শ্রীনগর, 24 ডিসেম্বর: আজানের সময় কাশ্মীরে জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ গেল অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকের ৷ মৃতের নাম মহম্মদ শফি মীর ৷ রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে কাশ্মীর উপত্যকার বারামুল্লা জেলায় ৷ পুলিশ জানিয়েছে, বারামুল্লার গান্টমুল্লার শেরিতে একটি মসজিদে আজান শুরুর সময় জঙ্গিরা মীরকে গুলি করে হত্যা করে । 68 বছর বয়সি মীর পুলিশ সুপার হিসেবে চাকরি থেকে অবসর নিয়েছিলেন । তিনি সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে পুলিশে যোগদান করেছিলেন। পরে ধাপে ধাপে পুলিশ সুপার হন । তাঁর দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে ৷ তাঁরা সকলেই বিবাহিত ।
এক্সে একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, "বারামুল্লার শেরির গান্টমুল্লায় মসজিদে আজানের সময় জঙ্গিরা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার মহম্মদ শফির উপর গুলি চালায় ৷ এই ঘটনার পর এলাকাটি ঘিরে ফেলা হয়েছে ৷" নিহতের পরিবারের লোকেরা জানান, চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর থেকে মীর দিনে পাঁচবার মসজিদে আজানে অংশ নিতেন । আজ ভোরেও তিনি মসজিদের ভিতরে গিয়ে আজান পড়ছিলেন ৷ অর্ধেক আজান পড়ার পরই অজ্ঞাত পরিচয়ের জঙ্গিরা তাঁকে গুলি করে হত্যা করে । তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ সেটি শেষ হওয়ার পরই আজ তাঁর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে ।
এমনিতেই সম্প্রতি ছুটিতে বা বাড়িতে থাকা পুলিশ আধিকারিকের উপর একের পর এক হামলা চালানো হচ্ছে ৷ মহম্মদ শফি মীরের উপর হামলা কাশ্মীরের বুকে ঘটে যাওয়া এই ধরনের চতুর্থ ঘটনা । এর আগে অক্টোবর মাসে শ্রীনগরে পুলিশ ইন্সপেক্টর মাসরুর আলিকে হত্যা করা হয় ৷ তিনি বাড়ির কাছের মাঠে ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিলেন ৷ সেসময়র তাঁর উপর হামলা চালানো হয় ৷ বারামুল্লার ওয়াইলু ক্রালপোরার বাসিন্দা পুলিশ হেড কনস্টেবল গোলাম মহম্মদ দা'রও 31 অক্টোবর জঙ্গিদের হাতে নিহত হন । এই মাসের শুরুর দিকে বেমিনা শ্রীনগরে আরেক পুলিশ কনস্টেবল মহম্মদ হাফিজ চাকের উপর হামলা হয় । তিনি ঘটনায় গুরুতর আহত হন । তাঁর আক্রমণকারীদের অবশ্য পুলিশ গ্রেফতার করেছে ৷
আরও পড়ুন: