রায়গড়, 21 জুলাই: ভূমিধসে অন্তত 16 জনের মৃত্যুর খবর । বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলায় প্রবল ধস নামে ৷ ঈর্শালওয়াড়ি থেকে এই দেহগুলি উদ্ধার করে এনডিআরএফ ৷ ধসে বহু বাড়িঘর চাপা পড়ে গিয়েছে ৷ খালাপুর তেহসিলের অধীনে এই পাহাড়ি অঞ্চলে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে এনডিআরএফ ৷
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামটিতে 228 জন বাস করেন ৷ এর মধ্যে 93 জনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে ৷ 16 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ 119 জন বাসিন্দার সন্ধান মেলেনি ৷ এঁদের মধ্যে এমন অনেক গ্রামবাসী আছেন, যাঁরা ওই ভূমিধসের সময় গ্রামের বাইরে অন্যত্র একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ৷ কেউ আবার ধানের চারা রোপণের কাজ করছিলেন ৷ সরকারি সূত্র অনুযায়ী, গ্রামে 50টি বাড়ির মধ্যে 17টি গুঁড়িয়ে গিয়েছে ৷
এক সরকারি আধিকারিক জানালেন, শুক্রবার ভোরে এনডিআরএফের অন্ততপক্ষে চারটি দল ভূমিধসের জায়গায় পৌঁছেছে ৷ তাঁরা তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ৷ এই দলের সঙ্গে রয়েছে থানে বিপর্যয় মোকাবিলা রেসপন্স বাহিনী বা টিডিআরএফ, স্থানীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ, রায়গড় পুলিশ ৷ সমতল এলাকা থেকে ঈর্শালওয়াড়িতে পৌঁছতে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় লাগে ৷ এখানে কোনও পাকা রাস্তা নেই ৷ তাই আর্থ মুভার এবং খননকারী বিশেষ গাড়ি নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি ৷ তাই কোনও যন্ত্রের সাহায্য় ছাড়া হাতে তল্লাশি অভিযান চালাতে হচ্ছে ৷
এনডিআরএফ আধিকারিক রাহুল কুমার রঘুবংশ জানান, তিন ভাবে সন্ধান চালানো হচ্ছে ৷ এই ধরনের তল্লাশির জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ৷ এটা খুবই সময়সাপেক্ষ এবং চ্যালেঞ্জিং বলে উল্লেখ করেন তিনি ৷
আরও পড়ুন: ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে 10, সাহায্য ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডের
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খারাপ আবহাওয়ার কারণে ভূমিধসের এলাকায় এনডিআরএফ কর্মীরা সন্ধান এবং উদ্ধার কার্য বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলেন ৷ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বৃহস্পতিবার সকালেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৷ মহারাষ্ট্র সরকার ইতিমধ্যে মৃতদের পরিবারপিছু পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছে ৷