Fake Bank Loan Incident: মৃতের নামে ব্যাংক ঋণ, দেনা মেটাতে চাপ দিচ্ছে ব্যাংক - মধ্যপ্রদেশ চিন্দওয়াড়া
কৃষকের মৃত্যু হয়েছে 2006 সালে ৷ সেই বছর তিনি ব্যাংকে ঋণের আবেদন করেছিলেন ৷ কিন্তু তা মঞ্জুর হওয়ার আগেই মারা যান তিনি ৷ এরপর 2009 সালে মৃত চাষির নামে ব্যাংক ঋণ দেয় ৷ অথচ সেই ঋণ তো পরিবার পায়নি ৷ কিন্তু ব্যাংক পরিবারকে ঋণ শোধের জন্য চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ (Bank Loan repay notice to deceased farmer family) ৷
চিন্দওয়াড়া (মধ্যপ্রদেশ), 30 মার্চ: মৃত্যুর তিন বছর পর ঋণ দিল ব্যাংক ৷ এমন আজব ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়া জেলায় ৷ এদিকে মৃত চাষির পরিবারকে ব্য়াংকের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে ৷ তাতে ব্যাংকটি দাবি করেছে, গ্রাহক ঋণ শোধ করতে ব্যর্থ হয়েছেন (a deceased farmer was disbursed a loan three years after his death in Madhya Pradesh's Chindwara district) ৷
বিষয়টি সামনে আসে যখন কৃষকের পুত্র এই সমস্যা নিয়ে ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টরের দ্বারস্থ হন ৷ চাউরি তেহসিলের তুনওয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা শম্ভু দয়াল বার্মা কালেক্টরের কাছে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপের আবেদন জানান তিনি ৷ কারণ, দেনা না-মেটানোর দায় তাঁদের কাঁধে চেপেছে ৷ আর এর ফলে তার কালো তালিকাভুক্ত হয়ে গিয়েছেন ৷ অন্য কোনও ব্যাংক থেকে ঋণও পাচ্ছেন না ৷
এ প্রসঙ্গে শম্ভু বলেন, "আমার বাবা আজব সিং বার্মা একজন কৃষক ছিলেন ৷ তিনি 2006 সালে একটি ঋণের আবেদন করেন ৷ ওই বছর তাঁর মৃত্যু হয় ৷ যদিও ব্যাংকটির ছিন্দওয়াড়া শাখা 2009 সালে তাঁর নামে সেই ঋণ মঞ্জুর করে ৷" তিনি আরও বলেন, "2018 সালে কমলনাথ সরকারের সময় রাজ্য সরকার কৃষকদের 2 লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ মকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ৷ এমনকী আমরা সেই চিঠিও পেয়েছিলাম ৷ কিন্তু পরে ঋণের বিষয়ে এটা সামনে এল ৷ কিন্তু আমরা তো কোনও দিন ব্যাংক থেকে টাকা পাইনি ৷ তাহলে তারা ঋণ মকুব করবে কী করে ?"
ব্যাংক থেকে নোটিশ পাওয়া প্রসঙ্গে শম্ভু বলেন, "আমরা ফের ব্যাংক থেকে 2 লক্ষ 75 হাজার টাকা দেনা মেটানোর জন্য একটা নোটিশ পেয়েছি ৷ ব্যাংকের আধিকারিকরা আমাদের প্রায়শ ঋণ শোধ করার জন্য চাপ দিচ্ছে ৷ সময়ে সময়ে আমাদের হেনস্থা করছে ৷ আর আমরা যে ঋণ নিলামই না, সেই ঋণ শোধের জন্য জোর দিচ্ছে ৷ এই ভুয়ো ঋণের মামলায় আমরা অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ পাচ্ছি না ৷"
এ বিষয়ে ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টরের কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছেন শম্ভু ৷ তাঁর বাবা 2006 সালে মারা গিয়েছেন ৷ তাহলে 2009 সালে কীভাবে তাঁর বাবার নামে ব্যাংক ঋণ দিতে পারে ? প্রশ্ন তুলেছেন মৃত চাষির ছেলে ৷ তিনি বলেন, "আমরা তাঁকে অনুরোধ করেছি এই ভুয়ো ব্যাংক ঋণের সমাধান করতে, যাতে আমরা অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে পারি ৷"
আরও পড়ুন: 16 বছর ধরে বাকি ঋণ, মৃত কৃষকের বাড়ি দখল করল ব্যাংক