ETV Bharat / bharat

PM Narendra Modi: পুরনো সংসদ ভবনকে বিদায় জানানোর সময়ও মোদির মুখে কংগ্রেসের সমালোচনা - প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

PM Narendra Modi takes a swipe at Congress: সংসদের বিশেষ অধিবেশেনর প্রথম দিন শুরু হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ দিয়ে ৷ যেহেতু এ দিনই সংসদের পুরনো ভবনে শেষ অধিবেশন বসল, তাই প্রধানমন্ত্রী কখনও সংসদের গরিমার কথা বললেন৷ আবার কখনও কংগ্রেসকে বিঁধে তুললেন জরুরি অবস্থার কথা ৷

PM Narendra Modi
PM Narendra Modi
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 18, 2023, 2:12 PM IST

নয়াদিল্লি, 18 সেপ্টেম্বর: পুরনো সংসদ ভবনে সোমবার শেষবার অধিবেশন বসেছে ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ দিয়ে শুরু হয় এ দিনের অধিবেশন ৷ সেখানে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সংসদের গরিমার কথা বারবার উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে ৷ তার মধ্যেও জরুরি অবস্থা, তেলেঙ্গানা রাজ্য তৈরির বিষয় তুলে কৌশলে কংগ্রসকে বিঁধেছেন তিনি ৷

উল্লেখ্য, সোমবার সংসদে শুরু হয়েছে বিশেষ অধিবেশন ৷ চলবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত৷ তবে প্রথমদিন সংসদের পুরনো ভবনে অধিবেশন চলছে ৷ আগামিকাল মঙ্গলবার থেকে সংসদের নতুন ভবনে অধিবেশন বসবে ৷ সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর বক্তৃতা শুরু করেন পুরনো সংসদ ভবনের তাৎপর্যের কথা স্বীকার করে ৷ তিনি জানান, ভারতীয় গণতন্ত্রের অন্ধকার সময় থেকে মজবুত পরিস্থিতির সাক্ষী এই সংসদ ভবন ৷ সংসদ ভবনকে তিনি গণতান্ত্রিক আদর্শে একটি জাতির বিশ্বাসের অদম্য চেতনার সাক্ষী বলেও উল্লেখ করেন । পাশাপাশি জানান, গণতন্ত্রের উপর আক্রমণেরও সাক্ষী এই সংসদ ভবন ৷

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সংসদ জরুরি অবস্থা এবং গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ দেখেছে ৷ কিন্তু এই সংসদও জনগণের শক্তি এবং গণতন্ত্রে বিশ্বাস দেখেছে । এই দেশ প্রত্যক্ষ করেছে যে কীভাবে এই দেশের মানুষ জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শক্তি সংগ্রহ করেছিল এবং গণতন্ত্রের উপর তাদের আস্থা রেখেছিল ।’’

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরের সময়ের কথা উল্লেখ করেন৷ চন্দ্রশেখরের কংগ্রেসের সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন ৷ তবে নাম না করে তিনি এই বিষয়ে নিজের বক্তব্য বেশ করেছেন ৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সংসদ মাত্র 64 জন সাংসদ-সহ একজন প্রধানমন্ত্রীকে দেখেছেন এবং দেখেছে যে বৃহত্তম দল বিরোধী পক্ষে বসে আছে ৷”

আরও পড়ুন: 'কান্নাকাটি করার অনেক সময় পাবেন,' পুরনো সংসদের শেষ দিনে বিরোধীদের কটাক্ষ মোদির

প্রসঙ্গত, 64 জন সাংসদ নিয়ে চন্দ্রশেখর জনতা দল থেকে বেরিয়ে আসেন ৷ তৈরি করেন সমাজবাদী জনতা পার্টি৷ কারণ, কংগ্রেসের সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় জনতা দলের একাংশের আপত্তি ছিল ৷ সেই আপত্তি উড়িয়ে কংগ্রেসের সমর্থনে 64 জন সাংসদকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন চন্দ্রশেখর ৷ কিন্তু পরে কংগ্রেস তাঁর সরকারের দিকে রাজীব গান্ধির বিরুদ্ধে গুপ্তচর বৃত্তি করার অভিযোগ তোলে ৷ সেই কারণে কংগ্রেস তাঁর সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে ৷ ফলে 1991 সালের 6 মার্চ চন্দ্রশেখরের সরকারের পতন হয় ৷

