নয়াদিল্লি, 17 ফেব্রুয়ারি: 2016 সালের নবম রেবিয়া রায় (2016 Nabam Rebia Judgement) দেয় সুপ্রিম কোর্ট ৷ ওই রায়ে অধ্যক্ষকে বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজের সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত করা হয়েছিল শীর্ষ আদালতের তরফে ৷ মহারাষ্ট্রে শিবসেনার একনাথ শিন্ডের (Maharashtra CM Eknath Shinde) পক্ষের বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজ সংক্রান্ত মামলায় ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হয় শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে শিবির (Shiv Sena Uddhav Thackeray Faction) থেকে ৷ তা বৃহত্তর সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়া হোক, এমনও আবেদন হয় ৷ কিন্তু শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) উদ্ধবদের এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে ৷
যদিও শীর্ষ আদালতে পাঁচ বিচারপতির এক সাংবিধানিক বেঞ্চ (Constitution Bench) তৈরি হয়েছে ৷ তারাই এই মামলার শুনানি করছে ৷ দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (CJI D Y Chandrachud) নেতৃত্বে এই বেঞ্চ গঠিত হয়েছে ৷ শুক্রবার সেখানে নবম রেবিয়া মামলার উদাহরণ টানা হবে কি না, সেই নিয়েই শুনানি হয়৷ আর উদ্ধব শিবিরের আবেদন খারিজ হয়ে যায় ৷ আর শুনানিতে প্রধান বিচারপতি জানান, এই মামলা বৃহত্তর বেঞ্চের কাছে রেফার করা হবে কি না, তা শুনানির সময় মামলার যোগ্যতার ভিত্তিতে ঠিক হবে ৷ এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী মঙ্গলবার সকাল সাড়ে 10টা নাগাদ হবে ৷
নবম রেবিয়ার মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল যে সংবিধানের আর্টিকেল 179 (সি) ধারায় সদস্যপদ খারিজের নোটিশ সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে সংবিধানের দশম তফসিলের উপর ভিত্তি করে দলত্যাগ বিরোধী আইন অনুযায়ী কোনও সদস্য়ের সদস্য়পদ স্পিকার খারিজ করতে পারবেন না ৷ উদ্ধব শিবির আদালতের এই মতকে চ্যালেঞ্জ করেছে । একটা নোটিশ স্পিকারের অধিকারকে এই ভাবে খর্ব করতে পারে না বলে তারা আদালতে দাবি করে ৷ তাদের বক্তব্য, এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে স্পিকারের অক্ষমতা প্রকাশ্যে চলে আসবে ৷
অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের গোষ্ঠী মনে করে যে নবম রেবিয়া মামলার রেফারেন্সের প্রশ্নই ওঠে না ৷ কারণ, মুখ্যমন্ত্রিত্ব টিকিয়ে রাখা অসম্ভব বলেই অনাস্থা ভোটের আগেই উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন ৷
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে উদ্ধব শিবিরের 'কামব্যাক' ! উপনির্বাচনে জয়ী রুতুজা