সিমলা, 2 জুলাই: ভারী বর্ষায় বেহাল হিমাচল প্রদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল । বৃষ্টির দাপটে মৃত্যুও একাধিক । এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে, অতি বৃষ্টিতে হিমাচলে 20 জনের বেশি মানুষের মৃত্যু । বেশিরভাগ মৃত্যু কাংড়া, কিন্নৌর এলাকায় । অন্তত 350 জনের বেশি পশুর মৃত্যু হয়েছে হিমাচলে। ধসে পড়ছে ঘর-বাড়ি । অতি বর্ষার কারণে হড়পা বানেরও সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে । যেখানে ক্ষতির পরিমান আরও বাড়ার আশঙ্কা থাকছে । একদিকে যখন প্রাণহানির মতো বৃষ্টি হিমাচলজুড়ে, অন্যদিকে সড়কের পরিস্থিতিও বেহাল । অতিবর্ষায় ধ্বংসপ্রায় ।
প্রচন্ড বর্ষায় রাজ্য়ের প্রধান সড়কগুলি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । ভেঙে পড়েছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। তথ্য অনুযায়ী, বর্ষার জেরে ইতিমধ্যে 113 কোটি টাকার সড়ক পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত। মোট 60টি সড়ক ভারী বৃষ্টির জেরে সম্পূর্ণ বন্ধ। এর জেরে,সিমলা সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ পুরোপুরি ধসে পড়েছে। পিডব্লিউডির তথ্য বলছে, বর্ষার ফলে গোটা হিমাচল জুড়ে মোট ক্ষতির পরিমান 242.61 কোটি টাকা। সিমলা যাওয়ার সড়কে 16.01 কোটির ক্ষতি, কাংরামুখী সড়কে ক্ষতির পরিমান 16.13 কোটি টাকা।
সুতরাং, অতিবৃষ্টির ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে হিমাচলের বিভিন্ন সড়কে। কারণ, সিমলামুখী মোট 12টি সড়ক চূড়ান্ত ক্ষতির মুখে। কাংড়ামুখী 6টি সড়কের অবস্থাও একইরকম। সড়কের বেহাল দশার কারণেই হিমাচল এককথায় স্তব্ধ। শুধু তাই নয়, সিমলা-সহ বিভিন্ন এলাকায় জল নিকাশি ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। জল সরবরাহ দফতরের খবর অনুয়ায়ী, মোট 100.97 কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে শুধু নিকাশি ব্যবস্থায় । কার্যত, সড়ক ও জল ছাড়াই অনিশ্চিত পরিস্থিতির মধ্যে হিমাচলের বিভিন্ন এলাকা।
যান চলাচল পুরোপুরি স্তব্ধ। কিছুটা কম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দাঁড়িয়ে গাড়ি। বিপর্যস্ত স্থানীয় থেকে পর্যটক। অত্যধিক বর্ষার জেরে মোট ৪৮ টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। এক মধ্যে 6টি বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বৃষ্টির কারণে মানুষের আটকে থাকার খবর না পাওয়া গেলেও, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে নজরদারি চলছে। সবমিলিয়ে অতি বর্ষার জেরে হিমাচল প্রদেশ ধুঁকছে । বড়সড় ক্ষতি আটকানোর চেষ্টায় প্রশাসন। উত্তরাখণ্ডের মতোই বৃষ্টি ঘিরে হিমাচলে আতঙ্কের পরিবেশ।
আরও পড়ুন: দেশের মধ্যে যে জায়গাগুলি বন্ধু ও সঙ্গীর সঙ্গে জুলাই মাসে ঘুরতে যেতে পারেন