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনে ইউপিএ সরকারকেও কটাক্ষ করেন ৷ ওই রাজ্য গঠন নিয়ে ভারতীয় রাজনীতিতে বিতর্ক কম হয়নি ৷ তাছাড়া অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তেলেঙ্গানা তৈরির সময় হিংসার ঘটনাও ঘটেছিল ৷ অনেক বিরোধিতাও হয়েছিল ৷

এ দিন সংসদে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ওই রাজ্য গঠনের প্রক্রিয়া আরও মানবিক হতে পারত ৷ তাই এই নিয়ে তিনি দুঃখপ্রকাশও করেন ৷ মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তেলেঙ্গানা তৈরি হলে তা আরও উচ্চতায় উঠতে পারত বলেও মত প্রকাশ করেন মোদি ৷

আরও পড়ুন: আগামী প্রজন্মের অনুপ্রেরণা পুরনো সংসদ ভবন, জি20’র সাফল্য দেশবাসীর; উল্লেখ মোদির

তিনি বলেন, “তেলেঙ্গানা গঠনের সময় প্রচুর রক্তপাত ও ঝগড়া হয়েছিল । অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানার মানুষের হৃদয়ে শত্রুতার বীজ বোনা হয়েছিল । এটি একটি বন্ধুত্বপূর্ণ উপায়ে করা যেতে পারত ৷ এটা করা হলে তেলেঙ্গানা একটা নতুন উচ্চতা ছুঁয়ে যেত ৷” এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার থাকার সময় বিভিন্ন রাজ্য ভাঙার বিষয়টিও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী ৷ সেই সময় বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে হয়েছিল বলেও তিনি দাবি করেন ৷

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমা রাওকেও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মোদি । তিনি উল্লেখ করেন, রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা করেও ফিরে এসে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন ৷ এবং পাঁচ বছর সরকার চালান ৷ তাই মোদির কথায়, এটি গণতন্ত্রের সৌন্দর্যের উদাহরণ দেয়, যেখানে এমনকি রাজনৈতিক অবসরপ্রাপ্তরাও দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন ।

পুরনো সংসদ ভবনের দরজা সোমবারের পর বন্ধ হয়ে যাবে ৷ তার ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণ সংসদের ভবনের গৌরব ও অন্ধকারময় অধ্যায়ের কথা প্রতিধ্বনিত হয়েছে ৷

আরও পড়ুন: বিদায় পুরনো সংসদ ভবন, 10 মহিলা সাংসদের আবেগী বার্তা

নয়াদিল্লি, 18 সেপ্টেম্বর: পুরনো সংসদ ভবনে সোমবার শেষবার অধিবেশন বসেছে ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ দিয়ে শুরু হয় এ দিনের অধিবেশন ৷ সেখানে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সংসদের গরিমার কথা বারবার উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে ৷ তার মধ্যেও জরুরি অবস্থা, তেলেঙ্গানা রাজ্য তৈরির বিষয় তুলে কৌশলে কংগ্রসকে বিঁধেছেন তিনি ৷

উল্লেখ্য, সোমবার সংসদে শুরু হয়েছে বিশেষ অধিবেশন ৷ চলবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত৷ তবে প্রথমদিন সংসদের পুরনো ভবনে অধিবেশন চলছে ৷ আগামিকাল মঙ্গলবার থেকে সংসদের নতুন ভবনে অধিবেশন বসবে ৷ সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর বক্তৃতা শুরু করেন পুরনো সংসদ ভবনের তাৎপর্যের কথা স্বীকার করে ৷ তিনি জানান, ভারতীয় গণতন্ত্রের অন্ধকার সময় থেকে মজবুত পরিস্থিতির সাক্ষী এই সংসদ ভবন ৷ সংসদ ভবনকে তিনি গণতান্ত্রিক আদর্শে একটি জাতির বিশ্বাসের অদম্য চেতনার সাক্ষী বলেও উল্লেখ করেন । পাশাপাশি জানান, গণতন্ত্রের উপর আক্রমণেরও সাক্ষী এই সংসদ ভবন ৷

