ETV Bharat / bharat

NeoCov threat in India : ভারতে নিওকোভে এখনই ভয়ের কিছু নেই, আশ্বাস বিজ্ঞানীদের

নিওকোভ একটি নতুন ধরনের করোনা ভাইরাস (new kind of Coronavirus) ৷ এই ভাইরাসের সংক্রমণের খবর আসতেই সারা বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ৷ যদিও ভারতীয় বিজ্ঞানীদের মতে, এই নিয়ে ভারতে আশঙ্কার তেমন কিছু নেই ৷ এটা মূলত বাদুড়ের থেকে তৈরি হওয়া ভাইরাস (bat originated virus) ৷ লিখেছেন ইটিভি ভারতের সিনিয়র করসপন্ডেন্ট গৌতম দেবরায় ৷

scientists say that no imminent threat for india from neocov
NeoCov threat in India : ভারতে নিওকোভে এখনই ভয়ের কিছু নেই, আশ্বাস বিজ্ঞানীদের
author img

By

Published : Jan 29, 2022, 8:49 PM IST

নয়াদিল্লি, 29 জানুয়ারি : নতুন ধরনের একটি করোনা ভাইরাসের হদিশ মিলেছে (new kind of Coronavirus) ৷ যার নাম নিওকোভ (NeoCov) ৷ এই ভাইরাস নিয়ে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে সারা বিশ্বে ৷ যদিও বাদুড় থেকে তৈরি হওয়া এই ভাইরাস নিয়ে ভারতে বড় কোনও আশঙ্কার কিছু নেই ৷ ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ জিনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজির (Institute of Genomics & Integrative Biology) বিজ্ঞানী বিনোদ স্কারিয়া ইটিভি ভারত-কে এই কথা জানিয়েছেন ৷

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ জিনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজি বা আইজিআইবি (IGIB) ভারতে জিনোমিক্স, মলিকিউলার মেডিসিন ও বায়োইনফরমেটিক্স নিয়ে গবেষণার অন্যতম শীর্ষ সংস্থা ৷ সেখানকার বিজ্ঞানী বিনোদ স্কারিয়া জানান, নিওকোভ কোনও নতুন ভ্যারিয়্যান্ট নয় ৷ এটা বাদুড়ের করোনা ভাইরাস ৷ আর এই ভাইরাসে মানুষ আক্রান্ত হয় না ৷ পশু থেকে মানুষের শরীরে তা সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে ৷

নিওকোভ প্রথমবার বাদুড়ের একটি প্রজাতিতে দেখা গিয়েছিল ৷ যে প্রজাতির নাম নিওরোমিসিয়া ৷ নিওকোভের জিনোমের সঙ্গে মার্স-কোভের (MERS-CoV) 85 শতাংশ মিল রয়েছে ৷ জিনোম সিকোয়েন্স ও গবেষণার পর এত তাড়াতাড়ি বাদুড় থেকে মানুষের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার অনুমান করা কঠিন ৷ এমনটাই জানিয়েছেন বিনোদ স্কারিয়া ৷ নিওকোভের সংক্রমণ এখনও পর্যন্ত পশু থেকে পশুদের মধ্যেই হচ্ছে ৷ বিজ্ঞানী স্কারিয়ার মতে, কৃত্রিমভাবে মিউটেশন করানো হলে মানুষের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে ৷

যদিও উহান বিশ্ববিদ্যালয় ও চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট অফ বায়োফিজিক্সের গবেষকদের মতে, আর একবার মিউটেশন ঘটাতে পারলেই ওই ভাইরাস মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে ৷ তাঁরা জানিয়েছেন, মার্স-কোভে আক্রান্তদের মৃত্যুর আশঙ্কা যেমন বেশি থাকে, এই ভাইরাসেরও তাই আছে ৷ সেটা হল, প্রতি তিনজনে একজনের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে ৷

অন্যদিকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organization) বক্তব্য, করোনা ভাইরাস সাধারণত বাদুড়ের মধ্যেই পাওয়া গিয়েছে ৷ বিভিন্ন ধরনের করোনা ভাইরাস বাদুড়ের শরীরে রয়েছে ৷ তাই নিওকোভ নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে ৷

