নয়াদিল্লি, 10 ফেব্রুয়ারি : কংগ্রেসের সদর দফতরের ভাড়া বকেয়া পড়ে রয়েছে এক দশক ধরে (Congress Head Quarters Rent not Paid from 2012) ৷ সম্প্রতি তথ্যের অধিকার আইনে করা এক আবেদনের উত্তরে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই উত্তর দেওয়া হয়েছে (Centre's Reply on a RTI) ৷ 10, জনপথ রোডে সোনিয়া গান্ধির বাসভবনেরও ভাড়া বকেয়া পড়ে রয়েছে (Sonia Gandhi's Residents Rent not Paid from 2020) ৷ তাঁর ব্যক্তিগত সচিবও ভাড়া দেন না গত সাড়ে ন’বছর ধরে ৷
সুজিত প্যাটেল নামে এক ব্যক্তি তথ্যের অধিকার আইনে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একটি আবেদন করেন ৷ সেই আবেদনের ভিত্তিতে উত্তর দেয় কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক ৷ সেখানে জানানো হয়, 2012 সালে শেষবার দিল্লির আকবর রোডে কংগ্রেসের সদর দফতরের ভাড়া মেটানো হয়েছিল ৷ তারপর থেকে ভাড়া বকেয়া পড়ে রয়েছে ৷ সব মিলিয়ে 12 লক্ষ 69 হাজার 902 টাকা বকেয়া রয়েছে ৷
কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি (Congress Interim President Sonia Gandhi) থাকেন দিল্লির 10, জনপথে ৷ সেই বাসভাবনের ভাড়াও বকেয়া রয়েছে 2020 সালের সেপ্টেম্বর থেকে ৷ 4 হাজার 610 টাকা ভাড়া বকেয়া রয়েছে বলে কেন্দ্রের তরফে সুজিত প্যাটেলকে ওই আরটিআই-এর উত্তরে জানানো হয়েছে ৷
সেখানে আরও জানানো হয়েছে যে, সোনিয়া গান্ধির ব্যক্তিগত সচিব ভিনসেন্ট জর্জ থাকেন নয়াদিল্লির চাণক্যপুরীর সি-2/109 নম্বর বাংলোয় ৷ সেই বাংলোর 5 লক্ষ 7 হাজার 911 টাকা ভাড়া বকেয়া ৷ শেষবার ভাড়া দেওয়া হয় 2013 সালের অগস্টে ৷
আবাসন নিয়ম অনুসারে, যেকোনও জাতীয় বা আঞ্চলিক দলকে তিন বছরের জন্য ভাড়ায় অফিস চালাতে দেওয়া হয় ৷ তার মধ্যে পার্টি অফিস তৈরি করে ফেলতে হয় ৷ কংগ্রেসের পার্টি অফিস তৈরির জন্য জমি 2010 সালে দেওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু 9এ রাউজ অ্যাভিনিউতে এখনও পার্টি অফিস সরায়নি কংগ্রেস ৷ বরং একাধিকবার মেয়াদ বৃদ্ধি করে আকবর রোডেই পার্টি অফিস রেখে দিয়েছে ৷
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, 2020 সালের জুলাইয়ে লোধি রোডের বাসভবন ছাড়তে নোটিস দেওয়া হয় কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরাকে (Congress General Secretary Priyanka Gandhi Vadra) ৷ তাঁকে একমাস সময় দেওয়া হয়েছিল ৷ এই নিয়ে সেই সময় ব্যাপক বিতর্ক হয়েছিল ৷ তাই প্রশ্ন উঠছে, এই ভাড়া বকেয়া নিয়ে কেন কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ করছে না ?
যদিও ভোটের মরশুমে এই ইস্যুুতে কংগ্রেসকে কোণঠাসা করতে মরিয়া বিজেপি ৷ তাই আসরে নেমে পড়েছেন দলের নেতা তেজিন্দর পাল সিং বাগ্গা ৷ তিনি এই নিয়ে টুইট করেছেন ৷ লিখেছেন, ‘‘ভোটে হেরে যাওয়ার পর সোনিয়াজি ভাড়া দিতে পারছেন না ৷ এটা তো হবেই ৷ কারণ, তিনি কোনও দুর্নীতি করতে পারছেন না ৷ কিন্তু রাজনৈতিক মতভেদ সরিয়ে রেখে আমি তাঁকে একজন মানুষ হিসেবে সাহায্য করতে চাই ৷ আমি সোনিয়া গান্ধি রিলিফ ফান্ডের নামে একটি প্রচার শুরু করলাম ৷ তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে 10 টাকা পাঠিয়েছি ৷ প্রত্যেককে অনুরোধ করব যে তাঁকে সাহায্য করার জন্য ৷’’ তাই সোনিয়া গান্ধির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যও টুইটারে শেয়ার করেছেন তেজিন্দর ৷
আরও পড়ুন : Rahul Attacks Modi : মোদির কথা কেন শুনব, প্রশ্ন রাহুলের