দিল্লি, 11 ফেব্রুয়ারি : বাজেট নিয়ে বক্তৃতা করতে উঠে এই নিয়ে একটি শব্দও খরচ করলেন না কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি৷ তাঁর দাবি, এটা তাঁর প্রতিবাদ৷ কারণ, বাজেট অধিবেশনে তাঁরা কৃষি আইন নিয়ে সংসদে আলোচনা চেয়েছিলেন৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তা না চাওয়ায় তিনি এই প্রতিবাদ করলেন৷
কিন্তু তার আগে তিনি কেন্দ্রের মোদি সরকারের তরফে লাগু করা কৃষি আইন নিয়ে সমালোচনা করেন৷ নাম না করে কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে৷ তাঁর অভিযোগ, দেশ এখন চারজন চালান৷ তবে কারা তাঁরা সেই নাম করেননি তিনি৷ কিন্তু স্পষ্ট যে তিনি চার জনের মধ্যে দু’জন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ আর বাকি দু’জন দুই শিল্পপতি৷
বুধবার লোকসভায় বাজেট অধিবেশনের জবাবি ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী৷ সেখানে তিনি কৃষি আইন নিয়ে বিরোধীদের আপত্তির তীব্র সমালোচনা করেন৷ তিনি অভিযোগ করেন যে বিরোধীরা কৃষি আইনের বিষয়বস্তুর উপর নজর না দিয়ে এই নিয়ে সমালোচনা করছেন৷
এদিন তাই কৃষি আইন নিয়ে বলার সময় বারবার বিষয়বস্তু শব্দটি উঠে এসেছে রাহুল গান্ধির ভাষণে৷ তাঁর অভিযোগ, কৃষি আইন অনুযায়ী যে কেউ যত কিছু শস্য কিনতে পারবেন৷ যদি কেউ সব কিনতে পারেন, তাহলে মান্ডিতে কেউ কেন যাবেন৷ শস্য মজুদ করার কোনও সীমা তুলে দেওয়া হয়েছে৷ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন বাতিল করা হয়েছে৷
এর পর তিনি জানান যে আইনের উদ্দেশ্য আসলে কী, সেটাও তিনি স্পষ্ট করতে চান৷ তখন তিনি বহু বছর আগের পরিবার পরিকল্পনা যোজনার স্লোগান তুলে ধরেন৷ জানান, সেই স্লোগান কৃষি আইনের ক্ষেত্রেও মানানসই৷ এই ক্ষেত্রেও ‘হাম দো, হামারে দো’৷ কারণ তাঁর মতে, দেশ এখন চারজন চালায়৷ একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, কৃষকরা দেশের মেরুদণ্ড৷ সেই মেরুদণ্ড টুকরো টুকরো করে বিশেষ দু’জনকে দিয়ে দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার৷
তাঁর দাবি, ‘‘এই আন্দোলন শুধু কৃষকদের নয়৷ এই আন্দোলন দেশের৷ এই আন্দোলন দেশকে পথ দেখাবে৷ কৃষকরা সরকার সরিয়ে দেবে৷ কিন্তু তারা পিছু হঠবে না৷ আইন প্রত্যাহার করতে হবেই৷’’
আরও পড়ুন : বাজেট অধিবেশন : লোকসভা থেকে সরাসরি
রাহুল গান্ধির অভিযোগ, সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমে 200-র বেশি কৃষক মারা গিয়েছেন৷ এই নিয়ে তিনি সংসদে দলের সাংসদদের নিয়ে 2 মিনিটের নীরবতাও পালন করেন৷ তাতে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেস ও ডিএমকে সাংসদরা৷