আরও পড়ুন : Wuhan scientists on NeoCov : আরও মারাত্মক করোনা ভাইরাস নিওকোভের সন্ধান দিল উহান বিশ্ববিদ্যালয়

এই বিষয়ে ড. তমোরিশ কোলেও একই কথা বলেছেন ৷ তাঁরও মতে, আরও বেশি জিনোমিক নজরদারি প্রয়োজন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ৷ তাই তিনি এই নিয়ে আগে থেকে আতঙ্কিত না-হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ৷

নয়াদিল্লি, 29 জানুয়ারি : নতুন ধরনের একটি করোনা ভাইরাসের হদিশ মিলেছে (new kind of Coronavirus) ৷ যার নাম নিওকোভ (NeoCov) ৷ এই ভাইরাস নিয়ে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে সারা বিশ্বে ৷ যদিও বাদুড় থেকে তৈরি হওয়া এই ভাইরাস নিয়ে ভারতে বড় কোনও আশঙ্কার কিছু নেই ৷ ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ জিনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজির (Institute of Genomics & Integrative Biology) বিজ্ঞানী বিনোদ স্কারিয়া ইটিভি ভারত-কে এই কথা জানিয়েছেন ৷

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ জিনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজি বা আইজিআইবি (IGIB) ভারতে জিনোমিক্স, মলিকিউলার মেডিসিন ও বায়োইনফরমেটিক্স নিয়ে গবেষণার অন্যতম শীর্ষ সংস্থা ৷ সেখানকার বিজ্ঞানী বিনোদ স্কারিয়া জানান, নিওকোভ কোনও নতুন ভ্যারিয়্যান্ট নয় ৷ এটা বাদুড়ের করোনা ভাইরাস ৷ আর এই ভাইরাসে মানুষ আক্রান্ত হয় না ৷ পশু থেকে মানুষের শরীরে তা সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে ৷

নিওকোভ প্রথমবার বাদুড়ের একটি প্রজাতিতে দেখা গিয়েছিল ৷ যে প্রজাতির নাম নিওরোমিসিয়া ৷ নিওকোভের জিনোমের সঙ্গে মার্স-কোভের (MERS-CoV) 85 শতাংশ মিল রয়েছে ৷ জিনোম সিকোয়েন্স ও গবেষণার পর এত তাড়াতাড়ি বাদুড় থেকে মানুষের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার অনুমান করা কঠিন ৷ এমনটাই জানিয়েছেন বিনোদ স্কারিয়া ৷ নিওকোভের সংক্রমণ এখনও পর্যন্ত পশু থেকে পশুদের মধ্যেই হচ্ছে ৷ বিজ্ঞানী স্কারিয়ার মতে, কৃত্রিমভাবে মিউটেশন করানো হলে মানুষের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে ৷

যদিও উহান বিশ্ববিদ্যালয় ও চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট অফ বায়োফিজিক্সের গবেষকদের মতে, আর একবার মিউটেশন ঘটাতে পারলেই ওই ভাইরাস মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে ৷ তাঁরা জানিয়েছেন, মার্স-কোভে আক্রান্তদের মৃত্যুর আশঙ্কা যেমন বেশি থাকে, এই ভাইরাসেরও তাই আছে ৷ সেটা হল, প্রতি তিনজনে একজনের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে ৷

অন্যদিকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organization) বক্তব্য, করোনা ভাইরাস সাধারণত বাদুড়ের মধ্যেই পাওয়া গিয়েছে ৷ বিভিন্ন ধরনের করোনা ভাইরাস বাদুড়ের শরীরে রয়েছে ৷ তাই নিওকোভ নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে ৷

আরও পড়ুন : Wuhan scientists on NeoCov : আরও মারাত্মক করোনা ভাইরাস নিওকোভের সন্ধান দিল উহান বিশ্ববিদ্যালয়

এই বিষয়ে ড. তমোরিশ কোলেও একই কথা বলেছেন ৷ তাঁরও মতে, আরও বেশি জিনোমিক নজরদারি প্রয়োজন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ৷ তাই তিনি এই নিয়ে আগে থেকে আতঙ্কিত না-হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.