চণ্ডীগড়, 24 মার্চ: পৃথক খালিস্তান গঠনের জন্য কি রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাস চালাতেও পিছপা হবেন না অমতৃপাল সিং ? তেমনটাই আশঙ্কা করছেন পঞ্জাব পুলিশের তাবড় আধিকারিকরা (Police on Amritpal Singh) ৷ কিন্তু, এমন ভাবনার কারণ কী ? কারণ, গত প্রায় সাতদিন ধরে অমৃতপালের খোঁজে তল্লাশি চলছে ৷ তিনি পুলিশের নাগালে না এলেও উদ্ধার হয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ ৷ সেসব দেখে চোখ কপালে উঠেছে পুলিশের ৷ আর তা থেকেই অমৃতপালের পরিকল্পনা সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারণা করতে সক্ষম হয়েছেন পুলিশকর্তারা ৷
অমৃতপালের বন্ধু, আত্মীয়, পরিচিত ও অনুগামীদের খোঁজেও ধরপাকড় চলছে ৷ অভিযান চালানো হয়েছে তাঁদের আস্তানা ও সম্পত্তিতেও ৷ ইতিমধ্যে অমৃতপালের গ্রাম জালালপুর খেরায় পৌঁছে গিয়েছেন পুলিশের আধিকারিকরা ৷ সেখানে অমৃতপালের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে ৷ সেই তল্লাশি অভিযানে একেবারে একইরকম দেখতে অনেকগুলি জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়েছে ৷ সেই জ্যাকেটের উপর বড় বড় ইংরেজি হরফে লেখা রয়েছে একেএফ ৷ যার 'ফুল ফর্ম' হতে পারে, আনন্দপুর খালসা ফোর্স, অথবা অকালি খালসা ফোর্স, কিংবা আনন্দপুর খালসা ফৌজ !
তল্লাশিতে উদ্ধার করা হয়েছে, অমৃতপালের কাঙ্ক্ষিত খালিস্তানের মানচিত্র ! সেই মানচিত্রে খালিস্তানকে ভারত থেকে পৃথক একটি রাষ্ট্র হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ উদ্ধার করা হয়েছে খালিস্তানি নোট (মুদ্রা) এবং পতাকাও ! খান্না পুলিশের এসএসপি আমানিত কোন্ডাল জানিয়েছেন, অমৃতপালের এক বন্দুকধারী পাহারাদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ ধৃতের নাম তেজিন্দর সিং গিল ওরফে গোর্খা বাবা ৷ তাঁকে জেরা করেই উপরোক্ত সামগ্রীগুলি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে ৷ এই গোর্খা বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, অমৃতপাল নাকি নিজের ব্যক্তিগত সেনাবাহিনী তৈরি করে ফেলেছেন ! সেই বাহিনীর নাম আনন্দপুর খালসা ফৌজ ৷ এই ফৌজের প্রত্য়েক সদস্যের জন্য একটি বিশেষ নম্বরও রয়েছে বলে জানিয়েছেন ধৃত গোর্খা বাবা ৷
আরও পড়ুন: মাদকাসক্ত ও প্রাক্তন সেনা জওয়ানদের নিয়ে জঙ্গি সংগঠন তৈরির পরিকল্পনা ছিল অমৃতপালের, দাবি পুলিশের
পুলিশের তল্লাশিতে বেশ কিছু ভিডিয়ো উদ্ধার হয়েছে ৷ সেই ভিডিয়োয় একটি শুটিং রেঞ্জের হদিশ পাওয়া গিয়েছে ৷ সূত্রের দাবি, এই শুটিং রেঞ্জে তরুণদের আগ্নেয়াস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ! শোনা যাচ্ছে, অমৃতপালের অনুগামীদের অনেকের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে ৷ তার মধ্যে বেশ কিছু অস্ত্রের লাইসেন্স থাকলেও বাদবাকি বেআইনি ৷ বিষয়টি নিয়ে আলাদা করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