দেওরিয়া(উত্তরপ্রদেশ), 11 জানুয়ারি: কথায় বলে, শেষ ভালো যার সব ভালো তার ৷ দুই সমকামী যুবতী বিয়ে করে সারাজীবন একসঙ্গে থাকতে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ান মন্দিরের পুরোহিত ৷ তাঁর মন্দিরে যুবতীদের বিয়েতে আপত্তি জানান তিনি ৷ এই বিয়ে করার জন্য জেলাশাসকের অনুমতি নিয়ে আসতে বলা হয় তাঁদের ৷ প্রথমে ভয় পেলেও একে ওপরের হাত ধরে পথচলার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসেননি দুই কন্যে ৷ পরে অন্য একটি মন্দিরে পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণে চারহাত এক হয় যুবতীদের ৷ একজন পুরুষ ও অন্যজন মহিলার বেশে বিবাদ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন ৷
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া জেলার ৷ নববিবাহিত যুবতী দুজনেই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ৷ জয়শ্রী রাউলের (28) বাড়ি দক্ষিণ 24 পরগনার বিশাল লক্ষ্মীপুরে ৷ আর রাখি দাস (23) দাসের বাড়ি ওই জেলারই অক্ষয়নগর রিফিউজি কলোনিতে ৷
জানা গিয়েছে, দেওরিয়া জেলার লার থানা এলাকায় ডিজে হিসেবে কাজ করেন এই দুই যুবতী ৷ দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে বসবাস করছিলেন তাঁরা । একসঙ্গে থাকতে থাকতে দু'জনেই একে অপরকে হৃদয় বিনিময় করে ফেলেন এবং পরবর্তীতে একসঙ্গে জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন । মাঝৌলি রাজে অবস্থিত ভগদা ভবানী মন্দিরে সোমবার তাঁদের বিয়ে হয় । সমাজের নিয়ম কানুনকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে একে অপরকে মালা পরিয়ে তাঁরা দু'জনেই ফিল্মি স্টাইলে বিয়ে সেরেছেন ৷ জেলায় এই সমকামী মেয়ের বিয়ে নিয়ে চর্চা তুঙ্গে ।
যুবতীরা জানান, তাঁরা শুধু একে অপরের সঙ্গে বাঁচতে চায় । এতে যদি কারও কোনও সমস্যা হয় তাঁদের কিছু করার নেই ৷ জয়শ্রী রাউল বলেন, "আমরা অনেকদিন ধরেই বিয়ে করতে চেয়েছিলাম । আমরা ভাটপরানী তহসিল থেকে তৈরি একটি নোটারি সার্টিফিকেটও পেয়েছি । কিছুদিন আগে দির্গেশ্বরনাথ মন্দিরে গিয়েছিলেন বিয়ে করতে কিন্তু সেখানকার পুরোহিত আমাদেরকে বলেছিলেন, ডিএম-এর কাছ থেকে অনুমতি নিতে ৷ তবেই বিয়ে হবে । এরপর আমাদের বিয়ে কীভাবে হবে তা নিয়ে আমরা চিন্তিত হয়ে পড়ি । কিন্তু শেষে ভগদা ভবানী মন্দিরে বিয়ে হয় আমাদের ৷ আমরা সারাজীবন একে অপরের সঙ্গে থাকার শপথ নিয়েছি ।"
আরও পড়ুন: