ধারওয়াদ (কর্ণাটক), 29 এপ্রিল: কর্ণাটক নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে ফের একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ৷ শনিবার তিনি জানান, মোদি হলেন তাঁর দেখা ভারতের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী, যিনি মানুষের কথা শোনেন না ৷ উলটে নিজের বক্তব্যই রাখেন ৷ ভোট যত এগিয়ে আসছে কর্ণাটকে বিজেপি-কংগ্রেস একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণের মাত্রাও তীব্র করছে ৷ নেতাদের মধ্যে বাগযুদ্ধ চরমে পৌঁছে গিয়েছে ৷ এদিন তেমনই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা গেল প্রিয়াঙ্কাকে ৷
এদিন প্রিয়াঙ্কা বলেন, "নরেন্দ্র মোদিই একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি কখনও মানুষের কথা শোনার পরিবর্তে তাঁর নিজের কথাই বলেন ।" এখানেই শেষ নয়, এর সঙ্গেই তাঁর সংযোজন, "আমি ইন্দিরা গান্ধি, রাজীব গান্ধি, পিভি নরসিমা রাও, অটল বিহারী বাজপেয়ী এবং মনমোহন সিং থেকে অনেক প্রধানমন্ত্রীকে দেখেছি কিন্তু এই (মোদি) প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যিনি মানুষের দুঃখের কথা শোনার পরিবর্তে তাদের কাছে তাঁর নিজের কথাই বলেন ৷" প্রসঙ্গত, কর্ণাটকের আগামী 10 মে নির্বাচন ৷
এদিন প্রিয়াঙ্কা অভিযোগ করেন, রাজ্যে বর্তমানে বিজেপি সরকার আছে ৷ সেই সরকার কাউকে সম্মান দেয় না ৷ তাঁর দাবি, জনগণই থেকে শুরু করে নিজেদের দলের প্রবীণ নেতাদেরও যোগ্য মর্যাদা দেয় না বিজেপি ৷ প্রসঙ্গত, জগদীশ শেত্তর যিনি সম্প্রতি বিজেপির টিকিট প্রত্যাখ্যান করে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন ৷ কংগ্রেসের দাবি তিনি, সমগ্র লিঙ্গায়ত সম্প্রদায়ের কাছে সম্মানের ব্যক্তি হলেও বিজেপি তাঁকে যোগ্য মর্যাদা দেয়নি। এদিন প্রিয়াঙ্কা বলেন, "দুর্নীতি এতটাই নির্লজ্জভাবে করা হয়েছে যে, যারা দুর্নীতি করেছে তাঁরাই টিকিট পেয়েছে ৷ এবং যারা দুর্নীতির সঙ্গে নেই নেই, তাদের টিকিট দেওয়া হয়নি। তিনি (মোদি) যারা দুর্নীতি করে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন এবং যারা সৎ তাদের তাড়িয়ে দেন ৷"
প্রিয়াঙ্কা দাবি করেন, যখন জনগণকে সম্মান করা হয় না, তখন সেই সরকার দেশ বা রাষ্ট্রের স্বার্থে থাকে না ৷ তাঁর কথায়, 'রাজনীতিবিদরা ভুলে যান যে জনগণই তাদের নেতা বানায় এবং সরকারগুলো শুধুমাত্র ক্ষমতা দখল ও অর্থ উপার্জনের জন্য গঠিত হয়।' রাজ্যে ঠিকাদার আত্মহত্যা, স্কুল ম্যানেজমেন্ট এবং ঠিকাদার সমিতিগুলির দুর্নীতির বিষয় নিয়েও সরব হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা ৷ তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে দুর্নীতি এতটাই বাড়া গিয়েছে যে, একজন বিধায়কের ছেলে চার কোটি টাকা নগদ নিয়ে ধরা পড়ছে ৷ অথচ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না ৷ উল্লেখ্য, রাজ্য়ে 10 মে হবে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া ৷ 13 মে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।