ETV Bharat / bharat

Supreme Court: 1955 সালের নাগরিকত্ব আইনের বিশেষ ধারা নিয়ে প্রশ্ন, অক্টোবরে শুনানি সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 20, 2023, 7:59 PM IST

1955 সালের নাগরিকত্ব আইনের 6এ ধারার সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে ৷ 17 অক্টোবর থেকে এই সংক্রান্ত আবেদনগুলির শুনানি শুরু হবে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে ৷

ETV Bharat
সুপ্রিম কোর্ট

নয়াদিল্লি, 20 সেপ্টেম্বর: 1955 সালের নাগরিকত্ব আইনের 6-এ ধারার সাংবিধানিক বৈধতা সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি শুরু হতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টে ৷ দেশের শীর্ষ আদালত বুধবার জানিয়েছে, 17 অক্টোবর থেকে এই সংক্রান্ত আবেদনগুলির শুনানি শুরু হবে ৷ প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন 5 সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ৷ 1955 সালের নাগরিকত্ব আইনের 6-এ ধারার সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বেশকিছু মামলা দায়ের হয়েছে আদালতে ৷ একত্রে এই মামলাগুলির শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে ৷

এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার ও অসম সরকার আদালতে জানিয়েছিল, 1955 সালের নাগরিকত্ব আইনের 6-এ ধারা সাংবিধানিকভাবে বৈধ, তাই এর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামগুলি খারিজ করে দেওয়া হোক ৷ কিন্তু শীর্ষ আদালত এই আবেদনগুলি শুনতে রাজি হয়েছে ৷ 1955 সালের নাগরিকত্ব আইনের এই বিশেষ ধারায় বলা হয়েছে, 1966 সালের 1 জানুয়ারির আগে যারা অসমে প্রবেশ করেছেন তাঁরা স্বাভাবিকভাবেই অসমের বাসিন্দা হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন ও ভারতীয় নাগরিক হিসেবে সমস্ত অধিকার তাঁদের থাকবে ৷ কিন্তু, 1966 সালের 1 জানুয়ারির পর থেকে 1971 সালের 25 মার্চের মধ্যে যাঁরা অসমে প্রবেশ করেছেন তাঁরাও ভারতীয় নাগরিক হিসেবে সমস্ত অধিকার পাবেন, কিন্তু তাঁরা 10 বছর ভোটাধিকার পাবেন না ৷

আরও পড়ুন: মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে দেশের মানুষকে বোকা বানাচ্ছে বিজেপি, অভিযোগ মহুয়ার

1985 সালের অসম চুক্তির সময়, 1955 সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে এই 6-এ ধারাটি সংযোজন করে রাজীব গান্ধির নেতৃত্বাধীন সরকার ৷ সেই সময় অসমের জাতিসত্ত্বা রক্ষা নিয়ে যে সব নেতারা আন্দোলন করছিলেন অসম চুক্তির মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে সমঝোতায় আসেন রাজীব ৷ সে সময় সরকারের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, অসমের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, সামাজিক ও ভাষাগত পরিচয়কে রক্ষা ও সংরক্ষণ করতেই ওই বিশেষ ধারা সংযোজন করা হয়েছে ৷ পরবর্তীতে এই বিশেষ ধারা নিয়েই অবশ্য প্রশ্ন উঠেছে ৷ ওই বিশেষ ধারার মাধ্যমে নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷ যদিও কেন্দ্রের যুক্তি ওই বিশেষ ধারা সংযোজনের প্রায় 40 বছর পর তা বাতিল করা সম্ভব নয় ৷ 2015 সালে সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চের থেকে এই মামলাটি 5 সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে যায় ৷

নয়াদিল্লি, 20 সেপ্টেম্বর: 1955 সালের নাগরিকত্ব আইনের 6-এ ধারার সাংবিধানিক বৈধতা সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি শুরু হতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টে ৷ দেশের শীর্ষ আদালত বুধবার জানিয়েছে, 17 অক্টোবর থেকে এই সংক্রান্ত আবেদনগুলির শুনানি শুরু হবে ৷ প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন 5 সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ৷ 1955 সালের নাগরিকত্ব আইনের 6-এ ধারার সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বেশকিছু মামলা দায়ের হয়েছে আদালতে ৷ একত্রে এই মামলাগুলির শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে ৷

এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার ও অসম সরকার আদালতে জানিয়েছিল, 1955 সালের নাগরিকত্ব আইনের 6-এ ধারা সাংবিধানিকভাবে বৈধ, তাই এর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামগুলি খারিজ করে দেওয়া হোক ৷ কিন্তু শীর্ষ আদালত এই আবেদনগুলি শুনতে রাজি হয়েছে ৷ 1955 সালের নাগরিকত্ব আইনের এই বিশেষ ধারায় বলা হয়েছে, 1966 সালের 1 জানুয়ারির আগে যারা অসমে প্রবেশ করেছেন তাঁরা স্বাভাবিকভাবেই অসমের বাসিন্দা হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন ও ভারতীয় নাগরিক হিসেবে সমস্ত অধিকার তাঁদের থাকবে ৷ কিন্তু, 1966 সালের 1 জানুয়ারির পর থেকে 1971 সালের 25 মার্চের মধ্যে যাঁরা অসমে প্রবেশ করেছেন তাঁরাও ভারতীয় নাগরিক হিসেবে সমস্ত অধিকার পাবেন, কিন্তু তাঁরা 10 বছর ভোটাধিকার পাবেন না ৷

আরও পড়ুন: মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে দেশের মানুষকে বোকা বানাচ্ছে বিজেপি, অভিযোগ মহুয়ার

1985 সালের অসম চুক্তির সময়, 1955 সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে এই 6-এ ধারাটি সংযোজন করে রাজীব গান্ধির নেতৃত্বাধীন সরকার ৷ সেই সময় অসমের জাতিসত্ত্বা রক্ষা নিয়ে যে সব নেতারা আন্দোলন করছিলেন অসম চুক্তির মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে সমঝোতায় আসেন রাজীব ৷ সে সময় সরকারের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, অসমের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, সামাজিক ও ভাষাগত পরিচয়কে রক্ষা ও সংরক্ষণ করতেই ওই বিশেষ ধারা সংযোজন করা হয়েছে ৷ পরবর্তীতে এই বিশেষ ধারা নিয়েই অবশ্য প্রশ্ন উঠেছে ৷ ওই বিশেষ ধারার মাধ্যমে নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷ যদিও কেন্দ্রের যুক্তি ওই বিশেষ ধারা সংযোজনের প্রায় 40 বছর পর তা বাতিল করা সম্ভব নয় ৷ 2015 সালে সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চের থেকে এই মামলাটি 5 সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে যায় ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.