ইম্ফল, 14 জানুয়ারি: রবিবার হিংসা-কবলিত মণিপুর থেকে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা শুরু করছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি ৷ লোকসভা নির্বাচনের আগে এই যাত্রায় কেন্দ্রের ক্ষমকাসীন দলের নানা খামতি তুলে ধরবে কংগ্রেস ৷ জোর দেওয়া হবে বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি ও সামাজিক ন্যায়বিচারের উপর । তবে, যাত্রা শুরুর একদিন আগেই কংগ্রেস বলেছে যে, এটি একটি আদর্শগত যাত্রা এবং নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে এই যাত্রা নয় ৷ এই কর্মসূচি নরেন্দ্র মোদি সরকারের 10 বছরের 'অন্যায় কাল' (অন্যায়ের সময়কাল) এর বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে ।
থৌবাল জেলার একটি ব্যক্তিগত মাঠ থেকে শুরু হবে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা ৷ যদিও যাত্রার সূচনাস্থল রাজধানী ইম্ফলকে করতে চেয়েছিল কংগ্রেস ৷ তবে সেই রাজ্যের সরকার ইম্ফলের প্রাসাদ ময়দান থেকে যাত্রা শুরুর জন্য কংগ্রেসকে শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন দেয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যাও সীমাবদ্ধ করা হয় । এই কারণে কংগ্রেস যাত্রার শুরুর জন্য অন্য জায়গা বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । থৌবাল জেলা প্রশাসনও কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, যেমন সময়কাল এক ঘণ্টার বেশি হওয়া উচিত নয় এবং অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা 3,000 অতিক্রম করা উচিত নয় ।
যাত্রাটি 15টি রাজ্যের 100টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে দিয়ে যাবে এবং কংগ্রেসের বিশ্বাস, এটি রাহুল গান্ধির ভারত জোড়ো যাত্রার মতো 'রূপান্তরমূলক' প্রমাণিত হবে । কংগ্রেস বলেছে যে, সরকার সংসদে জনগণের সমস্যাগুলি উত্থাপন করার সুযোগ দেয়নি বলে তারা এই যাত্রা বের করছে এবং এই উদ্যোগটি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা, সাম্য এবং ভ্রাতৃত্বের নীতিগুলি পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ।
যাত্রাটি 6,713 কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে, বেশিরভাগই বাসে তবে পায়ে হেঁটেও হবে যাত্রা । এটি 67 দিনের মধ্যে 110টি জেলা ঘুরবে, 20 বা 21 মার্চ মুম্বইয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে । যদিও কংগ্রেস বারবার জোর দিয়েছে যে, এটি কোনও নির্বাচনী যাত্রা নয়, এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ দলটি দরিদ্রের ভাগ্য পুনরুদ্ধার করতে চায় । রাজনৈতিক মহলের ধারণা, 22 জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের থেকে নজর ঘোরাতে এই যাত্রাকে হাতিয়ার করতে চায় কংগ্রেস ৷
আরও পড়ুন: