নয়াদিল্লি, 13 অগস্ট: স্বাধীনতা দিবসের আগে রাজধানী দিল্লিকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে ৷ একই সঙ্গে, লাল কেল্লা-সহ সংসদ ভবন চত্বর এবং অন্য়ান্য গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ভারী সংখ্য়ায় মোতায়েন রয়েছে দিল্লি পুলিশ এবং আধা সেনা জওয়ানরা ৷
আগামী মঙ্গলবার লাল কেল্লায় সেনার তিন বাহিনীর অভিবাদন গ্রহণের পর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ এরপর লাল কেল্লার প্রাচীর থেকেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী ৷ আর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা দিল্লি ৷ বিভিন্ন মোড়ে বাড়ানো হয়ছে ট্রাফিক পুলিশ ৷ গাড়িতে টহল দেওয়ার পাশাপাশি বাইরে থেকে আসা গাড়িতে চেকিং জোরদার করা হয়েছে। রবিবার লাল কেল্লায় বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনীর ফুল ড্রেস রিহার্সালও হয়েছে।
ভারতের স্বাধীনতার 75 বছর উপলক্ষ্যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করে, দেশের জনগণকে 13 থেকে 15 অগস্ট পর্যন্ত 'হর ঘর তিরঙ্গা' কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি টুইটে লিখেছেন, "ভারতের জাতীয় পতাকা স্বাধীনতা এবং জাতীয় ঐক্যের চেতনার প্রতীক ৷" সেই সঙ্গে, জনগণকে জাতীয় পতাকার সঙ্গে তাদের ছবি 'হর ঘর তিরাঙ্গা' ওয়েবসাইটে আপলোড করার আহ্বানও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী মোদি টুইট করেছেন, "তিরঙ্গা স্বাধীনতা এবং জাতীয় ঐক্যের চেতনার প্রতীক। জাতীয় পতাকার সঙ্গে প্রতিটি ভারতীয়ের আবেগপূর্ণ সংযোগ রয়েছে ৷ এটি আমাদের জাতীয় অগ্রগতির জন্য আরও কঠোর পরিশ্রম করতে অনুপ্রাণিত করে।" ইতিমধ্যে, সারা ভারত থেকে প্রায় এক হাজার 800 জন বিশেষ অতিথি লাল কেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছেন ৷
আরও পড়ুন: 'হর ঘর তিরঙ্গা'র প্রচারে অংশ নিতে দেশবাসীর কাছে আবেদন মোদির
এই বছর দেশের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান, শিক্ষক, নার্স, কৃষক, জেলে, শ্রমিক যারা নয়াদিল্লিতে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প তৈরিতে সহায়তা করেছিলেন, খাদি সেক্টরের কর্মীরা, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক, সীমান্ত সড়ক সংস্থা কর্মী এবং যারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অমৃত সরোবর প্রকল্প এবং হর ঘর জল যোজনা প্রকল্পের জন্য কাজ করেছেন তাদের সপরিবারে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ৷