীক্ষণ করেছে, তাই এই তথ্য যাচাই করতে চাঁদের মাটিতে নেমে কয়েকটি জায়গায় পরীক্ষা চালানো প্রয়োজন ছিল, রিমোট সেন্সিং এর তথ্য মিলছে কি না, তাও নিশ্চিত করতে হবে ৷ যদি এই দুই তথ্য মিলে যায় তাহলে রিমোট সেন্সিং তথ্যের উপর নির্ভরতা আরও বাড়বে ৷" চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নেমে এই তথ্য যাচাইয়ের কাজই শুরু করেছে ইসরোর পাঠানো রোভার 'প্রজ্ঞান' ও ল্যান্ডার 'বিক্রম' ৷

আরও পড়ুন: 'স্মাইল প্লিজ !' বিক্রমের ছবি তুলেছে প্রজ্ঞান, শেয়ার করল ইসরো

টিভি ভেঙ্কটেশ্বরন সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, 1960 এর দশক থেকে এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ বহু চন্দ্রাভিযান করেছে ৷ গত 5 বছরেই 7টি অভিযান চালানো হয়েছে, সেগুলির মধ্যে মাত্র 3টি সফল হয়েছে ৷ যার মধ্যে রয়েছে চন্দ্রযান-3 ৷ এর থেকে প্রমাণিত যে, ইসরোর কাছে মহাকাশযান অবতরণ করার অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আছে, যা মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে মাইলফলক হতে পারে ৷

নয়াদিল্লি, 30 অগস্ট: মহাকাশ গবেষণা ও পর্যটনের ক্ষেত্রে ভারতের চন্দ্রযান-3 অভিযানের সাফল্যকে ল্যান্ডমার্ক বলে উল্লেখ করলেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী টিভি ভেঙ্কটেশ্বরন ৷ সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মহাকাশ বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, চাঁদে প্রাণের সন্ধান মিলবে এরকম কোনও নিশ্চয়তা নেই, তবে বর্তমানে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল চন্দ্রপৃষ্ঠকে পরীক্ষা করা ৷

মঙ্গলবারই ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো জানিয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে সালফারের উপস্থিতির নিশ্চিত প্রমাণ পেয়েছে রোভার 'প্রজ্ঞান' ৷ এই প্রসঙ্গে বিজ্ঞানী ভেঙ্কটেশ্বরন জানিয়েছেন, চন্দ্রপৃষ্ঠের নানা উপাদানের খোঁজ পেতে শুরু করেছে রোভার ৷ রোভার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরবে ও চাঁদের মাটির বিভিন্ন উপাদান ও সেগুলির ঘনত্ব খতিয়ে দেখবে ৷

এই মহাকাশ বিজ্ঞানীর কথায়, "ইতিমধ্যেই ভারতের পাঠানো চন্দ্রযান-1, চন্দ্রযান-2 অর্বিটার ও মার্কিন অর্বিটারগুলি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে চন্দ্রপৃষ্ঠে খনিজ উপাদানের একটা আভাস দিয়েছে ৷ কিন্তু এই রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই অর্বিটারগুলি প্রায় 100 কিমি দূর থেকে চন্দ্রপৃষ্ঠকে নিরীক্ষণ করেছে, তাই এই তথ্য যাচাই করতে চাঁদের মাটিতে নেমে কয়েকটি জায়গায় পরীক্ষা চালানো প্রয়োজন ছিল, রিমোট সেন্সিং এর তথ্য মিলছে কি না, তাও নিশ্চিত করতে হবে ৷ যদি এই দুই তথ্য মিলে যায় তাহলে রিমোট সেন্সিং তথ্যের উপর নির্ভরতা আরও বাড়বে ৷" চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নেমে এই তথ্য যাচাইয়ের কাজই শুরু করেছে ইসরোর পাঠানো রোভার 'প্রজ্ঞান' ও ল্যান্ডার 'বিক্রম' ৷

আরও পড়ুন: 'স্মাইল প্লিজ !' বিক্রমের ছবি তুলেছে প্রজ্ঞান, শেয়ার করল ইসরো

টিভি ভেঙ্কটেশ্বরন সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, 1960 এর দশক থেকে এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ বহু চন্দ্রাভিযান করেছে ৷ গত 5 বছরেই 7টি অভিযান চালানো হয়েছে, সেগুলির মধ্যে মাত্র 3টি সফল হয়েছে ৷ যার মধ্যে রয়েছে চন্দ্রযান-3 ৷ এর থেকে প্রমাণিত যে, ইসরোর কাছে মহাকাশযান অবতরণ করার অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আছে, যা মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে মাইলফলক হতে পারে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.