অমরাবতী, 27 মার্চ: উচ্চপদস্থ দলিত আধিকারিককে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় (Dalit Officer Kidnapped and Murder) নাম জড়াল তাঁর সহকর্মীদের একাংশের ! অভিযুক্তদের মধ্যে দু'জন বাঙালি ৷ ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের কাডাপা জেলায় ৷ নিহত ব্যক্তির নাম ড. চিন্না আচ্চেন্না ৷ 58 বছরের চিন্না রাজ্যের পশুপালন দফতরের সহ-অধিকর্তা ছিলেন ৷ এই ঘটনায় পুলিশ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা ৷ তাঁদের দাবি, পুলিশ যদি সময় থাকতে তৎপর হত, তাহলে হয়তো চিন্নাকে বাঁচানো যেত ৷
চিন্নার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তিনি নিখোঁজ হওয়ার পরই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল ৷ কিন্তু, তারপরও কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ ৷ চিন্নাকে খুঁজে বের করার কোনও চেষ্টা করেনি তারা ! চিন্নার পরিবারের সদস্যরা কয়েকজন সন্দেহভাজনের কথা উল্লেখ করেছিলেন ৷ অথচ, পুলিশ তাঁদের সঙ্গে কথা বলারও প্রয়োজন মনে করেনি ! শেষমেশ, নিরুদ্দেশ হওয়ার 12 দিন পর চিন্না আচ্চেন্নার দেহ উদ্ধার হয় ৷ তখন টনক নড়ে পুলিশের ৷ প্রাথমিক তদন্তে তারা জানতে পেরেছে, চিন্নাকে অপহরণ করে একই দিনে খুন করা হয় ৷ এই ঘটনায় তাঁর কয়েকজন সহকর্মী ছাড়াও আরও কয়েকজন যুক্ত থাকতে পারেন ৷
এদিকে, চিন্নার দেহ উদ্ধার হওয়ার পর পরিবারের সদস্যদের কিছু না জানিয়েই ময়নাতদন্ত করে ফেলে পুলিশ ৷ তাদের এই আচরণ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা ৷ তাঁদের বক্তব্য, প্রথমে পুলিশ চিন্নাকে খুঁজে বের করার কোনও চেষ্টা করল না ৷ অথচ পরে যখন তাঁর দেহ উদ্ধার হল, তখন তড়িঘড়ি দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে দেওয়া হল ৷ পরিবারের সদস্যদের একটা খবর দেওয়ারও সময় পেল না পুলিশ ! এটা কেন ? যদিও পরে চিন্নার দেহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷
আরও পড়ুন: 'ওরা আমাকে মারতে চায়', পুলিশের দিকে আঙুল উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আতিকের
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, গত প্রায় ছ'মাস ধরে অফিসের তিন সহকর্মীর সঙ্গে ঝামেলা চলছিল চিন্নার ৷ এই তিনজন হলেন তাঁরই অধঃস্তন শ্রীধর লিঙ্গারেড্ডি, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুভাষচন্দ্র বসু ৷ অভিযোগ, দুই পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে কাজে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছিল ৷ যার জেরে সংশ্লিষ্ট তিনজনকে সাসপেন্ড করা হয় ৷ সেই ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয় ৷ পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চিন্নাকে নির্দেশ দেয়, সাসপেন্ড হওয়া তিনজনকে অবিলম্বে কাজে বহাল করতে হবে ৷ কিন্তু, চিন্না সেই নির্দেশ মানেননি ৷ এর কয়েকদিন পরই (12 মার্চ, 2023) অপহৃত হন চিন্না এবং ওইদিনই তাঁকে খুন করা হয় ৷ এই ঘটনার সঙ্গে সাসপেন্ড হওয়া তিন আধিকারিকের যোগ রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ ৷ তদন্ত চলছে ৷