মির্জাপুর, 22 ডিসেম্বর: লক্ষ্যে অবিচল থাকা এবং নিজের যথাসাধ্য দিয়ে সেদিকে এগিয়ে চলা । মির্জাপুর সানিয়া মির্জা দেখিয়ে দিলেন, এই দুই গুণ থাকলে কোনও লক্ষ্য ছোঁয়াই অসম্ভব নয় । সবকিছু ঠিক থাকলে, উত্তরপ্রদেশের প্রথম মহিলা এবং দেশের প্রথম মুসলিম মহিলা পাইলট হিসেবে ফাইটার জেটে চালকের আসনে বসতে চলেছেন তিনি (Sania Mirza became Countrys First Muslim Girl Fighter Pilot)।
বাবা শহিদ আলি টিভি মেকানিক, সাধারণ পড়ুয়া থেকে সেনাবাহিনীর দরজায় পৌঁছনোর রাস্তাটা কখনই সুগম ছিল না । সেখান থেকে দেশের অন্যতম কঠিন পরীক্ষা এনডিএ-তে দেশের মধ্যে 149তম স্থান দখল করেছেন তিনি । ভারতীয় বিমান বাহিনীর ফাইটার পাইলট নির্বাচিত হয়েছেন সানিয়া । মেয়ের সাফল্যে খুশি সানিয়ার বাবা-মা ।
আরও পড়ুন: বড় স্বপ্ন দেখো, নয়া ও উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখো; শিশুদের বার্তা রাষ্ট্রপতির
সানিয়া মির্জা বলেন, 'ফাইটার পাইলটে মেয়েদের সংখ্যা কম । দেশের প্রথম মহিলা ফাইটার পাইলট অবণী চতুর্বেদীকে দেখেই আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি । হাই স্কুলের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই ঠিক করে নিয়েছিলাম, আমাকে ফাইটার পাইলট হতে হবে । ইউপি বোর্ডে লেখাপড়া করেও আমি আমার স্বপ্নপূরণ করেছি । বলা হয় যে শুধুমাত্র সিবিএসই-আইএসসি বোর্ডের পড়ুয়ারাই এনডিএ-তে সাফল্য পায় । কিন্তু আমি আজকে দেখিয়ে দিয়েছি যে ইউপি বোর্ডের পড়ুয়ারাও এনডিএ পাস করতে পারে ।"
আরও পড়ুন: রবিবার টেট, চায়ের দোকান চালিয়েই প্রস্তুতি সারলেন সোহেল
সানিয়া মির্জা মির্জাপুর দেহাত কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত ছোট যশোভার গ্রামের বাসিন্দা । প্রাথমিক থেকে দশম পর্যন্ত সানিয়া গ্রামের পণ্ডিত চিন্তামণি দুবে ইন্টার কলেজে পড়াশোনা করেন । এরপর গুরু নানক গার্লস ইন্টার কলেজ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন সানিয়া । ইউপি বোর্ড জেলা টপারও হয়েছেন তিনি । 10 এপ্রিল 2022-এ এনডিএ পরীক্ষা দেন তিনি । জুনে সেঞ্চুরিয়ান ডিফেন্স একাডেমিতে যোগ দেন, সেখানেই সাক্ষাৎকারের জন্য প্রস্তুতি নেন তিনি । সেঞ্চুরিয়ান ডিফেন্স অ্যাকাডেমি থেকে প্রস্তুতি নিয়েই তিনি আজ সাফল্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন সানিয়া। 27 ডিসেম্বর পুনেতে এনডিএ-তে যোগ দেবেন তিনি ।