নিউইয়র্ক, 15 ডিসেম্বর: পাকিস্তান বা সেদেশের কোনও প্রতিনিধির নাম না-করেই পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিকে (Bilawal Bhutto Zardari) তুলোধনা করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar) ৷ ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার নিউইয়র্কে (New York) আয়োজিত রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) সম্মেলনে ৷
ঠিক কী বলেছেন জয়শংকর ? যেকোনও দেশের জাতীয় ক্ষমতা নিয়ে বক্তব্য পেশ করছিলেন তিনি ৷ তাঁর মতে, রাষ্ট্রসংঘ কোনও দেশের উপর কতটা ভরসা করবে, তা নির্ভর করে সেই দেশের জাতীয় ক্ষমতার উপর ৷ অতিমারি হোক, কিংবা জলবায়ু পরিবর্তন, অথবা সীমান্ত পেরিয়ে আসা সন্ত্রাস, সংশ্লিষ্ট দেশটি এই সমস্ত সমস্য়ার মোকাবিলা কীভাবে করছে, তা থেকেই বোঝা যায়, সেই দেশের জাতীয় ক্ষমতা ঠিক কতটা ? আর এই প্রসঙ্গেই তাৎপর্যপূর্ণভাবে পড়শি পাকিস্তানের জঙ্গিনেতা ওসামা বিন লাদেনকে (Osama Bin Laden) নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি টেনে আনেন জয়শংকর ৷ উল্লেখ করেন, 2001 সালের সংসদ হামলার ঘটনারও ৷
আরও পড়ুন: তাওয়াংয়ে সংঘর্ষের পর ভারত-চিনের মধ্যে উত্তেজনা কমানোর পক্ষে সওয়াল রাষ্ট্রসংঘের
ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, "যখন আমরা কোনও সমস্যার সমাধান খুঁজব, তখন সেই প্রচেষ্টার আড়ালে কখনই কোনও আতঙ্ককে স্বাভাবিক বলে গণ্য করার পরিকল্পনাকে প্রশ্রয় দেওয়া চলবে না ৷ যা সারা বিশ্বের কাছেই গ্রহণযোগ্য নয়, সেই ঘটনা ঘটিয়ে তার স্বপক্ষে যুক্তি পেশ করার প্রক্রিয়া শুরুই হতে দেওয়া যায় না ৷ রাষ্ট্রের মদতপুষ্ট সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম মানা উচিত ৷ ওসামা বিন লাদেনের মতো সন্ত্রাসবাদীকে নিরাপদ আশ্রয় প্রদান করা এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের হামলা চালানোর পর সেই দেশকেই উপদেশ দিতে আসা কখনই এই সম্মেলনে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না ৷"
এস জয়শংকরের এই মন্তব্যকে পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়ালের প্রতি কড়া জবাব হিসাবেই ব্যাখ্যা করছে ওয়াকিবহাল মহল ৷ প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে আবারও একবার কাশ্মীর সমস্যার (Kashmir Issue) কথা তুলে ধরার চেষ্টা করেন বিলাওয়াল ৷ যা মোটেই ভালোভাবে নেননি ভারতের বিদেশমন্ত্রী ৷ সেই কারণেই তাঁর এই কঠোর জবাব বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা ৷ এদিকে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (United Nations Security Council) স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের পক্ষে আবারও সমর্থন জানিয়েছে ফ্রান্স ও ব্রিটেন ৷