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সংসদ জরুরি অবস্থা এবং গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ দেখেছে ৷ কিন্তু এই সংসদও জনগণের শক্তি এবং গণতন্ত্রে বিশ্বাস দেখেছে । এই দেশ প্রত্যক্ষ করেছে যে কীভাবে এই দেশের মানুষ জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শক্তি সংগ্রহ করেছিল এবং গণতন্ত্রের উপর তাদের আস্থা রেখেছিল ।’’

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরের সময়ের কথা উল্লেখ করেন৷ চন্দ্রশেখরের কংগ্রেসের সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন ৷ তবে নাম না করে তিনি এই বিষয়ে নিজের বক্তব্য বেশ করেছেন ৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সংসদ মাত্র 64 জন সাংসদ-সহ একজন প্রধানমন্ত্রীকে দেখেছেন এবং দেখেছে যে বৃহত্তম দল বিরোধী পক্ষে বসে আছে ৷”

আরও পড়ুন: 'কান্নাকাটি করার অনেক সময় পাবেন,' পুরনো সংসদের শেষ দিনে বিরোধীদের কটাক্ষ মোদির

প্রসঙ্গত, 64 জন সাংসদ নিয়ে চন্দ্রশেখর জনতা দল থেকে বেরিয়ে আসেন ৷ তৈরি করেন সমাজবাদী জনতা পার্টি৷ কারণ, কংগ্রেসের সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় জনতা দলের একাংশের আপত্তি ছিল ৷ সেই আপত্তি উড়িয়ে কংগ্রেসের সমর্থনে 64 জন সাংসদকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন চন্দ্রশেখর ৷ কিন্তু পরে কংগ্রেস তাঁর সরকারের দিকে রাজীব গান্ধির বিরুদ্ধে গুপ্তচর বৃত্তি করার অভিযোগ তোলে ৷ সেই কারণে কংগ্রেস তাঁর সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে ৷ ফলে 1991 সালের 6 মার্চ চন্দ্রশেখরের সরকারের পতন হয় ৷

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনে ইউপিএ সরকারকেও কটাক্ষ করেন ৷ ওই রাজ্য গঠন নিয়ে ভারতীয় রাজনীতিতে বিতর্ক কম হয়নি ৷ তাছাড়া অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তেলেঙ্গানা তৈরির সময় হিংসার ঘটনাও ঘটেছিল ৷ অনেক বিরোধিতাও হয়েছিল ৷

এ দিন সংসদে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ওই রাজ্য গঠনের প্রক্রিয়া আরও মানবিক হতে পারত ৷ তাই এই নিয়ে তিনি দুঃখপ্রকাশও করেন ৷ মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তেলেঙ্গানা তৈরি হলে তা আরও উচ্চতায় উঠতে পারত বলেও মত প্রকাশ করেন মোদি ৷

আরও পড়ুন: আগামী প্রজন্মের অনুপ্রেরণা পুরনো সংসদ ভবন, জি20’র সাফল্য দেশবাসীর; উল্লেখ মোদির

তিনি বলেন, “তেলেঙ্গানা গঠনের সময় প্রচুর রক্তপাত ও ঝগড়া হয়েছিল । অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানার মানুষের হৃদয়ে শত্রুতার বীজ বোনা হয়েছিল । এটি একটি বন্ধুত্বপূর্ণ উপায়ে করা যেতে পারত ৷ এটা করা হলে তেলেঙ্গানা একটা নতুন উচ্চতা ছুঁয়ে যেত ৷” এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার থাকার সময় বিভিন্ন রাজ্য ভাঙার বিষয়টিও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী ৷ সেই সময় বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে হয়েছিল বলেও তিনি দাবি করেন ৷

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমা রাওকেও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মোদি । তিনি উল্লেখ করেন, রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা করেও ফিরে এসে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন ৷ এবং পাঁচ বছর সরকার চালান ৷ তাই মোদির কথায়, এটি গণতন্ত্রের সৌন্দর্যের উদাহরণ দেয়, যেখানে এমনকি রাজনৈতিক অবসরপ্রাপ্তরাও দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন ।

পুরনো সংসদ ভবনের দরজা সোমবারের পর বন্ধ হয়ে যাবে ৷ তার ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণ সংসদের ভবনের গৌরব ও অন্ধকারময় অধ্যায়ের কথা প্রতিধ্বনিত হয়েছে ৷

আরও পড়ুন: বিদায় পুরনো সংসদ ভবন, 10 মহিলা সাংসদের আবেগী বার্তা

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.