মুম্বই, 16 নভেম্বর: শ্রদ্ধা ওয়াকার (Shraddha Walker) খুনে মূল অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালাকে (Aftab Amin Poonawalla) সর্বসমক্ষে ফাঁসিতে ঝোলানোর দাবি তুললেন শিবসেনা সাংসদ (Shiv Sena MP) সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut) ৷ বুধবার মুম্বইয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সঞ্জয় বলেন, "এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ সামনে এসেছে, তা থেকেই স্পষ্ট যে শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করেছে তাঁরই প্রেমিক ৷ এসব ক্ষেত্রে আদালতে আইনি বিচারের কোনও প্রয়োজন নেই ৷ সমাজেরই এগিয়ে এসে বিচার করা উচিত ৷ ওই খুনিকে সবার সামনে ফাঁসিতে ঝোলানো উচিত ৷"
এই ঘটনার (Shraddha Murder Case) প্রেক্ষিতে 'লভ জিহাদ' নিয়েও সরব হন শিবসেনার এই নেতা ৷ সঞ্জয় বলেন, "আমাদের মেয়েদেরও বোঝা উচিত ৷ তাদের সামলে চলা উচিত ৷ তাদের বোঝা উচিত, তারা আগামী দিনে কী করতে চলেছে ৷ আমি দেখলাম, এরা তো শিক্ষিত ৷ মেয়েটির বাবা ওকে বোঝানোর অনেক চেষ্টা করেছিলেন ৷ কিন্তু, সে কিছুই বুঝতে চাইনি ৷ এখন একে আপনারা লভ জিহাদ বলুন, বা অন্য কিছু ৷ মরছে তো আমাদের ঘরের মেয়েরাই ৷"
আরও পড়ুন: আফতাবের সাইকো-অ্যাসেসমেন্ট টেস্ট করানোর ভাবনা দিল্লি পুলিশের
প্রসঙ্গত, প্রায় 6 মাস আগে আদতে মুম্বইয়ের বাসিন্দা শ্রদ্ধা ওয়াকারকে তাঁর দিল্লির বাড়িতে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ৷ দিল্লি পুলিশের দাবি, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন শ্রদ্ধার 'প্রেমিক' আফতাব ৷ সূত্রের খবর, ভিন্ন সম্প্রদায়ের হওয়ায় আফতাবের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে আপত্তি ছিল শ্রদ্ধার পরিবারের ৷ কিন্তু, শ্রদ্ধা পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়েই আফতাবের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন ৷ এমনকী, মুম্বই ছেড়ে আফতাবের সঙ্গে দিল্লি চলে যান তিনি ৷ 6 মাস আগে সেখানেই আফতাব তাঁকে খুন করেন বলে অভিযোগ ৷ তারপর শ্রদ্ধার দেহ 35 টুকরো করে 18 দিন ধরে দিল্লির নানা প্রান্তে ফেলে দেন !
এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে সারা দেশে ৷ ওয়াকিবহাল মহল বলছে, আফতাব যদি সত্যিই শ্রদ্ধাকে খুনের পর এভাব তাঁর দেহ লোপাট করেন, তাহলে একথা মানতেই হবে যে তিনি মানসিকভাবে সুস্থ নন ৷ আপাতত এ নিয়ে চলছে কাটাছেঁড়া ৷ তবে, এমন নৃশংস ঘটনা ঘটালেও কাউকে এভাবে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝোলানোর দাবি তোলা যায় কি না, সেই প্রশ্ন উঠছেই ৷ কারণ, সেক্ষেত্রে তা হবে আইনবিরোধী ৷ একজন রাজনৈতিক নেতার সংবাদমাধ্যমে এমন বক্তব্য জনমানসে ভুল বার্তা দিতে পারেও বলে মনে করছেন বিশিষ্টরা ৷ তাঁদের বক্তব্য, আফতাবের দোষ প্রমাণ হলে অবশ্য তাঁর কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি হওয়া উচিত ৷ কিন্তু, সেই শাস্তি দেবে আদালত ৷ অন্য কেউ নয় ৷